পাতা:ইন্দিরা-বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.djvu/৫০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

se ইন্দির। - স্বভাষিণী ভিন্ন আমার গতি মাই। সেই আমার বুদ্ধি, সেই আমার রক্ষাকারিণী—তাহাকে সব খুলিয়া বলিয়া পরামর্শ করি গিয়া। হারাণীকে বলিলাম, “চেন মানুষ বটে-বড় চেন, সকল কথা শুনিলে তুই বিশ্বাস করিবি না, তাই তোকে সকল কথা ভাঙ্গিয় বলিলাম না । কিছু দোষ নাই।” “কিছু দোষ নাই, বলিয়া একটু ভাবিলাম। আমারই পক্ষে কিছু দোষ নাই, কিন্তু হারাণীর পক্ষে ? দোষ আছে বটে। তবে তাকে কাদা মাখাই কেন ? তখন সেই “বাজিয়ে .যাব মল” মনে পড়িল। কুতর্কে মনকে বুঝাইলাম। যাহার দুর্দশা ঘটে, সে উদ্ধারের জঙ্ক কুতর্ক অবলম্বন করে। আমি হারাণীকে আবার বুঝাইলাম, “কিছু দোষ নাই।” হা । তোমাকে কি তার সঙ্গে দেখা করিতে হইবে ? আমি । ইঁ। হা । কখন ? अभि । ब्रॉएज-जबाहे घूमांशण । হা । এক ? আমি ৷ একা । হা । আমার বাপের সাধ্য নহে । আমি। আর বে। ঠাকুরাণী যদি হুকুম দেন ? হা । তুমি কি পাগল হয়েছ ? তিনি কুলের কুলবধু—সতী লক্ষ্মী, তিনি কি এ সব কাজে হাত দেন । আমি । যদি বারণ না করেন, যাবি ? হারাণী। যাব। তার হুকুমে না পারি কি ? . আমি । যদি বারণ না করেন ? হারাণী। যাব, কিন্তু তোমার টাকা নিব না। তোমার টাকা তুমি নাও। আমি । আচ্ছা, তোকে যেন সময়ে পাই । আমি তখন চোখের জল মুছিয়া সুভাষিণীর সন্ধানে গেলাম। তাহাকে নিভৃতেই পাইলাম। আমাকে দেখিয়া সুভাষিণীর সেই সুন্দর মুখখানি, যেন সকালের পদ্মের মত, যেন সন্ধ্যাবেলার গন্ধরাজের মত, আহলাদে ফুটিয়া উঠিল—সর্ব্বাঙ্গ, যেন সকালবেলার সর্বত্র পুষ্পিত শেফালিকার মত, যেন চশ্রোদয়ে নদীশ্রোতের মত, আনন্দে প্রফুল্প হইল। হাসিয়। আমার কাণের কাছে মুখ আনিয়া মুভাষিণী জিজ্ঞাসা করিল, “কেমন চিনিয়াছ ও r | چي ه