পাতা:গল্পস্বল্প.djvu/৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
(২)

হইলেই মানুষ হওয়া যায় না; জ্ঞান ধর্ম্মে যে উন্নতি লাভ করিয়াছে সেই প্রকৃত মনুষ্য। আহার বিহার করিয়া পশুর মত জীবন ধারণ করাই মনুষ্য জীবনের উদ্দেশ্য নহে, মনুষ্যত্ব লাভ করিতে চেষ্টা করাই মনুষ্য জীবনের উদ্দেশ্য। ޗ

 তুমি যদি মনুষ্য হইতে চাও তবে জ্ঞানের অনুশীলন কর; ক্ষমা, করুণা, সত্যানুরাগ প্রভৃতি মনুষ্যের অন্তর নিহিত সদগুণ সকলের বিকাশ ও ক্রোধ দ্বেষ লোভ প্রভৃতি পাশব প্রবৃত্তি সকলের ন্যায্য দমন দ্বারা যথার্থ মনুষ্য হও। ঈশ্বর, যিনি আমদের পিতা মাতা সৃষ্টিকর্ত্তা, ইহাই তাহার আদেশ, ইহাই তাঁহার প্রিয় কার্য্য। আমাদের মঙ্গলের জন্যই তিনি আমাদিগকে তাহার এই আজ্ঞা পালন করিতে বলেন। তাহার এই আজ্ঞার নামই ধর্ম্মনীতি। মনুষ্য অভিজ্ঞতা দ্বারা দেখিতে পায় এই নীতি যাহারা পালন করিয়া চলেন তাহারা যথার্থ বড় লোক, তাহারাই মহাত্মা; আর যদ্বারা ইহা অমান্য করিয়া চলে তাহারা মনুষ্য নামের অযোগ্য।

 অন্যায় কর্ম্ম করিতে যাহার সঙ্কোচ নাই, সহস্রবার ঈশ্বরের নাম গ্রহণ করিলেও সে ঈশ্বরানুরাগী নহে। যে ঈশ্বরের প্রিয় কার্য সাধন করে সেই যথার্থ সাধক। ঈশ্বর তোমাকে মানুষ করিয়া গড়িয়াছেন, তাহার প্রিয় কার্য সাধন দ্বারা, অর্থাৎ শুভ কার্যের অনুষ্ঠান এবং অন্যায়াচরণ পরিত্যাগ পূর্বক তাহার প্রতি অনুরাগী হইয়া তোমার জীবনের উদ্দেশ্য সফল কর। ইহাতেই তুমি যথার্থ সুখ শান্তি লাভ করিবে।