পাতা:গল্পস্বল্প.djvu/৫৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

( ৫৩ )

ছাত্রকে দুর্ব্বল ও রুগ্নকায় দেখা যায়। কিন্তু ধন, মান, বিদ্যা পারিবারিক সুখ সত্বেও ভগ্নস্বাস্থ্য ব্যক্তির সুখ নাই, আর একবার স্বাস্থ্যভঙ্গ হইলে পূর্ব্ববৎ তাহা ফিরিয়া পাওয়াও সহজ নহে।

 পূর্ব্বতন ঋষিগণ স্বাস্থ্য রক্ষার নিয়ম উত্তমরূপে জানিতেন এবং তাহা পালন করিয়া চলিতেন। সেই জন্যই তাঁহারা দীর্ঘায়ু লাভ করিয়া জ্ঞানধর্ম্মে উন্নত হইয়া জনসাধারণের উপকারে জীবন যাপন করিতে পারিতেন।

 কৃতবিদ্য বাঙ্গালীদিগের মধ্যেও যে অধুনা মঙ্গলকার্য্যে উদ্যম ও উৎসাহের অভাব দেখা যায় শারীরিক পূর্ণ স্বাস্থ্যের অভাব তাহার একটি প্রধান কারণ। শরীরের সহিত মনের এমনি ঘনিষ্ট সম্বন্ধ যে শরীরে স্ফূর্ত্তি না থাকিলে মানসিক শক্তিরও সম্যক স্ফূর্ত্তি হইতে পারে না। এই সকল কারণে বিদ্যা শিক্ষার ন্যায় স্বাস্থ্যরক্ষার প্রতিও বাল্যকাল হইতেই সকলের বিশেষ মনোযোগী হওয়া কর্ত্তব্য। মানসিক স্বাস্থ্য কিরূপে রক্ষা হয় অর্থাৎ মনুষ্যজীবনের উদ্দেশ্য কিরূপে সাধিত হয় তাহা পুস্তকের আরম্ভেই বলা হইয়াছে— এইবার শারীরিক স্বাস্থ্য রক্ষা সম্বন্ধে তোমাদিগকে কিছু বলিব।

 বিশুদ্ধ জল বাতাস, পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা, পুষ্টিকর আহার ও ব্যায়াম স্বাস্থ্যের পক্ষে বিশেষ অনুকূল।