পাতা:গল্পস্বল্প.djvu/৭২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

( ৬৬ )

হইত। বালকেরা অমনি দেয়ালের কাছে গিয়া সেখানে যে সমস্ত লাঠি সাজান থাকিত প্রত্যেকে তাহার এক এক গাছা হাতে করিয়া ঘরের মাঝখানে আসিয়া সার গাঁথিয়া দাঁড়াইত। একজন শিক্ষক পিয়ানোর কাছে গিয়া একটা ছোট খাট সাদাসিদে সুর বাজাইতেন, আর বালকের তালে তালে লাঠি লইয়া ব্যায়াম করিত। দিনে দুইবার পাঁচ দশ মিনিট করিয়া এই প্রকার ব্যায়াম করিবার পর আমাদের এমন চমৎকার স্ফূর্ত্তি হইত, আমরা যেন নুতন বল পাইয়া আবার পড়িতে বসিতাম। অনেক দিন দ্বিপ্রহরের দিকে কেমন ক্লান্তি বোধ হইত আর ঘুম পাইত তখন এই প্রকার ব্যায়াম আমাদের জাগাইয়া দিয়া একেবারে তাজা করিয়া তুলিত। ইহাতে স্কুলের পড়ার কোন হানি না হইয়া বরং সম্পূর্ণ সহায়তা করিত। ঘণ্টা বাজিলে অমনি আবার সকলে আপন আপন হস্তস্থিত লাঠিগুলি যথাস্থানে রাথিয়া নিজের পড়া আরম্ভ করিত।”

 এই ব্যায়ামের সুবিধা এই, ইহা দ্বারা শরীরের গ্রন্থি ও মাংসপেশী সমূহকে ইচ্ছামত সকল দিকে নোয়াইবার ফিরাইবার ক্ষমতা বাড়ে; আর কাহারও যদি নত হইয়া চলিবার অভ্যাস থাকে কিম্বা বক্ষ সঙ্কীর্ণ থাকে এই ব্যায়ামে তাহারও প্রতিকার হইবার সম্ভাবনা। ইহাতে বড় অধিক পরিশ্রম হয় না। সুতরাং ইহা আরম্ভের পক্ষে তাল। ব্যায়াম করিয়া বিশেষ ক্লান্ত হইয়া পড়িলে তাহাতে উপকার না হইয়া বরং অপকার হইবারই কথা। যে পরিমাণ শ্রমে শরীরে বেশ স্ফূর্তি বোধ হয় সেই পরিমাণ শ্রমই স্বাস্থ্যকর।

 লাঠির ব্যায়ামের নিয়ম এই—লাঠিগাছটি বেশ সোজা, মসৃণ