পাতা:কৌতুক নাট্য ও বিবিধ কথা.djvu/৪৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তত্ত্বজ্ঞানী । প্ন টার্ক ও তাহার শিষ্য। প্লটার্ক। অহংকারের বিসর্জনই সত্যজ্ঞান লাভের উপায়। সৰ্ব্বদাই মনে এই ভাব জাগ্রত রাখিতে হইলে । অহং বলিয়া বিশ্বসংসারে স্বতন্ত্র কোন বস্তু নাই—তুমি আমি সকলি সেই এক পরমাত্মাময়। শিষ্য। কিন্তু কি করিয়া অহংকার পরিত্যাগ করিব প্ৰভু ! আমি যখনি মনে করি এ বিশ্বসংসারে আমার আমিত্ব কিছুই নাই, তখনি জগৎসংসার হইতে আপনার পার্থক্য অঞ্চু ভব করিতে থাকি । গুরু । বৎস জিতেন্দ্রিয় হও, মনঃস্বংযম অভ্যাস কর, তাহা হইলেই এই দ্বৈতভাবাপন্ন স্বল্পজগতের মধ্যে স্রষ্টা ও স্বষ্টের একত্ব অনুভব করিবে । শিষ্য। সৰ্ব্বক্ষণই ত ভাৰি মনঃসংযম করি, কিন্তু কি করিয়া করিব বুঝিয়া উঠিতে পারি না। গুরু। মনঃসংযম অর্থাৎ প্রবৃত্তি দমন। মানবগণ স্ব স্ব প্রবৃত্তি জয়ী হইলেই সত্যেয় আলোক দেখিতে পায়। শিষ্য। ভগবান, যে মন্ত্রদ্বারা মনুষ্য প্রবৃত্তি দমন করিতে পারে, আপনি তাহাই আমাকে প্রদান করুন। গুরু । ইহার অন্ত কোন মন্ত্র নাই, নিজের ইচ্ছা, চেষ্টা, একাগ্রতাই প্রবৃত্তিদমনের একমাত্র মন্ত্র, একমাত্র উপায় । অল্পে অল্পে অগ্রসর হও, প্রথমে ক্রোধ দমন কর । অহংকার হইতেই ক্রোধের আবির্ভাব। যদি আমি জানি সংসারে তুমি আমি নাট—তাহা হইলে কেই বা ক্রোধ করে, ক্রোধের পাত্রই বা কে ? ক্রোধ অহংকারকে জাগাইয়া রাখে