পাতা:বিশ্বকোষ ত্রয়োদশ খণ্ড.djvu/৫১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

विवमत्रनीकृत [ ৪৯ ] বিশ্ববৃক্ষ দেখিয়া তিনি গৃহপ্রবেশের চেষ্টায় বাটীর চারিদিকে ভ্রমণ করিতে লাগিলেন । প্রাচীরগর্তে সর্পপুচ্ছ বিলম্বিত দেখিয়া তিনি রজ্জ্বজ্ঞানে তাহাই ধরিয়া প্রাচীরে উঠিলেন ও তথা হইতে লম্ফপ্রদানপূৰ্ব্বক ভিতরের আঙ্গিনায় পড়িলেন । শব্দ শ্রবণমাত্র চিন্তামণি প্রভৃতি বেশু্যাগণ প্রদীপ লইয়া আসিল এবং বিল্বমঙ্গলকে তদবস্থায় দেখিয়া উঠাইয়া আনিল ; কিন্তু তদগাত্র হইতে শবের পূতিগন্ধ নির্গত চইতে দেখিয়া, সে স্নান করাষ্টয়া দিল ও প্রকৃত কারণ জিজ্ঞাসা করিল। বিল্বমঙ্গল চিন্তামণিগতপ্রাণে বিভোর হইয়া আছেন, তিনি স্বরূপ জ্ঞাত মা থাকায় সমস্তই প্রত্যক্ষ দেখাইলেন । তখন সেই বেশু বিল্বমঙ্গলকে তমোমদে উন্মাদ জানিয়া বিস্তর তিরস্কারবাক্যে বলিল-“আমি বেখ্যা, নীচ, অস্পৃশ্য ও নিন্দিত। তুমি ব্ৰাহ্মণসস্তান ; এই প্রেম আমায় না দিয়া যদি তুমি ইহার শতাংশের একাংশও কৃষ্ণপাদপদ্মে সমর্পণ করিতে, তাক হইলে নিশ্চয়ই তোমার চতুৰ্ব্বৰ্গ ফল লাভ হইত।” চিন্তামণির এই ভৎ সনাবাক্যে বিল্বমঙ্গলের হৃদয়ে সখ্যম্ভাব উপস্থিত হইল, সঙ্গে সঙ্গে বিবেক ও বৈরাগ্য আসিয়া দেখা দিল । সেই রাত্রি তিনি ক্লষ্ণলীলাগানে অতিবাহিত করিয়া প্রভাতে স্থানান্তরে চলিয়া গেলেন । পথিমধ্যে সোমগিরি নামক জনৈক সাধুর সঠিত তাহার সাক্ষাং হয়, বিশ্বমঙ্গল তাহার নিকট কৃষ্ণমন্ত্রে দীক্ষিত হইলেন । একবৎসর গুরুসেবার পর সেই প্রেমবৈরাগী বিশুদ্ধ প্রেমধন প্রাপ্ত চন । ক্লষ্ণদৰ্শনে মানসিক উৎকণ্ঠ। জন্মিলে তিনি বুন্দাবন গমনে অভিলাষী হইয়া পথে পথে বিচরণ করিতে লাগিলেন। কিছুদিন পরে একটা গ্রামে উপস্থিত হইয়া তিনি সরোবর তীরস্থ বৃক্ষতলায় উপবেশনপূৰ্ব্বক’কৃষ্ণধ্যানে দিনাতিপাত করিতে লাগিলেন । দৈবাৎ এক বণিকপত্নী ঐ সরোবরে স্নান করিতে মাসায় তাহার প্রতি দৃষ্টি পতিত হইল এবং পুৰ্ব্বাভ্যাসবশত: কামাবেশে তাহার আম ঈষৎ টলিল । তিনি সেই রূপবর্তী রমণীর অমুগমন করিলেন । বণিকৃবণিতা নিজ অন্তঃপুর মধ্যে চুলিয়া গেলেন, সাধু বিশ্বমঙ্গলও সেই গৃষ্ঠস্বারে বসিয়া রহিলেন । বণিক উপস্থিত হইয়া সাধুকে দেথিয় নানা মিষ্টবচনে তুষ্ট করিলেন, সাধু বণিক্রমণীর দর্শন প্রার্থনা করিলে বৈষ্ণব তৎপরে প্রতির জন্য বণিক স্বয়ং অস্তঃপুরে গিয়া সেই সুন্দরীকে সুবেশ । ও সালঙ্কত করিয়া নির্জনে সাধুর সম্মুখে আনিয়া দিল । তথন সেই সাধু রমণীর রূপ আপাদমস্তক নিরীক্ষণ করিয়া চক্ষুকে তিরস্কারপূর্বক কহিলেন— "রক্তমাংস ক্লেদ বিষ্ঠা সূত্রময় দেহ । ভুকু আচ্ছাদনমাত্র দরশ সুবহ ॥” XIII - পরে সেই রমণীর নিকট হইতে স্বচৗম্বর গ্রহণপুৰ্ব্বক চক্ষুস্বয় বিদ্ধ করিলেন এবং কৃষ্ণপ্ৰেম অম্বুরাগে অন্ধের মত ধীরে ধীরে বৃন্দাবন অভিমুখে চলিতে লাগিলেন। রাধাকৃষ্ণপ্রেমে মাতোয়ার ছষ্টয়া তিনি যে অমৃতময় গীতে ত্ৰিভূবন পুলকিত করিয়াছিলেন ; তাছাই শ্ৰীকৃষ্ণকর্ণামৃত নামে প্রসিদ্ধ। প্রবাদ শ্ৰীকৃষ্ণ গোপবেশে তাহাকে খাওয়াইতেন। একদিন তিনি গোপবালকবেশী শ্রীকৃষ্ণের হস্ত চাপিয়া ধরিলে বালক হাতে ব্যথা লাগিতেছে বলিয়া হাত ছাড়াইয়া লন, তাহাতে বিশ্বমঙ্গল বলিয়াছিলেন-— “হস্তমুংক্ষিপ্য যাতোৎসি বলাৎকৃষ্ণ কিম্যুতম্। হৃদয়াদ্‌যদি নিৰ্য্যাসি পৌরুষং গণরামি তে ॥” ( শ্ৰীকৃষ্ণকর্ণামৃত ৩৯৬ ) ভক্তপ্রেমে রাধাকৃষ্ণ আর বিশ্বমঙ্গলকে বহুদিন ক্লেশ দিতে পারিলেন না । তাহার নিজ পদ্মহস্ত বুলাষ্টয় তাহার জ্ঞানচক্ষুরুন্মীলন করিয়া দিলেন । অন্ধের নয়ম ফুটিল, তিনি ত্রিভঙ্গভঙ্গিম মুরলীবদন খামমূৰ্ত্তি দর্শন করিলেন ; পাশ্বে প্রেম- , ময়ী রাধা—এই যুগলন্ধপ দেখিয়া তিনি প্রেমাবেশে ঢলিয়া পড়েন । ( ভক্তমাল ) বিল্বমঙ্গল ঠাকুরের অপর নাম লীলাগুক । শ্ৰীকৃষ্ণপ্রেমে সন্ন্যাসী হইয়া সাদকচুড়ামণি তত্ত্বজ্ঞান লাভ করিয়াছিলেন । কৃষ্ণকর্ণামৃত, কুষ্ণবালচরিত, কৃষ্ণাঙ্কিককৌমুদী, গোবিন্দস্তোত্র, বালকৃষ্ণক্রীড়াকাব্য, বিশ্বমঙ্গলস্তোত্র ও গোবিন্দদামোদরস্তব নামে কএকথালি তদ্রচিত গ্রন্থ পাওয়া যায় । বিলুবন (ক্লী ) বিশ্বস্ত বনং। মালয় সমুদায়। তন্তবিষয়: রাজ দ্যাদিত্বাৎ বুএ । বিশ্ববনক-তদ্বিধয় । বিল্ববন, দক্ষিণাত্যের মন্ডুরানগরের নিকটবর্তী একটা তীৰ্থ । বেগবতী নদীতীরে অবস্থিত। স্কন্দপুরাণান্তর্গত বিশ্বরেণ্যমাহাষ্ম্যে ও শিবপুরাণের বিশ্ববনমাহায়ো বিস্তৃত বিবরণ দ্রষ্টব্য। বিল্ববৃক্ষ, 5føTE CTzists (Ægle Marmelos) ffsa == হিনী—বেল, শফিল, শ্ৰীফল ; বাঙ্গাল।--বেল, বিশ্ব ; আলামী--- বেল, বোম্বাক্ট--বেল, বিল ; মরাঠা—বেল, গুজরাটী—বিল, সিন্ধু বিল, কটোরি ; সংস্কৃত-বিহু, শ্ৰীফল, মালুদ, বিম্বফল, বিশ্ব : আরবী—সফর্জলে চিন্দি, সুল ; কোল- লোহুগলি ; মঘ -ঔরংপঙ্গ, তামিল—বিম্বফলমূ, তেলগু—মীর, মালুরু, বিশ্বপ ধু, পতির ; গোড়–মইকা, মহক, মলয়ালম কুবলপ্লজম, কণাড়ি-বিলপন্ত্রী বা বেলপরী, ব্ৰহ্ম-গুক্ষিৎ, উধিৎবন ; সিঙ্গাপুর-বেল্লী। ভারতের প্রায় সৰ্ব্বত্রই বেলগাছ জন্মে, হিমালয় পৰ্ব্বতের বনবিভাগের মধ্যে ও দক্ষিণ ভারতে এবং ব্রহ্মদেশে বেলগাছ স্বভাবত উৎপন্ন হয় ।