পাতা:বিশ্বকোষ ত্রয়োদশ খণ্ড.djvu/৭৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বুদ্ধদেব o [ ૧8 ] . বুদ্ধদেব লোকদিগকে অভ্যন্তরে প্রবেশ করিতে দেয়। ঐ বহিষ্কার । ব্যতীত আভ্যন্তরে প্রবেশ করিবার অপর কোন পথ বিদ্যমান থাকে না। প্রাকারের সন্নিধানে এমন একট ছিদ্রও থাকে | না, যদ্বারা একটী ক্ষুদ্র বিড়ালও ভিতরে প্রবেশ ও নিক্ৰমণ করিতে পারে। হে ভগবন, অতীত ভবিষ্যৎ s' বর্তমানকালের জ্ঞানিগণ ধর্ণের এইরূপ একটী দ্বার নির্দেশ করিয়াছেন। র্তাহারা উপদেশ করিয়াছেন যে, প্রথমতঃ কাম, হিংসা, আলস্ত, বিচিকিৎস ও মোহ এই পাচ প্রকারের প্রতিমন্ধক নিবারগু করা উচিত। অনন্তর ক্রোধ, উপনীহ, স্ৰক্ষ প্রদান, ঈর্ষা, মাৎসর্ঘ্য, শাঠ্য, মায়া, মদ, নিহিংসা, অষ্ট্র, অনপত্রপা, ক্যান, ঔদ্ধত্য, অশ্রাদ্ধা, কেীপীন্য, প্রমাদ, মুষিতস্থতিত, বিক্ষেপ, অসংপ্ৰজন্ত, কেীকৃত্য, সিদ্ধ, বিতর্ক ও বিচার এই চতুবিংশতি প্রকার উপক্লেশ অর্থাৎ চিত্তের দৃষিতভাৰ পরিবর্জন করা কর্তব্য । তদনন্তর চতুৰ্ব্বিধ স্মৃত্যুপস্থানে সুপ্রতিষ্ঠিত হওয়৷ উচিত। অর্থাৎ কায় অপবিত্র, বেদন দুঃখময়ী, চিত্ত চঞ্চল ও পদার্থসমূহ অলীক এই চারি প্রকার চিম্বার সতত অনুস্মরণ ! করা কর্তব্য । অনন্তর স্মৃতি, পুণ্য, বীৰ্য্য, গীতি, প্রশ্রন্ধি, সমাধি . ও উপেক্ষ এই সৰোধ্যঙ্গ অর্থাৎ পরম জ্ঞানের পপ ভাবন করা বিধেয় । এইরূপ ভাষনা করিতে করিতে সৰোধি বা পরমজ্ঞান লাভ করিতে পারা যায় । অতীতকালের জ্ঞানিগণ এই প্রণালী অবলম্বন করিয়া সম্বোধি লাভ করিয়াছিলেম। তবিষ্যৎকালের জ্ঞানিগণও এই প্রণালী অবলম্বন করিয়া সম্বোধিলাভ করিবেন। ভগবান ও এই প্রণালী অবলম্বন করিয়া সম্বোধি লাভ করিয়াছিলেন।” অনস্তুর বুদ্ধদেৰ পাটীগ্রামে উপস্থিত ছষ্টলেন । পাটীওiামের উপাসকগণ সমবেত হইয়। বুদ্ধদেৱের পরিচর্য্যা করেন । তিনি আবসখাগারে আসীন হইয়া উপাসকদিগকে সম্বোধন করিয়৷ ৰলিয়াছিলেন, হে উপাসকগণ, অধাৰ্ম্মিক ও দুঃশীল গৃহস্থগণের পঞ্চ প্রকার ক্ষত্তি সং করিতে হয়। (১) দুঃশীল গৃহস্থগণ ঘোর দরিদ্রতায় নিপতিত হয়। (২) তাছাম্বিগের ঘনাম চতুদিকে প্রচারিত হয় ; (৩) তাহারা মনুষ্যসমাজে সশঙ্ক অস্তঃকরণে বিচরণ করে ; (৪) দেহত্যাগের সময়েও তাছাদের চিত্তের উদ্বেগ নিবৃত্ত হয় না এবং (e) মরণাস্কর তাছার নিরয়গামী হয় । পক্ষান্তরে কুশীল গৃহস্থগণের পাচপ্রকার লাভ দৃষ্ট কয়,--(১) শ্বশীল গৃহস্থগণ মহামুখ ভোগ করেন ; (২) তাঙ্কাদের স্বনাম চতুদিকে প্রদত্ত হয় ; (৩) তাছার প্রসন্ন মন্তঃকরণে মঙ্গুষ্যসমাজে বিচরণ করেন। (৪) দেহ ত্যাগ করিবার সময়ে প্তাহাদিগের চিত্তে কোন প্রকায় উদ্বেগ খাকে না এবং (e) মরণাস্তুর ভাস্থায়ী স্বৰ্গলোক প্রাপ্ত হন। সুনন্তর বুদ্ধদেব আনন্ম ও ভিক্ষুগণ সমভিব্যাহারে কোটি গ্রামে গমন করেন। সেখানে ভিক্ষুগণকে সম্বোধন করিয়া তিনি বলেন, হে ভিক্ষুগণ, চতুরার্য্য সত্যের প্রকৃত তত্ত্ব অবগত না হওয়ার লোক সকল পুনঃ পুনঃ ইহলোক ও পরলোকে গতায়াত করে। দুঃখ, দুঃখের উৎপত্তি, দুঃখের ধ্বংস ও দুঃখ ধ্বংসের উপায় এই চারিট মহাসত্যের সম্যক্ জ্ঞানদ্বারা ভবতৃষ্ণার নিবৃত্তি ও পুনর্জন্মের উচ্ছেদ হয় । অনন্তর বুদ্ধদেব আনন্দের সমভিব্যাহারে নাড়িক নামক স্থানে উপস্থিত হন এবং ঐ স্থানে গৃঞ্জকাবসথে কিছুকাল বিছার করেন। তখায় তিনি ভিক্ষুগণের নিকট ধৰ্ম্মাদর্শ নামক ধয়োপদেশ প্রদান করেন । ধৰ্ম্মাদশের সার মৰ্ম্ম এই—যে ব্যক্তি অবিচলিত অস্বীকরণে বুদ্ধ, ধৰ্ম্ম ও সংঘে আস্থা স্থাপন করিয়াছেন, তাহাকে আর নরকে বা প্রেতলোকে জন্মগ্রহণ করিতে হইবে না। কিয়ৎকাল পরে বুদ্ধদেব বৈশালী নগরীতে গমন করিয়া আম্রপালী গণিকার গৃহে ভোজন করেন। আম্রপালী গণিকা নীচ আসন গ্রহণপুৰ্ব্বক ভক্তি নম্রভাবে বলিল, ছে ভগবন! আমার আম্রবন ভিক্ষুসংঘকে প্রদান করিতেছি ; আপনি উহ। প্রতিগ্ৰছ করুন।” বুদ্ধদেব জামপালী গণিকাকে নানা প্রকার ধৰ্ম্মোপদেশ দ্বারা সমুৎসাহিত করিয়া তথা হইতে নিষ্ক্রান্ত হন । অনন্তর বুদ্ধদেব বেলুর গ্রামে (বিবগ্রামে ) গমন করেন এবং সেইস্থানে অবস্থিতি করিয়া বর্ষাকাল অতিবাহিত করেন । এই সময়ে বুদ্ধদেবের দেহ পীড়িত হওয়ায় ভিক্ষুগণ ব্যাকুল হইয় পড়েন। তিনি তখন আনন্দকে সম্বোধন করিয়া বলেন, “ছে আনন, ভিক্ষুগণ আমার নিকটে কি প্রত্যাশ করেন ? আমি তোমাদিগের নিমিত্ত প্রকাগু ধৰ্ম্ম প্রচার করিয়াছি, আমার ধৰ্ম্মে গুহ কিছুই নাই। তোমরা ধৰ্ম্মের আশ্রয় গ্রহণ কর, ধৰ্ম্মদীপ প্রজ্বলিত কর, অষ্ঠের আশ্রয় গ্রহণ করিও না, নিজেই নিঞ্জের আশ্রয় ছও। হে আনন্দ, আমার পরিনির্মাণের পর যিনি ধৰ্ম্মের শরণ লইৰেন, ধৰ্ম্মদীপ প্ৰজলিত করিবেন, বিমুক্তি লাভের নিমিত্ত নিজের উপর নিজে নির্ভর করিবেন এবং অস্তের আশ্রয় লইবেন না, তিনিই ভিক্ষুগণের মধ্যে অগ্রগণ্য হইবেন।” জনস্তর বুদ্ধদেৰ ৰৈশালীনগরীর চাপাল চৈত্যে গমন করিয়া তথায় কিছুকাল ৰিহার করেন। এই সময়ে পাপাত্মা মার আসিয়া তাছাকে বলিঙে লাগিল,“ছে ভগবন্‌ ! পরিনিৰ্ব্বাণ লাভ করুন। আপনার পরিনিৰ্মাণকাল উপস্থিত হইয়াছে !” বুদ্ধদেব উত্তর করিলেন, হে মার! যতদিন ভিক্ষু, ভিক্ষুণী, উপাসক ও উপাসিন্ধাসমূহ ৰিনীত, বিশারদ, ধর্শধর ও ধর্ণামুধৰ্ম্মচারী