পাতা:বিশ্বকোষ ত্রয়োদশ খণ্ড.djvu/১২৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ব্রহ্মচারিন [ ১২৩ ] * डचाष्ठांfङ्गम् ekSkSeSeeSAkSAASAAAS এবং কামক্রোধাদি ক্ষীণ হইয়া পড়ে। অতএব শরীরস্থিত শুক্ৰধাতুকে অবিকৃত, অশ্বলিত ও অবিচলিত রাখিবার জন্য কামভাবে স্ত্রীলোকের অঙ্গপ্রত্যঙ্গাদি দর্শন ও ম্পর্শন পরিত্যাগ বিধেয়। ক্রীড়া, হাস্ত ও পরিহাস, তাহাদিগের রূপলাবণ্যচিন্তা প্রভৃতি বর্জনীয়। আলিঙ্গন ও রেতঃসেক নিষিদ্ধ। কিছুদিন এইরূপ নিয়মাচারী হইলে ব্রহ্মচৰ্য্য দৃঢ় হয়। তখন আত্মায় আর এক প্রকার আশ্চৰ্য্য শক্তির ( যাহার অস্থানাম ব্ৰহ্মতেজ, তাহারই) প্রাচুর্ভাব হয়। তখন তাহার মুখজ্যোতিঃ অপূৰ্ব্ব এবং মানসিক তেজঃ অপ্রতিস্থত হয়। ব্রহ্মচৰ্য্য-প্রতিষ্ঠায়াং বীর্য্যলাভঃ” (পাতঞ্জলস্থ ৩৮৩।) ব্রহ্মচর্য্যের প্রতিষ্ঠা অর্থাৎ বীর্যানিরোধবিষয়ে সুসিদ্ধ হইলে বীৰ্য্য অর্থাৎ নিরতিশয় সামর্থ্য জন্মে। বীৰ্য্যের বা চরমধাতুর কণামাত্রও যদি বিকৃত বা বিচলিত না হয়, ভ্রমক্রমেও যদি কামোদয় না হয়, স্বপ্নেও যদি চিত্তচাঞ্চল্য না ঘটে তাহা হইলে চিত্তে এমন এক অস্তুত শক্তি সঞ্চার হয় যে, তদ্বলে চিত্ত সৰ্ব্বত্র অব্যাছত বা বিনিবিষ্ট থাকিবার যোগ্য হইয়া থাকে। তখন যাহাকে যে উপদেশ দেওয়া যাইবে, তাহাই সফল হইবে । ( পাতঞ্জলদ০ ) কলিতে ব্রহ্মচৰ্য্য ও বানপ্রস্থ নিষিদ্ধ হইয়াছে। “ব্রহ্মচর্যাশ্রমো নাস্তি বানপ্রস্থৌহপি ন প্রিয়ে । গার্হস্থে ভৈক্ষুকশ্চৈব আশ্রমে দ্বেী কলেী যুগে ॥” মহানিৰ্ব্বাণ তন্ত্র ) { ব্রহ্মচর্যাশ্রমের বিষয় ব্রহ্মচারিন দেখ ] ব্রহ্মচর্যাবহ (ত্রি ) ব্রহ্মচৰ্য্যং বিদ্যতেইস্য মতুপ মস্য ব। ব্ৰহ্ম চৰ্য্যযুক্ত, ব্রহ্মচারী। ব্রহ্মচারণী (স্ত্রী) ব্ৰহ্মণ বেদেন চার্যতি আচরতীতি ব্ৰহ্ম চর-স্বার্থে শিচ, কওঁরি-লুঙীপ। মাগী (রত্নমালা) ব্রহ্মচারিন (পুং) ব্ৰহ্ম-জ্ঞানং তপে বা আচরতীতি অর্জয়তা বগুং ব্ৰহ্ম-চর-আবগুকে-ণিনি। প্রথমাশ্রমী, উপনয়নের পর* নিয়মপুৰ্ব্বক সাঙ্গবেদাধ্যয়নের জন্ত গুরুগৃহে অবস্থান। মনুতে ব্রহ্মচৰ্য্যাশ্রমের এবং ব্রহ্মচারীর কৰ্ত্তব্যের বিষয় এইরূপ লিখিত আছে। উপনয়নের পরই ব্ৰহ্মচৰ্য্যাশ্রম বিধেয়। উপনয়ন হইলেই দ্বিজগণের প্রতি ত্রৈবিদ্যাদি অথবা মধুমাংসবর্জনাদি ব্রতসমূহের আদেশ এবং বিধিপূৰ্ব্বক বেদগ্রহণের ভার অর্পিত হয়। উপনয়নকালে যে ব্রহ্মচারীর প্রতি যে চৰ্ম্ম, যে সুত্র, যে মেখল, যে দণ্ড ও যে বসন বিহিত হইয়াছে, চান্দ্রায়ণাদি ব্রতের সময়ও তস্কপ বিধেয় । * গুরুকুলে বাসকালীন ব্রহ্মচারী ইঞ্জিয়-সংযমপূর্বক আপনার অদৃষ্টবৃদ্ধির জন্য নিম্নলিখিত নিয়ম সকল প্রতিপালন করিবেন । তিনি প্রতিদিন স্নান করিয়া শুদ্ধ ভাবে দেব ঋষি ও পিতৃতর্পণ, দেবপুজা এবং সায়ং ও প্রাতঃকালে সম্পূর্ণ সমিধ দ্বারা হোম করিবেন। ব্রহ্মচারীর মধু ও ংসভোজন, গন্ধদ্রব্যসেবন, মাল্যাদি ধারণ, গুড় প্রভৃতি রসগ্রহণ, এবং স্ত্রীসম্ভোগাদি নিষিদ্ধ হইয়াছে। যে সকল বস্তু স্বাভাবিক মধুর, কিন্তু কারণ বশে অন্ন হয়, অর্থাৎ দধিপ্রভৃতি দ্রব্যসেবন, প্রাণিহিংসা, তৈল দ্বারা আপাদমস্তক অভ্যঞ্জন, কক্ষলাদি দ্বারা চক্ষুরঞ্জন, পাছক বা ছত্ৰধারণ, কাম, ক্রোধ, লোভ এবং নৃত্য, গীত, বাদন, অক্ষাদিক্রীড়া, লোকের সহিত বৃথা কলছ, দেশবার্তাদির অন্বেষণ, মিথাকথন, কুৎসিতাভিপ্রায়ে স্ত্রীলোকের প্রতি কটাক্ষ বা তাঙ্গাদিগকে আলিঙ্গন ও পরের অনিষ্টাচরণ, প্রভৃতি হইতে ব্ৰহ্মচারী নিবৃত্ত থাকিবেন। সৰ্ব্বত্র একাকী শয়ন করিবেন এবং কদাচ হস্তব্যাপারাদি দ্বারা রেতঃপাত করিবেন না, কামবশতঃ রেতঃপাত করিলে আত্মত্রত একবারেই নষ্ট হ'ষ্টয়৷ যায়। এমন কি,যদি অকামতঃ ব্রহ্মচারীর স্বপ্নে রেতঃস্খলন হয়, তাহা হইলে তিনি মানস্তে হুর্য্যের অর্চনা করিবেন এবং পুনমং এতু ইন্দ্ৰিয়ং অর্থাৎ আমার বীর্য্য পুনরায় প্রত্যাবর্তন করুক, हेडोनि বেদমন্ত্র তিনবার জপ করিবেন । আচার্য্যের যে সকল দ্রব্যের প্রয়োজন, সেই সকল দ্রব্যই আহরণ এবং প্রতিদিম ভিক্ষান্ন সংগ্ৰহ করিবেন। যে সকল গৃহস্থ বেদানুষ্ঠান যুক্ত, সন্তুষ্টচিত্তে যাহারা স্ব স্ব বৃত্তিতে কালযাপন করিতেছেন, ব্ৰহ্মচারী প্রতিদিন শুচি হইয় তাহাদের গৃহ হইতে ভিক্ষ। সংগ্ৰহ করিবেন । গুরুর বংশে, আপনার জ্ঞাতিকুলে বা মা ? লাদি বন্ধুকূলে ভিক্ষা করা ব্রহ্মচারীর কর্তব্য নহে। তবে দি ভিক্ষোটিত গৃহস্থ না মিলে, তবে পুৰ্ব্ব পুৰ্ব্ব কুল পরিত্যাগ করিয়া পর পর মাতুলাদি কুল হইতে ভিক্ষা আরম্ভ করিবেন। আবার পূৰ্ব্বোক্ত ভিগোচিত সকলেরই যদি অভাব হয়, তাহ। হইলে সংযতেন্দ্রিয় ও ভিঙ্গাবাক্যবর্জন অর্থাৎ মৌনী হইয়। গ্রামভিক্ষা অর্থাৎ চাতুৰ্বর্ণ্যের নিকটেই ভিক্ষা করিবেন ; কিন্তু অভিশপ্ত ও মহাপাতকাদিগ্রস্ত ব্যক্তির নিকট হইতে কখন ? ভিক্ষা লইবেন না। ব্রহ্মচারী দূর হইত্বে সমিধকাঠ আহরণ করিয়া অনাবৃত স্থানে সংস্থাপন করিবেন এবং নিরলস হইয়। সায়ং ও প্রাতে সমিধকাষ্ঠ দ্বারা অগ্নিতে হোম করিবেন। ব্রহ্মচারা যদি অনাতুর অবস্থায় নিরস্তর সপ্তরাত্রিভিগাচরণ এবং সায়ং ও প্রাতঃকালে সমিধকাষ্ঠ দ্বারা হোম না করেন, তাছা হইলে তাহাকে অবকীর্ণ প্রায়শ্চিত্ত করিতে হয়। প্রতিদিন ভিক্ষাচরণ করা ব্রহ্মচারীর কর্তব্য, কিন্তু ভিক্ষার একজন গৃহম্বের নিকট হইতে সংগ্রহ করা উচিত নহে। ভিক্ষান্ন দ্বারা লন্ধ ব্রহ্মচারীর উপজীবিকাকে ধিগণ উপবাসসম পুণ্যজনক নির্দেশ করিয়াছেন ।