পাতা:বিশ্বকোষ ত্রয়োদশ খণ্ড.djvu/১৩৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ব্ৰহ্মদেশ বংশের প্রতিষ্ঠা হয়। পেগুরাজা জয়পুৰ্ব্বক আবারাজ-বংশধরগণ । ১৭শ ও ১৮শ শতাদের মধ্যকাল পর্য্যন্ত অপ্রতিহতপ্রভাবে রাজ্যশাসন করেন। তৎপরে তলৈঙ্গগণ বিদ্রোহী হইয়। আবা- : পতিকে বন্দী করে। রাজধানী অধিকার করিবার পর তাহারা । ক্রমে সমগ ব্ৰহ্মরাজ্য স্বীয় শাসনাধীনে আনয়ন করিয়াছিলেন, : মোৎশেবে (শ্বেবো) গ্রামের অধিপতি আলোম্প্রা (অলৌঙ্গপয়া) ভলৈঙ্গদিগের নিকট হইতে স্বীয় রাজ্য উদ্ধায়-মানসে দল বলে বেষ্টি ত হইয়া ১৭৫৩ খৃষ্টাব্দে রাজধানী জয় করেন । ১৭৫৪ খৃষ্টাব্দে পেগুবাসিগণ পুনরায় আবানগর আক্রমণের চেষ্টায় । রণতরী লইয়া তদ্রাজধানী অভিমুখে যাত্র করে, কিন্তু তাহার। " আলোম্প্রার যুদ্ধে পরাজিত, বিন্ধস্ত ও বিতাড়িত হইয়াছিল। এদিকে উদ্ধত ব্ৰহ্মগণ প্রোম, দোনব্য প্রভৃতি নগর হইতে তলৈঙ্গদিগকে তাড়াইয়া দেন। উক্ত বৎসরেই পেগুরাজ পুনরায় প্রোম অবরোধ করেন। অলৌঙ্গপয়া সদলে তথায় উপনীত হইয়া নগররক্ষা করিয়াছিলেন। এইরূপে উপর্যাপরি ব্ৰহ্মহস্তে পরাজিত হইয়া তাহার উত্তর বহ্ম পরিত্যাগপূৰ্ব্বক দক্ষিণত্রহ্মে প্রত্যাগত হয় এবং সমুদ্রতীর ও নদীর মোহানাপাশ্ববৰ্ত্তী বাণিজ্যস্থানসমূহ অধিকার করে। ১৭৫৫ খৃষ্টাব্দে, পেগুরাজভ্রাতা পুনরুদ্যমে ব্ৰহ্মরাজবিরুদ্ধে যুদ্ধযাত্রা করেন। কিন্তু তিনি শক্রহস্তে পরাজিত হওয়ায় সদলে সিরিয়ম-দুর্গে আশ্রয় লইতে বাধ্য হন। ঐ সময়ে সম্রাট অলৌঙ্গপয়া হামবাসীর আক্রমণ ও প্রজাবিদ্রোহ হইতে স্বদেশ রক্ষা করিতে ব্যস্ত ছিলেন, কাজেই তিনি পেগুবাপাদিগের পশ্চাদমুসরণ করিতে পারেন নাই। কিছুকাল সুপ্তিরচিত্তে সিরিয়মচুর্গে বাস করিলেও, তাহাদের সুখস্বপ্ন অচিরায় ভাঙ্গিয়া যায়। সম্রাট অলৌঙ্গপয়া হামযুদ্ধ-জয়ে স্পন্ধিত হইয়া প্রত্যাবর্তনকালে সিরিয়ম দুর্গ অবরোধ করেন, আত্মরক্ষাপরাধ পেশুবাসিগণ ভীতিপরবশ হইয়া শক্রকে দুর্গ ছাড়িয়াদিল। এই যুদ্ধে পেগুপক্ষে ফরাসী ও ব্রহ্মপক্ষে ইংরাজ নাৰিকগণ সহায়তা করিয়াছিলেন। ডুপ্নে প্রেরিত ফরাসীরণতরী নদীপথে আসিলে ব্রহ্মরাজসৈন্ত তাহ লুণ্ঠন করিয়া লয়। ঐ সময়ে এক খানি ফরাসী রণতরী নাবিক সহ নদীগর্ভে নিমজ্জিত হুইয়াছিল। অপরের সাহায্যলাভে বঞ্চিত এবং নদীতীরবর্তীস্থানসমূহ ব্ৰহ্মরাজের অধিকৃত হইলে পেগুবাসিগণ সহজেই বস্ততাস্বাকার করিয়াছিল। ১৭৫৭ খৃষ্টাৰে সম্রাটু অলৌঙ্গপয়া ছলপুৰ্ব্বক নগরবার উন্মোচন করাইলেন এবং নগর অধিকার করিয়াই স্বীয় প্রতিজ্ঞ জুলিয়া গেলেন। নগর অধিকৃত হইবার পর, উন্মত্ত সেনাদল নগরপুণ্ঠনে প্রবৃত্ত হইয়াছিল। [ ১৩৫ ] ব্ৰহ্মদেশ পর বংলার অধীনতা-শৃঙ্খল মুক্ত হুইবার জন্য পেশুবাসিগণ বৃথা চেষ্টা করে। টাভয়-জয়ের পর তিনি শু্যামরাজ বিরুদ্ধে একটী অভিযান করেন। পথিমধ্যে তিনি মাগুঞ্জ ও তেনাসেরিম অধিকার করিয়াছিলেন, শুrম-রাজধানীঅবরোধকালে তিনি পীড়িত হইয়া পড়েন। এরূপ অবস্থায় স্বদেশে প্রত্যাবৰ্ত্তনকালে পথ-মধ্যেই ১৭৬৯ খৃষ্টাব্দে ৫ বৎসর বয়ঃক্রমকালে তাহার জীবঙ্গীলা শেষ হয় । তিনি প্রায় ৮ বৎসর রাজত্বের পর এইরূপ একটা সাম্রাজ্যস্থাপনে সমর্থ হইয়াছিলেন। মৃত্যুর পুর্ব বৎসর তিনি ইংরাজকে পেগুদিগের সাহায্যকারী সন্দেহ করিয়া তাহাদের বিরুদ্ধাচারা হন। এই ভিত্তি-শূন্ত ভ্ৰমে পড়িয়া তিনি নেগ্রিসবন্দরে ইংরাজের হত্যাকাও সাধন করিয়াছিলেন । তাহার মৃত্যুর পর, জ্যেষ্ঠপুত্র নোঙ্গদ গ্যি রাজা হন। কনিষ্ঠ ভ্রাত হসিন্‌-ফু-য়িন ও জনৈক সেনানা তাহার রাজত্বসময়ে বিদ্রোহী হইয়া রাজ্যের বিশৃঙ্খলত। উৎপাদন করে । তিন বৎসর রাজ্যশাসন করিয়া তিনি কালগ্রাসে পতিত হন। নাবালক ভ্রাতুষ্পুত্রকে সিংহাসনে না বসাষ্টয়া খুল্লতাত হসিন্‌ফু-য়িন্‌ স্বয়ং রাজদণ্ড গ্রহণ করিলেন। রাজপদে অধিষ্ঠিত হইয়া তিনি স্বীয় পিতৃদেবপ্রদশিত পথামুসরণপুৰ্ব্বক ১৭৬৬ খৃষ্টাব্দের মধ্যে রাজধানীর নিকটবর্তী জনপদসমৃঙ্গ অধিকার করিয়াছিলেন। এমন কি, শু্যাম ও মণিপুররাজ্য ও তাহার অধিকার ভুক্ত হইয়াছিল। তাহার বিক্রমে স্পৰ্দ্ধিত ব্ৰহ্মসৈন্ত যখন ধীরে ধীরে দেশ জয় করিতে ছিল, তৎকালে ফুলান-প্রদেশ ইষ্টতে প্রায় ৫০ হাজার চীনসৈঙ্গ ব্ৰহ্মরাজ্য আক্রমণ করে। সুকৌশলী রঙ্গরাজের চাতুরাজালে আবদ্ধ হইয়৷ চীনসৈন্য পরাভব স্বীকার করে। সেই সুবিশাল সেনা-বাহিনীর মধ্যে একটা প্রাণী ও স্বদেশে প্রত্যাগমন করে নাই। কেবল মাত্র ২॥• হাজার সেনা ব্রহ্মবাসীর দাসত্ব করিবার জন্ত বন্দিরূপে রাজধানীতে আনীত হইয়াছিল । চীনত্ৰহ্ম দ্ধে অবসর বুঝিয়া (১৭৭১ খৃষ্টাম্বে) গুণমরাজ অধীনতাপাশ উচ্ছেদ করিবার জন্য ব্ৰহ্মরাজ-বিরুদ্ধে অস্ত্র ধারণ করেন। তঁাচার দণ্ডবিধান জন্য সদলে ব্ৰহ্মসৈন্ত দক্ষিণাভিমুখে চলিল । রেজুন নগরের সন্মুখদেশে পেগু ও ব্রহ্মসৈন্তে বিবাদ উপস্থিত হইলে, পেগুসেনাদল দারুণ নৃশংসভাবে ব্রহ্মসৈন্তদিগকে বিনাশ করিয়াছিল। ১৭৭৪ খৃষ্টাব্দে রাজা হসিন্‌স্কারিন স্বয়ং এই দমু্যদলের কৃতাপরাধের সমুচিত দণ্ড দিতে অগ্রসর হন । প্রথম যুদ্ধেই তিনি পেণ্ডবাসার নিকট হইতে মার্ভাবান-প্রদেশ ও দুর্গ অধিকার করেন। তংপর বৎসরে তিনি ইরাবতীৰক্ষে সসৈন্ত অবতীর্ণ হইয়া রেজুন নগরে উপনীত হন এবং স্বীয় উদ্দীপ্ত