পাতা:বিশ্বকোষ ত্রয়োদশ খণ্ড.djvu/২৭৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভরতপুর বিচরণ করিয়া থাকে। কৃষকগণ তাড়না করিলে পলায়ন কালে যতই তাহারা ধীরে ধীরে বায়ুবক্ষে আরোহণ করিতে থাকে, ততই তাহাদের সুমধুর কলধ্বনি মানবের শ্রীতি-গোচর হইতে থাকে। তাছাদের সেই গীতধবনির স্থায় স্বর-পরম্পরা মানবহৃদয় মোহিত করিতে সমর্থ।

      • I's no story to Sky Lark (Alauda arvensis),

3Ffr-ri—Alouette, Estritt 5–Lodola, wośforts-Feld - Lerche, wbors—Lavrock, পশ্চিমভারতে-ভরত,ভরুত ; - বাঙ্গালায়—ভরুই, ভরত ; তেল গু—বন্ধত-পিট্ট, নিয়ালাপিচিক ; তামিল-মনব-বড়ি, ব্রন্ধে—বি-লোন এবং সিংহলে— গোমরিট নামে প্রসিদ্ধ । সমগ্র ভারতসাম্রাজ্য, সিংহল, আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপ, হিমালয় পৰ্ব্বত এবং যুরোপের স্থানে স্থানে এই পক্ষিজাতি দেখিতে পাওয়া যায় । স্থানবিশেষে উহাদের গাত্র বর্ণের ও বিভিন্নত ঘটিয়া থাকে। হিমালয়জাত ভরতপক্ষা (A. arvensis) অনেকাংশে বাঙ্গালার ভরুই পক্ষীর সমান। গাত্রবর্ণের বিভেদ আদেী মাই বলিলেই চলে, কিন্তু পুকো ক্র গুলির অপেক্ষা শেষোক্তগুলি অপেক্ষা- | কত ক্ষু দাকার । ভারতের সব্বত্রই বৈশাখ হইতে আষাঢ় এবং পৌষ হইতে চৈত্র মাসে তাহার এক কালে প্রায় ৪ বা ৫টা ডিম্ব প্রসব করে । ঐ সময় তাহারা মূৰ্ত্তিকার উপর ঘাস দিয় না ভুনিন্মাণ করিয়া থাকে । ইংলণ্ডের A. arven৪i৪ ব্রহ্মে | [ ২৭৩ ] | H | | | | গুলির ডিম্ব হরিতাভ শ্বেত ও ধূসর বিন্দুযুক্ত । হিমালয় ও । বাঙ্গালার ভরুই গুলির ডিম্ব হরিদ্রাভ বা ঈষৎ বেগুনিয়া ও } ধূসর। পাৰ্ব্বতীয় পক্ষ অপেক্ষ বাঙ্গালার পক্ষাগুলির ডিম্ব fকছু ক্ষুদ্র । 酸 হছারা দলবদ্ধ হইয়া থাকিতে ভালবাসে । ‘স্কাই-লার্ক গুলি ধে গুণে ভূষিত, ভারতের ভরই এরও সে গুণের অভাব নাই । যখন তাহারা নাচিতে নাচিতে সুতানে বায়ুভরে উপরে উঠিতে থাকে, তখন আকাশবক্ষ যেন স্বস্বরলহরীতে পুর্ণ হইয়া যায়। নিবিড় বনান্তরালে দাড়াইয়৷ এই আকাশচারী স্ব ভাবস্বাধীন পক্ষিজাতির প্রাকৃতিক গীতি বড়ই মনোরম ৷ শীতকালে ধান্তক্ষেত্ৰাধিতে প্রায়ই ইহাদের সমাগম হয়। ইহার শস্যকণ ও পোক মাকড় থাইতে ভালবাসে। ভরতপুত্রক (পুং) ভরতন্ত নাট্যশাস্ত্রগুণেকু পুত্রক: নট। ভরতপুর, রাজপুতনার অন্তর্গত একটা হিন্দুরাজ্য। ভারতের ৰড়লাটের অধীনস্থ প্লাজকীয়-এজেন্টের কর্তৃত্বাধীনে রক্ষিত । ইহায় উত্তরে ইংরাজাধিকৃত গুরগাও জেলা, পুৰ্ব্বে মথুরা XIII যুরোপীয় ! 粤> ভরতপুর ও আগ্রা, দক্ষিণে ঢোলপুর, কেরোলী ও জয়পুর রাজা এবং পশ্চিমে আলবার প্রদেশ। ভূপরিমাণ ১৯৭৪ বর্গ মাইল । সমুদ্রপৃষ্ঠ হইতে এই স্থানের উচ্চতা প্রায় ৬• • ফিন্টু। সৰ্ব্বত্রই প্রায় সমতল, কেবল উত্তর, দক্ষিণ, পুধ ও পশ্চিম সীমান্তদেশে গওশৈলমাল বিরাজিত থাকায় দেশের প্রাকৃতিক সৌন্দৰ্য্য বদ্ধিত হইয়াছে। সমগ্ৰস্থান পলিময় হইলে ও এখানে বনামালার অভাৰ নাই। ঐ পলিময় মুক্তিক। কঠিন ও শুষ্ক এবং স্থানে স্থানে মরুভূ-সদৃশ বালুকায়াশিতে পুর্ণ । দেশীয় অধিবাসিন্ধুদের যন্ত্রে এরূপ স্থানেও প্রচুর শস্যাদি উৎপন্ন হইতেছে। বৃষ্টির সময় বস্থা প্রবাহে এখানকার নিম্নতম স্থানগুলি জলমগ্ন হুইয়া যায় । ভরতপুর, ফিরোজপুর, আলবার, গোপালগড় ও পাহাড়ী প্রভূতি স্থানের নিকটবৰ্ত্তী উত্তরদক্ষিণে বিস্তৃত গিরিমালার .ক একটা শৃঙ্গ সমধিক উন্নত, অপর স্থামগুলি গণ্ডশৈলের প্রাচীর-পরিশোভিত বলিয়। বোধ হয় । কালাপাহাড় মামক পৰ্ব্বতের আলিপুর শিখর ( ১৩৫১ ফিট) ভরতপুরের মধ্যে সৰ্ব্বাপেক্ষী উচ্চ । এতদ্ভিন্ন আলবারের ছাপরা ১২২২ ফিটু, দমদম ১২১৫, রসিয়া ১-৫৯, মধেীন ৭১৪, এবং উষেরাশৃঙ্গ ৮১৭ ফিট উচ্চ। উষেরায় বংশ-পাহাড়পুরের বিখ্যাত প্রস্তরখনি অবস্থিত মাছে । এখানকার পর্বতগুলিতে গৃহনিৰ্ম্মাণযোগ্য প্রস্তর ভিন্ন অন্ত কোন মূল্যবান প্রস্তর পাওয়া যায় না । মোগলসম্রাট - গণের মাগ্রা, দিল্লী ও ফতেপুর-সিক্রিস্থ কীৰ্ত্তিস্তম্ভ এবং মথুরা, দাগ ও ভরতপুরের অট্টালিকাদি এখানকার সংগৃহীত প্রস্তর স্তবকে নিৰ্ম্মিত । 臀 এই রাজ্য মধ্যে এমন মদী নাই, যাহাতে নৌকাযোগে গমনাগমন করা যায়। বাশগঙ্গা বা উত্তঙ্গন, রূপরেল, গষ্ঠীর ও কাকন নামক নদী গুলি এখানকার প্রধান । সময় সময় ঐ নদীগুলি বস্তাশ্লাবিত হইলে ৪, হাটিয়া পার হওয়া যায়। বাণগঙ্গা নদী ভরতপুরের মধ্য দিয়া প্রবাহিত। ভরতপুর, লীগ, ব্যান (বিয়ানা ), কমান, কুম্ভের ও রুফাস এখনকার প্রধান নগর । ইতিহাসপাঠে জানা যায় যে, এখানে জাটগণ আধিপত্য বিস্তার করিয়াছিলেন ; কিন্তু প্রকৃতপক্ষে কোন সময় হইতে তাহার। এখানকার শাসনদও ধারণ করিয়াছিলেন, তাহার কোন বিশেষ উল্লেখ পাওয়া যায় না । ফিরিস্তায় লিখিত আছে ধে, গজনীপতি মাঙ্ক, ১-২৬ খৃষ্টাব্দে গুজরাত হইতে প্রত্যাবৰ্ত্তন কালে জাটদল কত্ত্বক আক্রাস্ত হন। ১৩৯৭ খৃষ্টালে দিল্লী আক্রমণকালে তৈমুরলঙ্গ, জাটনস্থ্যদিগের