ভারতবর্ষ [ రిyరి } ভারতবর্ষ -F হেতু ধৰ্ম্মলোপ হইতেছে দেখিয়া ব্রাহ্মণগণ এই সময়ে সামাজিক ! ও পারিবারিক বিধিনিয়ম-সংস্কারের জন্ত স্থতিসংগ্ৰহ করিয়া । হিন্দুধৰ্ম্ম রক্ষা করিতে চেষ্টা করিয়াছিলেন। তাই আমরা | মুসলমান প্রাদুর্ভাৰের বিভিন্ন সময়ে মাধবাচার্য্য, বিশ্বেশ্বর | ভট্ট, চণ্ডেশ্বর, বাচস্পতিমিশ্র, আচাৰ্য্য চূড়ামণি, প্রতাপরুদ্র, রঘুনন্দন ও কমলাক প্রভৃতিকে হিন্দুধৰ্ম্মরক্ষায় তৎপর । দেখিতে পাই । : পাঠান-সংঘর্ষণের বিশেষ মালোড়নে কিছুসমাজে একটী । মহৎ পরিবর্তন ঘটিয়াছিল। মুসলমানের একেশ্বর উপাসনার অনুকরণ করিয়া হিন্দুগণ একেশ্বরবাদী ধৰ্ম্মপ্রবর্তনে মনোনিবেশ করিয়াছিলেন। খৃষ্টপূৰ্ব্ব ৫ম ও ৬ষ্ঠ শতকে জৈন ও বৌদ্ধ-প্রাদুর্ভাবের সময় ব্রাহ্মণ, ভিক্ষু ও আচার্য্যগণের হস্তে যেরূপ ধৰ্ম্মস্তিারের পন্থা উন্মুক্ত হইয়াছিল, খৃষ্টীয় ১৫শ । বা ১৬শ শতান্ধেও তষ্কপ ব্রাহ্মণ ব্যতীত সাধু সন্ন্যাসীর যন্ধে ধৰ্ম্ম- ' সম্প্রদায়ের প্রসার বৃদ্ধি পাইয়াছিল। পূর্বোক্ত সময়ে পালি ও । মাগধী প্রভৃতি ভাষায় ধৰ্ম্মগ্রন্থসমুহ রচিত হইয়াতগুদ ভাষা যেরূপ পুঃ ও পাঠ্যরূপে নিৰ্বাচিত হইয়াছিল, এই সময়ে ও চৈতন্তের প্রভাবে বাঙ্গালা, নানক হইতে পঞ্জাবী, কবীর হইতে হিন্দী ও তৃকারাম হইতে মহারাষ্ট্র ভাষায় নানাগ্রন্থ প্রচারিত হয়। একদিকে যেমন ধৰ্ম্মবিপ্লবে ভারতে বিভিন্ন ধৰ্ম্মসম্প্রদায়ের সমাবেশে ভারতীয় হিন্দুগণের ধৰ্ম্মপ্রাণ উত্তেজিত হইয়া ছিল, ; অদ্যদিকে তেমনি রাষ্ট্রবিপ্লব-প্রবাহে ভারতের নানাস্থানে খণ্ডরাজ্যসমূহ স্বীয় স্বীয় স্বাধীন-শাসন বিস্তার করিয়াছিল। ইহাতে দাক্ষিণাত্যে ক একট হিন্দুরাজ্য স্থাপিত হইলেও মুসলমানের হিন্দুবিদ্বেষে দেশোৎসদিনকর মহৎ অমঙ্গল সাধিত হইয়াছিল। মহম্মদ তোগলকের শাসন-বিশৃঙ্খলার সুবর্ণগ্রাম ও গৌড়ের শাসনকৰ্ত্তার বিদ্রোহী হন। অবশেষে গৌড়েশ্বর সামস্উদান সমগ্র বাঙ্গালা অধিকারপূর্বক স্বাধীনভাবে রাজত্ব করিতে থাকেন। ফিরোজ তোগলক্ষ ইহাকে দমন করিতে না পারিজ, ১৩৫৭ খৃষ্টাৰে স্বাধীন বলিয়া স্বীকার করেন। ইহার পর দিনাজপুরের হিন্দু রাজা গণেশ (কংস ) সামস্ ॐकौरनब्र cनोजरक निथन कब्रिग्र ०8०० शृंडेizक निरशंगटन উপৰিষ্ট হন । তাছার বংশীয়গণ প্রায় ৪০ বর্ষ কাল রাজত্ব করিয়াছিলেন। ১৪৪৫ খৃঃ অঃ তাহার বংশধরকে রাজ্যচ্যুত कब्रिग्रा नूनब्राब गांधन् फेकौप्नब्र बश्नषद्र हेनांछन्नाशै ब्राजभ१ ৪২ ৰৎসর রাজত্ব করেন। র্তাহীদের রাজত্বের শেষ সময় খোজা ও হাদিগণের বিপ্লৰে জালোচিত হইয়াছিল। হাবুলি লঙ্কার ফিরোজ পুরী (১৪৬১-৯৩ খৃঃঅঃ) বিশেষ দক্ষতার সহিত রাজকাৰ্য্য পরিচালন করিয়াছিলেন। তৎপুত্রকে রাজ্যচু্যত করিয়া মুঞ্জঃফর হাব সি সিংহাসন অধিকার করিলেন ; কিন্তু অমাত্যবর্গ ১৪৯৬ খৃঃ অঃ যড়যন্ত্র করিয়া তাছাকে নিধনপুৰ্ব্বক উঞ্জীর সৈয়দ সরিফকে সিংহাসন প্রদান করেন। মন্ত্রি প্রধান আলাউদ্দীন হুসেন-শাহ নামধারণ করিয়া বাঙ্গালা শাসন করিতে থাকেন। ১৭৯৪ খৃষ্টাম্বে তিনি খোজা হাব সিদিগকে রাজ্য হইতে বহিস্কৃত করিয়া দেন । বাল্যকালে মুবুদ্ধি থ’ নামক জনৈক কায়স্থ রাজকৰ্ম্মচারীর অধীনে কৰ্ম্মকালে তিনি হিন্দুর সৌজন্তে বিশেষ প্রীত ছিলেন । হিন্দুর প্রতি শ্রদ্ধাপরবশ হইয়। তিনি রূপ ও সনাতন নামক ধায়িক হিন্দু প্ৰবন্ধকে রাজকার্য্যে নিযুক্ত রাখিয়াছিলেন । তৎপুর নসরৎ শাহ ও মাঙ্গদ সাহের রাজত্বের ১৫৩৬ খৃঃ অঃ শেরশাহ মাগধকে পরাজিত করিয়া বাঙ্গালার স্বলতান হন। তত্ত্বশায়গণ দিল্লী হইতে বিতাড়িত হইলে সামর্থ্যহীন হইয়া পড়েন । ১৫৬৩ খৃঃ অঃ করাণী বংশীয় সলিমান তাহাদিগের নিকট হইতে বঙ্গসিংহাসন কাড়িয়া লয়ে। মুলিমানের হিন্দুধৰ্ম্মত্যাগী বিখ্যাত সেনানী কালাপাহাড় ১৫৬৫ খৃঃ অঃ মুকুন্দদেবকে পরাজিত ও জগন্নাথ-মূৰ্ত্তি দগ্ধ করিয়া বঙ্গে আধিপতা বিস্তার করিয়াছিল। ১৫৭২ খৃঃ ম: মুলিমানের মৃত্যুর পর তদ্ৰাতা*ঙ্গ খ বাঙ্গালার সিংহাসন প্রাপ্ত হন। তাহার সহিত মোগলসম্রাট আকবর শাহের বিরোধ উপস্থিত হওয়ায় বাঙ্গালা প্রদেশ ১৫৭৫ খৃঃ অঃ মোগলসাম্রাজ্যের মন্তভূক্ত হইয়াছিল। মহম্মদ তোগলকের শাসনকৰ্ত্ত মালিক উস্ শর্ক (খোজা জহান্) ১৩৯৪ খৃষ্টাব্দে জৌনপুরে স্বাধীনশাসন বিস্তার করেন। তদ্বংশীয় ৬ জন রাজ জৌনপুরনগরী সৌধমালায় বিভূষিত করিয়াছিলেন। সিকেনার লোদী কর্তৃক জৌনপুর বিধ্বস্ত হইলে শর্কিবংশের অবসান হয় । [ জৌনপুর দেখ } তৈমুর লঙ্গের ভারতাক্রমণ-সময়ে (১৪৪৩ খৃঃজঃ) দিল্লীশ্বর মুলতান প্রদেশে শাসন-শৃঙ্খলা-স্থাপনে অক্ষম হইলে, তথাকার অধিবাসিগণ সেথ যুমুফ নামক জনৈক ব্যক্তিকে রাজ মনোলীত করে। ১৪৪৫ খৃঃ অঃ লুঙ্গবংশীয় যায় শিহয় তাহাকে নিহত করিয়া মুলতান অধিকার করেন। ৩৭ খৃঃ অঃ পৰ্য্যস্ত লুঙ্গবংশীয় রাজগণ এখানে রাজত্ব করিয়াছিলেন । তৎপরে সিন্ধুপ্রদেশের শাসনকৰ্ত্ত শাহ হুসেন অঘূর্ণ মুলতান জয় করেন। সম্রাট আকবর শাহ অর্ধনরাজ্য নিজ শাসনধীন করিয়াছিলেন । [ মুলতান দেখ ] গুজরাতের শাসনকৰ্ত্ত ফর্থাৎ-উল-মুলক হিন্দুর পক্ষাবলম্বন করিয়া হিন্দুমন্দিরাদি নিৰ্ম্মাণ করিতেছেন গুনিয়, দিল্লী
