পাতা:বিশ্বকোষ একাদশ খণ্ড.djvu/২৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পর্তুগীজ [ २8 ] পর্তুগীজ পর্তুগালযাত্রা করিল। ফরাসীদিগকে তারতের পথ দেখাইতে গিয়াছিল বলিয়া পর্ত গালরাজের নিকট সে অপমানিত হইয়াছিল। এখন রাজার প্রসন্নতা লাভের আশায় কাহাকেও কিছু না বলিয়া গোপনে শুভসংবাদ দিতে চলিল। যাত্রাকালে র্তাহার সঙ্গে কএকজন মাঝিমাল্লা ছিল, কিন্তু সমুদ্র মধ্যে সকলেই বিনষ্ট হইল । একাকী কাণ্ডারাবিহীন হুইয় বোটেলছে। সেই ক্ষুদ্র ডিঙ্গি চালাইয়া লিসবননগরে উপস্থিত হইল। পৰ্ত্ত গালরাজ তাছার অসীম সাহসের প্রশংসা করিলেন, কিন্তু তাহার ভাগ্য সুপ্রসন্ন হইল না। ১৪৩৬ খৃষ্টাবো নানা-দা-কান্‌ছ নিজে উপস্থিত থাকিয়া ৰসাই মগরে টুর্গনিৰ্ম্মাণ করিলেন। এদিকে পর্তুগীজের ভারতের পশ্চিমউপকূলে প্রায় সকল প্রধান নগরে পর্তুগালরাজের বিজয়পতাকা উঠাইলেও, পর্তুগালরাজ অশোকুরূপ অর্থ পাইতেছিলেন না, ভারত-মহাসাগরীয় দ্বীপপুঞ্জে প্রভূত বাণিজ্য চলিলেও, পর্তুগীজকাপ্তেন ও পর্ত - গীজরাজকৰ্ম্মচারীরাই তাহার ফলভাগী হুইতেছিলেম। এখন মান-দা-কান্‌ছ তাহার প্রতিবিধানে অগ্রসর হইলেন ; কিন্তু | উছিার উদ্দেশু মহৎ হইলেও অর্থের লোভ এড়াইতে পারিলেন না । ১৫৩৭ খৃষ্টাব্দে কাম্বেরাজের মৃত্যু হইলে দিল্লীর মোগলসম্রাটের গুগলক মীর মহম্মদ জমান • • • • অশ্বারোহী সহ জাসিয়া কাম্বে অধিকার করেন এবং অর্থস্থার পর্তুগীজ শাসনকৰ্ত্তাকে বশীভূত করিয়া গুজরাতের রাজা হইলেন ; কিন্তু কাম্বেরাজের ভ্রাতুপুত্র আহ্মদ শীঘ্রই প্রভূতসৈন্ত সংগ্ৰহ করিয়া নবনগর রাজধানী আক্রমণ করিলেন । মহম্মদের পক্ষীয় অনেকে উৎকোচ পাইয়া আহ্মদেয় পক্ষাবলম্বন করিয়াছিল, কাজেই মীর মহম্মদ পরাজিত হইয়া বঙ্গদেশে পলায়ন করিতে বাধ্য হইলেন। এই সময় পৰ্ব গজেরাও বাঙ্গালায় বাণিজ্য ও পর্তুগালরাজের প্রভাব বিস্তারের চেষ্টায় ছিল। ইতিপূৰ্ব্বে বলিয়াছি, মাটি আফন্সে ও কতকগুলি পৰ্ব গীজ বাঙ্গালীয় বন্দী হইয়াছিল, তাহারা বঙ্গাধিপের হইয়া পাঠানদিগের সহিত যুদ্ধ করিয়াছিল, শেষে খোঞ্জা খবাদিমের চেষ্টায় তাহারা মুক্তিলাভ করে । এই খোজা খবাদিম পৰ্ত্ত গীজরাজপ্রতিনিধিকে বলিয়া পঠাইয়াছিলেন, যদি তাহাকে হরমুজদ্বীপে পঠাইয়া দিতে পারেন, তাহ হইলে তিনি চট্টগ্রাম, বন্দরে পর্ব গালরাজের পক্ষে দুর্গনিৰ্ম্মাণের অমুমতি লইতে পারেন । নানা-দা-কাল্হা খোজার প্রস্তাব অস্তি আহিলাদে গ্রহণ করিলেন। অবিলম্বে মার্টিম্ আফন্সোর অধীনে ৫ খানি छांशांज २०० ¢नैाक णश् गाठाहेगन । मार्छिन् कःdांमझाजरक দিবার জন্তু অনেক উপহার অনিয়াছিলেন । কিন্তু উপহার লওয়া দুরের কথা, চট্টগ্রামপতি আফন্সে ও ১৩ জনসঙ্গীকে বন্দী করিয়া ফেলিলেন। পর্তুগীজরাজপ্রতিনিধি এ সংৰদি পাইবামাত্র আন্টোনিও-ডি-লিঙ্গম্ভা-মেলেজিসের অধীনে ৩৫০ छन (नो-cनमा ७ २ थॉनि छांशांछ *ांठंॉरेंटणम । cथांछ? খবাদিমের সাহায্যে জান্টোনিও বশীদিগকে মুক্তি দিবার জগু পর্তুগীজ গবর্ণরের পত্র ও দেয় উপহার প্রেরণ করেন, কিন্তু রাজার নিকট হইতে উত্তর আসিতে বিলৰ দেখিয়া পর্তুগীজগণ চট্টগ্রাম ও উপকুলবর্তী অক্সান্ত অনেক গ্রাম দগ্ধ করিতে লাগিলেন। রাজা এ সংবাদ পাইয়া বশীদিগের প্রতি জায়ও কঠোর ব্যবহার করিতে আদেশ দিলেন। ইহার অল্পপরে সের র্থ বিদ্রোহী হইরা পর্তুগীজদিগের সাহায্যে বঙ্গাধিপকে পরাজয় করিলেন । এজন্তু রাঞ্জ পর্তুগীজ বন্দীদিগকে ছাড়িয়া দিলেন। সেই সময় হইতে বঙ্গে পর্তুগীজদিগের উৎপাত আরম্ভ হইল। ইহার পর পর্তুগীজের ভারত-মহাসাগরে আরও অনেকগুলি ক্ষুদ্র দ্বীপ জাবিষ্কার করিয়া তথায় খৃষ্টানধৰ্ম্ম প্রচার ও বাণিজ্যস্থাপন করিলেন । ১৫৩৮ খৃষ্টাব্দে ২৮এ সেপ্টেম্বর, তুরস্কের মুলতান মিসরের শাসনকর্তা সলিমান পাশাকে দীউ অধিকার ও তথা হইতে পর্ভ গীজদিগকে তাড়াইয়া দিবার জন্ত পাঠাইলাছিলেন। এখানে পর্তুগীজ অধ্যক্ষ ফ্রান্সিস্কো পাচেকোর সহিত সলিমামের ঘোরতর যুদ্ধ হইয়াছিল। এই যুদ্ধে উভয় পক্ষে বিস্তর লোক ক্ষয় হইয়াছিল, রুমী, ভুৰ্কী ও । পর্তুগীজসেন এই যুদ্ধে অসাধারণ বীরত্ব দেখাইয়াছিল । শেষে মুসলমানের গোলার ছত্রভঙ্গ হইয়া পর্ব গ্ৰীজ অধ্যক্ষ আত্মসমর্পণ করিতে বাধ্য হইয়াছিলেন। কেবল সিঙ্গবের নামক পর্তুগীজধীরের অদম্য উৎসাহে সলিমান দুর্গবিজয়ে সমর্থ হইলেন না। এদিকে মানো-দা-কানুহ সলিমানকে অtফ্রমণ করিধার জঙ্ক বহু সৈন্ত সংগ্রহ করিতেছিলেন, কিন্তু ডম গাদিয়া-দা-নোরমূহ। তাহার স্থানে রাজপ্রতিনিধি হইয় ভাসায় তাহার উদ্যমভঙ্গ হইল। সলিমান প্রায় ৩ মাসকাল দীউ অবরোধ করিয়াছিলেন, শেষে খোজা জাফরের কুপয়ামর্শে তিনি অবরোধ উঠাইয়া স্বদেশ যাত্র করেন। ডম গার্সিয়া ও জোয়ণ ও দ।-লালবুকার্ক। ডম্ গীদিয়ায় সহিত কাষ্টিলনিবাসী জোয়ণও-দা-জালবুকার্ক, পর্তুগীজ-ভারতের প্রথম বিশপ হইয়া আসিলেন। উত্তমাশা-অন্তরীপ হইতে ভারত পর্যাপ্ত সমুদায়স্থানবাসী খৃষ্টানদিগের ইনিই প্রধান ধৰ্ম্মগুরু হইলেন। পর্তুগীজদিগের মধ্যে