পাতা:বিশ্বকোষ একাদশ খণ্ড.djvu/৫৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পৰ্ব্বত [ 6१ ] পৰ্ব্বত -* _ - মৎস্তপুরাণে কৃত্রিম পৰ্ব্বতদানের বিষয় দেখিতে পাওয়া যায়। দশপ্রকার কৃত্রিম পৰ্ব্বত প্রস্তুত করিয়া ব্রাহ্মণকে যথাবিধি দান কল্পিলৈ অশেষ পুণ্য সঞ্চয় হয়। ৯ প্রকার পর্বত্ত “প্রথমে ধান্তশৈলঃ স্তান্দ্বিতীয়ে লবণাচলঃ। গুড়াচলস্থতীয়স্ত চতুর্থে হেমপৰ্ব্বতঃ ॥ পঞ্চমস্তিলশৈলঃস্তাৎ ষষ্ঠঃ কাপাসপৰ্ব্বতঃ । সপ্তমোয়ুতশৈলশ্চ রত্নশৈলস্তখাষ্টমঃ । রাজতে নবমস্তদ্বৎ দশমঃ শর্করাচলঃ । বক্ষ্যে বিধানমেতেষাং যথাবায়ুপূৰ্ব্বশঃ ॥" ( মৎস্তপু ৭৭ অ” ) প্রথম ধান্তপৰ্ব্বত, দ্বিতীয় লবণ, তৃতীয় গুড়াচল, চতুর্থ হেমপৰ্ব্বত, পঞ্চম তিলাচল, ষষ্ঠ কার্পাসপৰ্ব্বত, সপ্তম शुऊरे*टा, অষ্টম রত্নশৈল, নবম রাজতপৰ্ব্বত এবং দশম গুড়াচল। এই দশপ্রকার কৃত্রিম পৰ্ব্বত প্রস্তুত করিয়া দান করিতে হয়। ইহার বিধান এইরূপ-অয়ন, বিষুব দিন বা পুণ্যকাল, ব্যতীপাত, দিনক্ষয়, শুরুত্বতীয়, গ্রহণ, বিবাহ, উৎসব বা যজ্ঞোপলক্ষে অমাবস্ত বা পূর্ণিমা তিথিতে এবং শুভদিনে ধান্তশৈলাদি যথানিয়মে প্রস্তুত করিয়া দান করিবে । নিম্নলিখিত নিয়মে ধান্তাদিপৰ্ব্বত প্রস্তুত করিতে হয়। প্রথমে উত্তরমুখে একচতুরস্র মণ্ডপ প্রস্তুত করিবে, ঐ স্থান উত্তমরূপে গোময়াদি দ্বারা পরিলিপ্ত করিয়া ভূমিতে কুশ বিছাইয়া ধান্তগিরি করিতে হইলে সহস্ৰ দ্রোণপরিমিত ধান্তদ্বারা করিতে হইবে, ইহাই শ্ৰেষ্ঠ, পঞ্চশত দ্রোণে মধ্যম এবং তিনশত দ্রোণে করিলে তাহ কনিষ্ঠ ধান্তপৰ্ব্বত হয় । [ ধান্তপৰ্ব্বত প্রভৃতি দ্রষ্টব্য। ] লবণ পৰ্ব্বতের বিধান—যিনি বিধিপূৰ্ব্বক লবণাচল দান করেন, তিনি অনায়াসে শিবলোকে গমন করেন। ইহার মধ্যে ১৬ দ্রোণ লবণে উত্তম, ৮ দ্রোণে মধ্যম এবং ৪ দ্রোণে কনিষ্ঠ লবণাচল হয়, বিত্তহীন ব্যক্তি এক দ্রোণের উদ্ধ যাহা পারে, তাহাতেই লবণাচল করিবে । যাহা দ্বারা পৰ্ব্বত করিবে, তাহার চতুর্থাংশ দ্বারা বিন্ধস্ত পৰ্ব্বত করিবে এবং ধান্তপৰ্ব্বত দানের নিয়মানুসারে আর সকল কাৰ্য্য করিতে হইবে। নিম্নলিখিত মন্ত্র পাঠ করিয়া দান করিবে । দানমন্ত্র “সৌভাগ্যরসসস্তুতে যতোহয়ং লবণে রসঃ । তথাত্মকত্বেন চ মাং পাহি পাপান্নগোত্তমঃ ॥ যম্মাদারসাঃ সৰ্ব্বে সোৎকট লবণং বিন। প্রিয়শ শিবয়োনিত্যং তস্মাৎ শান্তিপ্রদে ভব ॥ বিষ্ণুদেহসমুদ্ভুতো যম্মাদারোগাবৰ্দ্ধনঃ। তস্মাৎ পৰ্ব্বতরূপেণ পাহি সংসারসাগরাৎ ॥* এই ময়ে লবণাচল দান করিবে । যথাবিধি এই পৰ্ব্বত দান করিলে প্রথমে কল্প পরিমাণকাল উমালোকে বাস করিয়া XI (t T ---------- سیستم তাহার পর পরাগতি লাভ হইয়া থাকে । [ ধাজ্ঞাদি যে দশ প্রকার পর্বতদালের বিষয় বলা হুইয়াছে, তাহাদের প্রত্যেকের বিবরণ তত্বত শব্দে দ্রষ্টব্য । ] ( মৎস্তপু• ৭৭ জঃ ) ২ দেবর্ষিবিশেষ । • * “কশুপাল্লারদশ্চৈব পৰ্ব্বতোহরুন্ধতী তথা।" ( অগ্নিপু” ) মারদের সছিত পৰ্ব্বত ঋষির বিশেষ মিত্রত ছিল, ইনি ঋকৃসংহিতার ৮১২৯, ১০৪ ও ১০৫ ঋকের ঋষি । ৩ মৎস্তৰিশেষ, পাবদা মাছ, ইহার গুণ-বায়ুনাশক, স্নিগ্ধ, বল ও শুক্ৰকারক । ( রাজব” ) ৪ বৃক্ষ । ৫ শাকতেদ । ( মেদিনী ) ৬ সপ্ল্যাসিবিশেষ । “বসেৎ পর্বতমূলেষু গ্রেীঢ়ে যে ধ্যানধারণাৎ । সারাৎসারং বিজানাতি পৰ্ব্বতঃ পরিকীৰ্ত্তিতঃ ॥” ( প্রাণতোষিণীত অবধূতপ্র” ) যিনি ধ্যান ও ধারণা অবলম্বন করিয়া পৰ্ব্বতমূলে অবস্থান করেন, তিনি অচিরে সারাৎসার বস্তু জানিতে পারেন এবং তাহাকে পৰ্ব্বত কহে । ৭ গন্ধৰ্ব্বভেদ । ( ভারত ১১৮৭ অঃ ) ৮ সন্ধ্যার গর্ভজাত ধৰ্ম্মের পুত্র দেবভেদ । ( মৎস্তপু” ২•৪) ৯ পৌর্ণমাসের পুত্রভেদ । ১০ সস্তুতির গর্ভজাত মরীচির এক পুত্র । ( মার্ক পুং ৫২.১৯ ) ১১ রাজা পুরূরবীর একমন্ত্রী । * ৷ বহুদুর বিস্তৃত প্রস্তরবহুল অত্যুচ্চ শিখরবিশিষ্ট ভূখণ্ডের নাম পৰ্ব্বত। সাধারণতঃ পৰ্ব্বত বলিলে আমরা যাহা বুঝি, হিমালয়, বিন্ধ্য, সহাদ্রি নামেও সেই ভাব আমাদের হৃদয়ঙ্গম হয় । যাহার কখনও পৰ্ব্বত দেখেন নাই, তাহীদের পক্ষে পৰ্ব্বতের অর্থ কেবল উচ্চভূমির ধারণ মাত্র। হিমালয়াদি অত্যুচ্চ গিরিশ্রেণী ব্যতীত আরও যে সমস্ত ( পাহাড় ) উচ্চস্থান বা দুইট সমতল ক্ষেত্রের মধ্যে প্রাচীররূপে দণ্ডায়মান আছে, তাহাও পৰ্ব্বত । কিন্তু পরস্পরের উচ্চতা ও নিম্নত। জানাইবার জন্য পৃথকৃ পৃথক্ নামানুসারে সেই বিশেষত্ব লক্ষিত হইয়াছে। পৰ্ব্বত, গিরিমালা, ক্ষুদ্রপৰ্ব্বত বা পাহাড় এবং উপল বহুল $5%f, of Fox offort Mount or Mountain, Mountain-range or chain, hill, hillock and rocks নামে খ্যাত । - পৰ্ব্বত বলিলেই যে কেবল অজানিত রসমিশ্রিত মুক্তিক। ব্যতীত আর কিছুই বুঝিতে হইবে না এমন নহে। পৰ্ব্বত ধনধান্সের আকর । পৰ্ব্বতগহবরে নানাবর্ণের প্রস্তর ব্যতীত কত শত স্বর্ণ রৌপ্যাদি ধাতুর খনি, হীরক মাণিক্যাদি মূল্যবান মণি, কয়ল, হরিতলি, খড়ি প্রভৃতি মুক্তিকাজাত প্রয়োজনীয় দ্রব্য এবং গণনাতীতকালে যুক্তিকাপ্রোথিত জীবদেহের প্রস্তরীভূত অস্থিসমূহ (Fossils) পাওয়া যায়। কালে মৃত্তিক দৃঢ় হইয়।