পাতা:বিশ্বকোষ একাদশ খণ্ড.djvu/১০৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পহলবী [


F ~-oo-o-o-o-o

আধুনিক পারস্ত ভাষায় ( যাহাকে চলিত কথায় পারসী বা ফার্সী বলে, তাহাতে ) “পাহ লু” শব্দের অর্থ "প্রান্ত” বা পাশ্ব, ইহা হইতে তিনি “পল্লব’ অর্থে “প্রাস্তদেশীয় ভাষা” বলেন ? ডাঃ হৌগ বলেন, অনেকে এই অর্থ স্বীকার করিলেও একটা প্রাস্তবর্তী ভাষা যে এককালে সমস্ত ইরাণ রাজ্যের ভাষা হইয়া পড়িয়াছিল, ইহা জসস্তব। কেহ কেহ পহলব” অর্থে ‘বীর’ এই অর্থ করিয়া “” হলবী” অর্থে শ্রেষ্ঠ ভাষা বলেন । এরূপ বুৎপত্তি সমীচীন নছে। পারসিক অভিধানিকের “পহলব” অর্থে ইয়াণ সাম্রাজ্যের তল্লামীয় একটা প্রদেশ ও নগরের নাম উল্লেখ করেন। ফরদৌসী বলেন, ‘দীখান অর্থাৎ গ্রামের নায়ক পহলীর চিরশ্রত কথাগুলি এখনও রক্ষা করিয়া থাকেন। ইহাম্বারা জানা যায় যে, পছলী ভাষা তল্লামক নগরের না হউক, প্রদেশের ভাষা বটে। অনেকে বলেন যে, আধুনিক ইস্পাহান, রায়, হমদান, নিহাবল ও আজারবিজান প্রদেশ বহু পুরাতন পলব প্রদেশের অন্তর্গত ছিল । যদি তাছা হয়, তবে উহাই প্রাচীন মিডিয়া রাজ্যেরই অতি প্রাচীন নাম বলিতে হইবে ; কিন্তু কোন আরব বা পারস্তদেশীয় ঐতিহাসিক মিডিয়া রাজ্যকে “পহলব” বলিয়া উল্লেখ করেন নাই। কোয়tটারমিয়ার বলেন, পহলব প্রাচীন পার্থিয়৷ রাজ্যের অতিপ্রাচীন নাম । গ্রীকের এই পার্থিয়া রাজ্যের উল্লেখ করিয়া গিয়াছেন । মাৰ্যকীয়দিগের রাজ-উপাধি ‘পহ্লব’ ছিল, কোয়াটারমিয়ার ইছা আৰ্ম্মাণীদিগের গ্রন্থ হইতেও প্রমাণ করিয়াছেন। পার্থীয়গণ আপনাদিগকে সৰ্ব্বাপেক্ষ যুদ্ধপ্রিয় ও বীর জাতি বলিয়া বিবেচনা করিত ; সুতরাং পল্লব’ ও ‘পলেবান শব্দে পারসিকেরা এবং পলছবীগ’ শব্দে আম্মাণীরা যে “বীর’, ‘যুদ্ধপ্রিয়’ ইত্যাদি বীরপর্য্যায় বুঝিবে, তাছ। অস্থায় নছে। পহুলবগণের শৌর্যবীৰ্য্য এক সময়ে ইরাপ ছাড়াইয়। ভারতেও প্রবেশ করিয়াছিল, তাহার প্রমাণ রামায়ণ, মহাভারত ও মকু-সংহিতায় পাওয়া যায় । সাধারণতঃ ভারতবাসীরা পহলব শব্দে সেকালের পারস্তবাসী সাধারণকে বুঝিত । [ পহলব ও পারদ দেখ। ] পার্সিপোলিস, হম্‌দান, বিহুস্তান প্রভৃতি স্থানে পৰ্ব্বত-গাত্রে ও তা শু,পাদিতে আকিমিনীয় রাজগণের যে কোণাকার অক্ষরের উৎকীর্ণ লিপি পাওয়া যায়, তাহাতে পার্থ ব" নামে এক জাতির উল্লেখ আছে। এই ‘পার্থব ই গ্রীক ও রোমকদিগের উল্লিখিত পার্থীয়। এই পার্থীর বা পার্থব বে কালে “পল্লব’ হইয়া পড়িয়াছে, ডাঃ হেীগের এইরূপ বিশ্বাস ; তিনি বলেন, ইরাণীয়ের ‘র’ স্থানে ‘ল’ ও ‘খ’ স্থানে ‘হ’ উচ্চারণ করে, ৰথী জাৰস্তিক "মিথু’ ( সংস্কৃত মিত্ৰ ) শব্দ XI } e( ) ২৭ >झ्लरौी --- **-* * -Fo Foo পারস্তাভাষায় মিহির হইয় পড়িয়াছে। কেহ কেহ বলেন, তাহা হইলে পার্থীয়দিগকে পারসিক বলিতে হয় ; কিন্তু তাছা নহে, সম্ভবতঃ পার্থীয়ের স্বীয় ( শক ) বংশীয় কোন শাখা হইবে । ডাঃ হৌগ বলেন, এ অম্বুমান ঠিক নহে । যখন আমরা দেখিতে পাই যে, পার্থীয়গণ প্রকৃত প্রস্তাবে পাচশত বৎসর পারস্তের অধীশ্বর হইয়াছিল এবং রোমকদিগের সহিত যুদ্ধে তাহারা রোমকদিগকে প্রতিহত করিত, তখন পার্থীয়গণই যে "পহলব’ তাহাতে আর সন্দেহ থাকে না । ইহায় পহলবী শব্দে এইরূপে সামান্ততঃ প্রাচীন পারস্তবাসী সাধারণকেই বুঝাইত। মুসলমান ঐতিহাসিকেরা অস্তুতঃ পহলব’ শব্দ ঐ অর্থেই ব্যবহার করিয়াছেন। ইবন হেকল নামক আরবী ঐতিহাসিক ফাস দেশের * বিবরণ মধ্যে লিখিয়াছেন, পারস্তে ফারসী, পহ্লবী ও আরবী এই তিন ভাষা প্রচলিত। ফারসীতে লোকে কথাবার্তা কহে । পহ্লবীতে মন্ধী ইতিহাস লেখা আছে, অমুবাদ ভিন্ন দেশের লোকে ঐ ভাষা কেহ বুঝে না, আর আরবী ভাষায় লোকে দলীলাদি লিথিয় থাকে, রাজনৈতিক কাজ কৰ্ম্ম হয়। এই সকল হইতে বুঝা যাইতেছে, “পহলবী’ নামটী কোন একটা দেশ বা যুগের সহিত সংশ্লিষ্ট নছে। এমন কি সহস্ৰ বৎসর পুৰ্ব্বে ফরদৌসীর সময়ে ( ১০০০ খৃষ্টাব্দে ) কোণাকার অক্ষরের শিলালিপি, শাসনীয় শিলালিপি ও মুদ্রালিপির এবং অবস্তার ভাষা পলৰী নামেই অভিহিত হইত। তৎকালে অন্য সকল লিপির বিশেষ বিবরণ জানা যায় নাই। তখন পহ্লবী বলিতে শাসনীয় কালে লিখন পঠনে ব্যবহৃত ভাষাই বুঝাইত। ফলে পারস্তবাসীরা পহ্নবী শব্দে “অক্তিপ্রাচীন পারসিক” এই অর্থ ভিন্ন অল্প কোন অর্থ ব্যবহার করিত না। শাসনীয়, আর্যকীয়, আকিমিনীয়, কায়ানীয় বা পেসদাদীয় প্রভৃতি অতিপ্রাচীন পারস্তের যে কোন জাতির কথাবলিতে হইলেই মধ্যযুগের পারস্তবাসীরা পহলবী শব্দ ব্যবহার করিতেন । যাহা হউক শাসনীয় বংশের অধিকারে লিখন পঠনে যে ভাষা ব্যবহৃত হইত, বহুকালাবধি কেবল সেই ভাষাকেই পহলী শব্দে পারস্তবাসীরা উল্লেখ করিয়াছেন। সেই ভাবায় লেখার ও ভাষার নমুনা অতি অল্প পরিমাণে এখনও বর্তমান আছে । উহার অক্ষরমালা দেখিতে অবস্তিক অক্ষরমালার ষ্ঠায় ; কিন্তু একের প্রত্যেক অক্ষর অপরের প্রত্যেক অক্ষরের সঙ্গে অনেক প্রভেদ । এইগুলিকেই পহুলধী ভাষায় প্রথম গণনীয় স্তর বলিয়। ডাঃ হেগ ধরিয়া লইয়াছেন। ফরদৌসীর তাষার স্থায় বিশুদ্ধ ইরাণীয় ভাষা বা অতিপ্রাচীন

  • পারস্যদেশকে আরবের ফার্স বলে ।