পাতা:বিশ্বকোষ একাদশ খণ্ড.djvu/২১৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পাছক -- ي- بسيو----- অtঙ্কাকুসারে গমন করাতে আতপতাপে তাহার মস্তক ও পদতল নিতান্ত সস্তাপিত হইল । তখন তিনি অগত্য অল্পকাল বৃক্ষচ্ছায়ায় দণ্ডায়মান হইয়া কিছুকাল বিশ্রাম করিলেন এবং পরিশেষে শরীফ গ্রহণ করিয়া ঘন্মাক্তদেহে শাপভয়ে ভীত ছইয়া কম্পিতকলেবরে স্বামীর নিকট উপস্থিত হইলেন । তখন জমদগ্নি অতি ক্রুদ্ধ হইয় বারংবার কহিতে লাগিলেন, তোমার এত বিলম্ব হইল কেন ? রেণুকা স্বামীকে ক্রুদ্ধ দেখিয়া সবিনয়ে কছিলেন, ভগবন্‌ ! আপনি আমার প্রতি ক্রুদ্ধ হইবেন না, সূর্যাকিরণে আমার মস্তক ও পদতল নিতাস্ত সস্তপ্ত হওয়াতে আমি বৃক্ষচ্ছায়ায় ক্ষণকাল বিশ্রাম করিয়াছিলাম, তাহাতে আমার বিলম্ব হইয়াছে। তখন অতি তেজস্ব জমদগ্নি স্বর্যের প্রতি নিতান্ত ক্রুদ্ধ হইয়া রেণুকাকে কহিলেন, আজি আমি অস্ত্রতেজঃপ্রভাবে তোমার দুঃথদাতা স্বর্য্যকে সিপাতিত করিব । মহর্ষি এই কথা বলিয়া শরাসনে জ্যারোপণ করিয়া স্বৰ্য্যাভিমুখে দণ্ডায়মান হইলেন। স্বৰ্য্যদেব তাহার যে বেশ দেখিয়া ব্রাহ্মণবেশে র্তাহার সমীপে উপস্থিত হইয়া কহিলেন, ভগবন! দিবাকর আপনার কি অনিষ্ট করিয়াছে যে, আপনি তাহার বিনাশে কৃতসঙ্কল্প হইয়াছেন, বরং তিনি লোকরক্ষার জন্ত স্বর্গে অবস্থান করিয়া স্বয় কিরণজtলদ্বারা ক্রমশঃ রসাকর্ষণ করিয়া বর্যাকালে এই সপ্তদ্বীপা পৃথিবীতে রসবর্ষণ করেন, তাহীতেই ওষধি ও লতা সকল পত্রপুপযুক্ত এবং জীবগণের প্রাণস্বরূপ অন্ন সমুৎপন্ন হয় । আপনি এ সকল বিশেষরূপে অবগত আছেন, আমি বিনীত হইয়া কহিতেছি, আপনি স্বৰ্য্যকে নিপাতিত করিবেন না। দিবাকর ব্রাহ্মণবেশে এইরূপ প্রার্থনা করিলেও জমদগ্নির ক্রোধ প্রশমিত হইল না । তখন ব্রাহ্মণবেশী স্বৰ্য্য প্রণাম করিয়া কহিলেন, সূৰ্য্য অন্তরীক্ষে সততই পরিভ্রমণ করিয়া থাকেন, অতএব আপনি কিরূপে সেই চঞ্চল লক্ষ্য বিদ্ধ করিবেন । তাহাতে জমদগ্নি কহিলেন, ব্ৰহ্মল! আমি জ্ঞান-চক্ষুপ্রভাবে তোমাকে স্বর্য বলিয়া অবগত হইয়াছি এবং তুমি কোন সময়ে পরিভ্রমণ ও কোন সময়েই বা স্থিরভাবে থাক, তাহা আমি সবিশেষ অবগত আছি। তুমি মধ্যাহ্নকালে নিমেযাদ্ধ নভোমণ্ডলে বিশ্রাম করিয়া থাক, আমি সেই সময় তোমাকে বিদ্ধ করিব। সুর্য্যদেব তখন জমদগ্নির শরণাপন্ন হইলেন। জমদগ্নি হাস্তমুখে স্বৰ্য্যকে কছিলেন, তুমি যখন আমার শরণাপন্ন হইলে তখন আর তোমার কোন শঙ্কা নাই । এক্ষণে যাহাতে তোমার উত্তাপ প্রভাবে পথিমধ্যে আমার পত্নীর গমনাগমনের কোন কষ্ট না হয়, তুমি তাহার উপায় অবধারণ কর । তথন দিবাকর ছত্র ও পাদুকাযুগল প্রদান [ ২১৫ ] †- — করিয়া তাহাকে সম্বোধনপূর্বক কহিলেন, ভগবন! আমার কঠোর কিরণ হইতে মস্তক ও চরণ রক্ষা করিবার নিমিত্ত এই ছত্র ও পাদুকাদ্বয় গ্রহণ করুন। অদ্যাবধি অক্ষয়ফলপ্রদ ছত্র ও পাদুকাযুগল পবিত্র দান কার্ষে প্রচলিত হইবে । এরূপে ছত্র ও পাদুকাযুগল সূৰ্য্যদেব হইতেই প্রচলিত হইয়াছে । এই দুই বস্তু প্রদান করা ত্রিলোকমধ্যে অতি পবিত্রকাৰ্য্য বলিয়া প্রখ্যাত। যিনি ব্রাহ্মণগণকে শতশলাকাযুক্ত শুভ্ৰছত্ৰ প্রদান করেন, তাহার দেহাস্তে অতুল মুথলাভ হয় এবং তিনি অপারা ও দ্বিজাতিগণ কর্তৃক সমাদৃত হইয়া ইন্দ্রলোকে বাস করিয়া থাকেন। ব্রাহ্মণকে পাদুকা দান করিলে ইহলোকে নানাবিধ মুখ এবং পরলোকে স্বৰ্গলাভ হইয়া থাকে । ( ভারত অমুশাসন ৯৬ অ• ) দেবগৃহে পাণ্ডুকা ধারণ করিয়া যাইতে নাই, যদি পাল্লুক লাইয়া দেবগৃহে গমন করে, তাহ হইলে চৰ্ম্মকার হইয়া জন্মগ্রহণ করিতে হয়, তৎপরে শূকর, তাহার পরে কুকুর, তাছার পরে আবার মানবজন্ম লাভ হইয় থাকে । "বহু পানহে পদ্ভ্যাং যস্ত মামুণচক্রমেৎ । চৰ্ম্মকারস্তু জীয়েত বর্ষাণাস্তু ত্রয়োদশ | 象 তত্ৰ জন্মপরিভ্রষ্টঃ শূকরো জায়তে পুনঃ । শূকরীচ্চ পরিভ্রষ্টঃ শ্বা চ তত্রৈধ জায়তে ॥ ততঃ শ্বত্বাৎ পরিভ্রষ্টে মানুষশ্চৈব জায়তে । মদ্ভক্তশ্চ বিনাতশ্চ অপরাধবিবর্জিত ॥” ( বরাহপু” ) দেবীপুরাণে লিখিত আছে--দেবতার পাদুকানিৰ্ম্মাণ করিয়া তাহার পূজা করিতে হইবে । এই দেবপাদুকা মণিরন্থ অথবা সুবর্ণ দ্বারা নিৰ্ম্মাণ করিতে হয়, তাহাতে অসমর্থ হইলে চন্দন বা দেবদারতে প্রস্তুত করিবে, ইহার পরিমাণ ৬ আঙ্গুল । “মণিরত্নময়ী কাৰ্য্যা হেমকৃপাময়ী পি বা । চন্দনেনপি কর্তব্য। পাছকা প্রতিমাপি বা ॥ শ্ৰীপৰ্ণ ঐক্রম চাপি দেবদারুমী পি বা । ষড়জুল চ স৷ কাৰ্য্যা পাদুকে পূজয়েৎ সদা ॥” (দেবীপুরাণ) পিতৃ প্রভৃতি গুরুজনের পাদুকা পূজা প্রচলিত আছে । রুদ্রযামলে গুরুপান্ডুকাস্তোত্র লিপিত আছে,— "পাদুকাপঞ্চকস্তোত্ৰং পঞ্চবন্ত দ্বিধিনির্গতং । ষড়ামায়ফলোপেতং প্রপঞ্চে চাতিদুর্লভং ॥” ( রুদ্রযামল ) পাদুকাকার (পুং) পাছকাং করোতীতি ক-কৰ্ম্মণ্য ইক্তি অণু । চৰ্ম্মকার । ( হলায়ুধ ) পাদুকাকৃৎ (পুং) পাছকাং করোতীতি কু-ক্ষিপ্ৰ। চৰ্ম্মকার। পাদু ( স্ত্রী ) পদ্যতে গম্যতে মুখেন যয়েতি পদ-উ, পিৎ চ ( গিৎকশিপদ্যৰ্ত্তেঃ । উগ, ১৮৭ ) পাঞ্জকা । ( অমর )