পাতা:বিশ্বকোষ একাদশ খণ্ড.djvu/৩২৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পালি বুদ্ধদেব ও তাহার শিষ্যগণ এই ভাষায় ধৰ্ম্মপ্রচার করিতেন । অধুনা ধৰ্ম্মশাস্ত্রশিক্ষার নিমিত্ত আমরা যেরূপ সংস্কৃত ভাষার আলোচনা করিয়া থাকি, সিংহৰ, ব্রহ্ম, গুমি প্রভৃতি প্রদেশের পণ্ডিতগণও সেইরূপ পালিভাষার আলোচনা করিয়া दंitदन । পালিভাষার বর্ণসমূহের সংখ্যা ৪১, মতাস্তরে ৩১ । ইহার মধ্যে আটট স্বর ও একত্রিশটী ব্যঞ্জনবর্ণ। স্বরবর্ণ যথা,—অ, আ, ই, ঈ, উ, উ, এ, ও । ব্যঞ্জনবর্ণ যথা,—ক, খ, গ, ঘ, ওঁ । E, ,력, 진, a l ট, ঠ, ড, ঢ, ণ । उ, १, झ, ५, म । প, ফ, ব, ভ, ম । য, র, ল, ব। अ, ट् । বর্ণসমূহ কণ্ঠজ, তালুজ, ওটুঠজ ( ওষ্ঠজ ), মুড়ঢ়জ (মূদ্ধজ), দন্তজ, কণ্ঠতালুজ, কণ্ঠোটুঠজ (কণ্ঠেীষ্টজ), দন্তোটুঠজ (अप्ठ्ठोछेँछ) ইত্যাদি ভেদে অtটশ্রেণীতে বিভক্ত । পালিভাষায় পুং, স্ত্রী ও ক্লাব এই তিন লিঙ্গ, উত্তম, মধ্যম ও প্রথম এই তিন পুরুষ ; এক ও বহু এই দুই বচন এবং পঠমা (কর্তা ), কন্ম ( কৰ্ম্ম ), করণ, সম্পদান ( সম্প্রদান ), অপাদান, সামী ( সম্বন্ধ ), ওকাসো বা আধারে। ( অধিকরণ) ও আলপন (সম্বোধন ) এই আটট কারক বিদ্যমান আছে । দুই পদার্থের মধ্যে একের উৎকর্ষ বুঝাইতে হইলে বিশেষণের উত্তর “তর” বা "ইয়ো” প্রত্যয় যুক্ত করিতে হয়। বছর মধ্যে একের উৎকর্ষ বুঝাইতে হইলে “তম" বা “ইটুঠ” প্রত্যয়যুক্ত করিতে হয়। যথা—পাপতরে, পাপিয়ে, পাপতমো, পাপিটুঠে ৷ ধাতুসকল ভবাদি (ভূদি ), রুধাদি, দিবাদি, স্বাদি, কিয়দি (ক্র্যাদি ), তনাদি ও চুরবাদি (চুরাদি ) এই সাতগণে বিভক্ত। ধাতুবিশেষের উত্তর পরস্সপদ ( পরহ্মৈপদ ) বা অতনোপদ ( আত্মনেপদ ) যুক্ত হইয়া থাকে । বৰ্ত্তমান ( বর্তমান ), হায়ত্তনী ( হস্তনী ), পরোকৃথা ( পরোক্ষ), অজ্জতনী ( অদ্যতনী), ভবিসস্ত্রী ( ভবিষ্যৎ ) ও কালাতিপত্তি এই ছয় প্রকার বিভক্তির সাহায্যে কালের ব্যবহার নিম্পন্ন হয় । ধাতু সকল কর্তৃ, কৰ্ম্ম ও ভাববাচ্যে ব্যবহৃত হয়। যথা— থা ( স্থা ) ধাতু ভাববাচ্যে ধীয়তে এইরূপ হইবে। পৌনঃপুন্যার্থে ধাতুর দ্বিত্ব হয় ; যেমন, লপ ধাতু হইতে [ ৩১৯ ] পালি - -Fলালপ্পতি ও গমৃ ধাতু হইতে জংগমতি এইরূপ পদ সিদ্ধ হয়। ইচ্ছার্থে সয়ন্ত ও প্রেরণার্থে ণিজন্তু ধাতুর প্রয়োগ হয় । সমস্ত যথা,-পিবসতি ( পা ), বুভুক্কতি ( ভুজ, ) । ণিজন্ত যথা—গময়তি, গমেতি, গচ্ছাপেতি, গচ্ছপিয়তি (গমৃ)। বিশেষ্য শব্দ হইতে নাম ধাতুর উৎপত্তি হয়, যথা,— পুত্তীয়তি ( পুত্ত, পুত্র ) । সংস্কৃতে যে স্থলে শতৃ প্রত্যয়ের প্রয়োগ হয়, পালিভাৰাম সে স্থলে অৎ ও অন্ত প্রযুক্ত হইয় থাকে এবং সংস্কৃত শানচ, প্রত্যয়ের স্থলে পালিতাষীয় মান ও অান প্রযুক্ত হয়। যথা— গচ্ছন্তে ইত্যাদি । অতীত কালবোধক সংস্কৃত "ক্ত” প্রত্যয়ের পরিবর্তে পালিভাষায় "ত" ও "ন" প্রত্যয় যুক্ত হয়, যথা, কতো ( কৃত: ) দিল্লো ( দত্তঃ ) ইত্যাদি । আবার "ত" ও "ন"এর উত্তর “বৎ” বা "বস্ত” প্রত্যয় যোগ করিলেই "ক্তবতু" প্রত্যয়ের কাৰ্য্য নিম্পন্ন হয়। যথা—হুতবস্তে ইত্যাদি । বিধার্থে য, তব্য ( তব, তযু্য ) ও অনীয় প্রত্যয় যুক্ত হয় ; যথা—ভবেবী ইত্যাদি । e অমস্তর অর্থে ত্বা, য, ত্বান ও তুন প্রত্যয় হয় ; যথা— অতিদিত্বা ( অতিস্বত্য ), নিচ্ছেয্য ( নিশ্চায্য), কত্বান, কাতুন ( झझाँ ) । নিমিত্তার্থে তুং, তবে ও তুয়ে যুক্ত হয়, যথা—গস্তুং, সোতবে ( শ্রোতুং ), গণেতৃয়ে ( গণয়িতুং ) ইত্যাদি । তো ( তস্), ত্র, থ, দ, ধ, সো ( শস্ ) ইত্যাদি তন্ধিতপ্রত্যয় বিভিন্ন অর্থে প্রযুক্ত হইয়া থাকে ; যথা,—ততে (ততঃ), তত্ৰ, তথা, কদা, একধী, বহুসে ( বহুশ: ) । অতি, অধি, অমু, অপ, অপি, অভি, অব, অ’, উ (উর্দু ), উপ, দু, নির, নি, প ( প্র ), পটি ( প্রতি ), পর, পরি, বি, সমু, ও সু এই বিংশতিট উপসৰ্গ । পালিভাষায় দ্বন্দ্ব, তপৃপুরিস (তৎপুরুষ ), কৰ্ম্মধারয় ( কৰ্ম্মধারায় ), দি গু (দ্বিগু ), অব্যয়ীভাব, বহুবীহি ( বহুত্রীহি ) ইত্যাদি সমাস বিদ্যমান আছে । পালিভাষায় যে সকল ব্যাকরণ দেখিতে পাওয়া যায়, তন্মধ্যে কয়েক খানির নাম নিম্নে লিখিত হইল ;– ১ । কচ্চায়ন ( কাত্যায়নের ) সুসন্ধিকপ্লম্ (সুপন্ধিকল্প) ২ । মোগগন্নায়ন ( মোগল্যায়ন) প্রণীত ব্যাকরণ। ৩। রূপসিদ্ধিব্যাকরণ । • । চুলনীতি ৰাকরণ। ৫ । শব্দনীতি ব্যাকরণ । ৬ । পদসাধনী ব্যাকরণ ।