পাতা:বিশ্বকোষ একাদশ খণ্ড.djvu/৫৯৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পুরাণ (পদ্ম ) সগরস্ত কথা পুণ্য ততঃ পরমুদীরিতম্। গঙ্গাপ্রয়াগকাশীনাং গয়ায়াশ্চাধিপুণ্যকম্ ॥ আম্রাদিদানমাহাত্ম্যং তস্মহাদ্বাদশীব্রতম্। চতুৰ্বিবংশৈকাদশীণাং মাহাত্ম্যং পৃথগীরিতম্ ॥ ४ॐ বিষ্ণুধৰ্ম্মসমাখ্যানং বিষ্ণুনামসহস্ৰকম্। কাৰ্ত্তিকব্রতমাহাত্ম্যং মাঘমানফান্ততঃ ॥ জৎ,ীপতৃ তীর্থানাং মহাত্মাং পাপনাশনম্। সাভ্রমন্ত্যাশ্চ মাহাত্ম্যং নৃসিংহোৎপত্তিবর্ণনম্ ॥ দেবশৰ্মাদিকাখানিং গীতামাহাত্ম্যবর্ণনে । ভক্তাখ্যানঞ্চ মাহাত্ম্যং শ্ৰীমদ্ভাগবতস্ত হ ! ইন্দ্রপ্রস্থত মাহাত্ম্যং বহুতীর্থকথাচিত । মন্ত্ররত্নাভিধানঞ্চ ত্রিপাস্তুতানুবর্ণনম্ ॥ অবতারকথা পুণ্য মৎস্তাদীনামতঃ পরম্। রামনামশতং দিবাং তন্মাহাত্ম্যঞ্চ বাড়ব । পরীক্ষণঞ্চ ভূগুণ শ্ৰীবিষ্ণের্বৈভবন্ত চ । ইত্যেতদুত্তরং থওং পঞ্চমং সৰ্ব্বপুণ্যদম্ ॥” ‘ব্রহ্মা কহিলেন, হে পুত্র ! মনুষ্যদিগের অধিকপুণ্যজনক পদ্মপুরাণনামক পুরাণ বলিব শ্রবণ কর । যেমন পঞ্চইঞ্জিয়বিশিষ্ট সকলেই শরীরী বলিয়া কথিত হয়, সেইরূপ পাপনাশকারী এই পদ্মপুরাণ পাঁচখণ্ডে বর্ণিত হইয়াছে, তন্মধ্যে প্রথম স্বষ্টিথণ্ডে পুলস্ত্য কর্তৃক ভীষ্মকে হষ্ট্যাদিক্রমে নানাখ্যান ও ইতিহাসের সহিত বিস্তর ধৰ্ম্ম-কথন, পুষ্করমাহাত্মা, ব্রহ্মযজ্ঞবিধান, বেদপাঠাদির লক্ষণ, দান ও পৃথক পৃথক ব্রত, শৈলজার বিবাহ ও তারকাখ্যান, কীৰ্ত্তিপ্রদ ও সৰ্ব্বপুণাপ্রদ গবাদির মাহাত্ম্য ও কালকেয়াদি দৈত্যের বধ, গ্ৰহগণের অর্চনা ও দান ইত্যাদি পৃথকৃ পৃথক রূপে ব্যাস কর্তৃক এই স্বষ্টিখণ্ডে নির্দিষ্ট হইয়াছে। দ্বিতীয় ভূমিখণ্ডে—পিতামাতাদির পূজা, শিবশৰ্ম্মকথা, কুব্রতের কথা, বৃত্ৰবধকথা, পৃথু ও বেণরাজোপাখ্যান এবং ধৰ্ম্মাখ্যান, পিতৃগুশ্ৰুষ, নহষবৃত্তান্ত, যযাতি, গুরু ও তীর্থনিরূপণ, রাজা ও জৈমিনিসংবাদ, অত্যাশ্চর্য হুগুদৈত্যচরিত, অশোকসুন্দরীর কথা, বিহুগুবধসংযুক্ত কামোদাখ্যান, মহাত্মা চ্যবনকুগুলসংবাদ, তদনন্তর সিদ্ধাখ্যান, স্বতশৌনক সংবাদে এই ভূমিখণ্ডের বিষয় বিবৃত হইয়াছে। তৃতীয় স্বৰ্গখণ্ডে-সোঁতি-ঋষিসংবাদ, ব্ৰহ্মাণ্ডের উৎপত্তি, ভূমির সহিত লোকসংস্থান, তীখাখ্যান, নৰ্ম্মদার উৎপত্তিকথন, সেই তীর্থের পৃথক্ কথা, কুরুক্ষেত্রাদি তীর্থ সকলের পবিত্র কথা, কালিন্দীর পুণ্যকথা, কাশীমাহাত্মা, পবিত্র গয়ামাহাত্মা, প্রয়াগমাহাত্মা, রণাশ্রমের অঙ্গুরোধে কৰ্ম্মযোগনিরূপণ, পুণ্যকথাযুক্ত ব্যাস ও জৈমিনিসংবাদ, সমুদ্রমথনাখ্যান, ব্রতাখ্যান, উর্জ ও পঞ্চাহমাহাত্মা, সৰ্ব্বাপরাধভঞ্জনস্তোত্র প্রভৃতি সৰ্ব্বপাতকনাশন কার্য্যের উল্লেখ আছে। চতুর্থ পাতালখণ্ডে–প্রথমে রামাশ্বমেধ, রামের রাজ্যদ্ভিষেক, অগস্ত্যের আগমন, পৌলস্ত্যচরিত, অশ্বমেধ্যেপদেশ, [ ৫৯১ J পুরাণ (পদ্ম ) হয়চৰ্য্য, নানা রাজকথা, জগন্নাথাখ্যান, বৃন্দাবনমাহাত্ম্য, কৃষ্ণবতারে নিত্যুলীলাকথন, মাধবমান, দান ও পূজাফল, ধরণীবরাহসংবাদ, যম ও ব্রাহ্মণের কথা, রাজদূতগণের সংবাদ, কৃষ্ণস্তোত্র, শিবশঙ্কুসমাযোগ, দধীচির আখ্যান, ভষ্মমাহাত্ম্য, শিবমাহাত্মা, দেবরাতমুতাখ্যান, পুরাণজ্ঞ প্রশংসা, গৌতমাখ্যান, শিবগীতা, ভরদ্বাজtশ্রমস্থ কল্পান্তরী রামকথা, সৰ্ব্বপাপনাশক ও সর্বাভিইফলপ্রদ পাতালখণ্ডে এই সকল বৃত্তান্ত আছে। পঞ্চম উত্তরখণ্ডে—প্রথমে গেীরীর প্রতি শিবপ্রোক্ত পৰ্ব্বতাখ্যান, জালন্ধর কথা, শ্রীশৈলমাহাত্মা, সগরের কথা, গঙ্গা-প্রয়াগ-কাশী ও গয়ার পুণ্যকথা, ২৪ প্রকার একাদশী কথা, একাদণীমাহাত্ম্য, বিষ্ণুধৰ্ম্ম, বিষ্ণুর সহস্রনাম, কীৰ্ত্তিকব্ৰত্যাহাত্মা, মাঘন্নানফল, জম্বীপের অন্তর্গত পাপনাশক তীর্থসমূহের মাহাত্ম্য, সাভ্রমতীমাহাত্মা, নৃসিংহোৎপত্তি, দেবশৰ্ম্মাদির কথা, গীতামাহাত্ম্য, ভক্তাখ্যান, শ্ৰীমদ্ভাগবতের মাহাত্ম্য, ইন্দ্রপ্রন্থমাহাত্ম্য, বহুতীর্থকথা, মন্ত্ররত্ন, ত্রিপাস্তুতিবর্ণন, মৎস্তাদি ক্রমে পুণ্যময়ী অবতার কথা, রামশতনাম ও তন্মাহাত্ম্য, ভৃগুর পরীক্ষা ও ঐবিষ্ণুর বৈভব, এই সৰ্ব্বপুণ্যদায়ক পঞ্চম উত্তরখণ্ডে বর্ণিত হইয়াছে। উপরে যে সকল প্রমাণ উদ্ধত হইয়াছে, এখনকার পদ্মপুরাণের সহিত মিলাইয়া দেখিলে আমরা এইরূপ জানিতে পারি যে, আদি পদ্মপুরাণের লক্ষণ ও বিষয়াদি প্রচলিত পদ্মপুরাণে এককালে অভাব নাই । মৎস্ত ও নারদ-পুরাণে যেরূপ লক্ষণ নির্দিষ্ট হইয়াছে, তাহার প্রায় সমস্তই প্রচলিত পদ্মপুরাণে পাওয়া যাইতেছে অর্থাৎ আদি পদ্মপুরাণের অনেক জিনিস প্রচলিত পদ্মপুরাণে রহিয়াছে । কিন্তু প্রথমে পদ্মপুরাণের যেরূপ খণ্ড বিভাগ ছিল, তাছার সম্পূর্ণ পরিবর্তন श्रेंझां८छ् । এখনকার পদ্মপুরাণ-পৃষ্টেই আমরা পদ্মপুরাণের ৩ট ংস্করণের পরিচয় পাইতেছি ঃ—১ম সংস্করণে পৌস পাদি করিয়৷ ৫টা ‘পর্কে’ পদ্মপুরাণ বিভক্ত ছিল, পঞ্চ "খ" গু’ শিল্প ক্রু ছিল না । স্বষ্টিখণ্ড হইতে আমরা এই পঞ্চপর্লা ঝর সন্ধান পাইতেছি। বিষ্ণুপুরাণে তৎপূৰ্ব্ববর্তী যে , 3:ণর উল্লেখ আছে, সম্ভবতঃ তাছাই পঞ্চপৰ্ব্বাত্মক ছিল । ১ম সংস্করণে পোক্ষর প্রথম পৰ্ব্ব বলিয়া গণ্য থাকিলেও, দ্বিতীয় সংস্করণে আবার ‘পোক্ষর দ্বিতীয়খও মধ্যে পরিগণিত হয় এবং স্বষ্টিখও প্রথম পর্বের স্থান অধিকার করে। দক্ষিণাত্যে প্রচলিত পাদ্মোত্তরখণ্ড হইতে তাহার প্রমাণ পাওয়া যাইতেছে। তৃতীয় সংস্করণে পোক্ষরথও লোপ হইল, সস্তবতঃ কৃষ্টিখণ্ডের পুন্ধরমাহায্যের অন্তর্গত হইল, স্বৰ্গখও তাহার স্থান অধিকার করিল, গৌড়ীয় পদ্মপুরাণ ও নারদ-পুরাণ হইতে এই ৩য় সংস্করণের লক্ষণাদি পাইলাম। কিন্তু ইহার পরও ৪র্থ সংস্করণ হইল, দাক্ষিণাত্যের “স্বৰ্গ খণ্ড” গ্রহণ করেন নাই,