পাতা:বিশ্বকোষ একাদশ খণ্ড.djvu/৬২৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পুরাণ (দেবীভাগবত ) [ ৬২২ ] পুরাণ ( দেবীভাগবত ) গায়ত্রীর ধীমহি এই অংশ টুকু আছে। উভয় পুরাণেই বৃত্ৰাস্বরবধের কথা থাকিলেও বিষ্ণুভাগবতে ईश्नंौ:बन् नांग মাত্র ( ৫,১৮১ ) উল্লেখ আছে বটে, কিন্তু হয়গ্ৰীবের ব্রহ্মবিদ্যালাভের কথা আদেী নাই। দেবীভাগবতে,(১৫ অঃ ) হয়গ্রীব নামক দৈত্যের ব্রহ্মবিদ্যাস্বরূপিণী মহামায়ার তপস্তা ও হয়গ্রীবরূপধারী বিষ্ণুর মাহাত্মা প্রভৃতি বিশেষরূপে বর্ণিত হইয়াছে। পূর্কেই বলিয়াছি, মাংস্তোক্ত সারস্বতকল্পের প্রসঙ্গ বিষ্ণুভাগবতে নাই। স্কন্দ্রপুরাণীয় নাগরখণ্ডে লিখিত অাছে, "সারস্বতন্তু দ্বাদগুংি শুক্লায়াং ফাল্গুনস্ত চ।” फार्थी९ शोग्नु८नु শুক্লম্বাদশী তিথিতে সারস্বতকল্পের আবির্ভাব হইয়াছে। শিবপুরাণীয় ঔমসংহিতায় লিখিত আছে— “ব্রহ্মণ সংস্তুত সেয়ং মধুকৈটভনশনে। মহাবিদ্যা জগদ্ধাত্রী সৰ্ব্ববিদ্যাধিদেবতা ৷ দ্বাদশাং ফাল্গুনস্তৈব শুক্লায়াং সমভূন্ন প।” হে রাজন! ইনিই সেই বিদ্যাসমস্তের অধিষ্ঠাত্রী জগদ্ধাত্রী মহাবিদ্য, ইনি মধুকৈটভবিনাশ জন্ত ব্ৰহ্মা কর্তৃক স্তুত হইয় ফানের শুরু-দ্বাদশীতে আবিভূত হইয়াছিলেন। ঔমসংহিতার শুক বচনানুসারে দেবীভাগবতের ১ম স্কন্ধের ৭ম অধ্যায়ে ব্রহ্মস্তুতি ও মধুকৈটভনাশাথ দেবীর প্রাচুর্ভাব পাঠ করিলে এই দেবীভাগবতকেই সারস্বতকল্লাশ্রিত পুরাণ বলিয়া বোধ হয়। যাহা হউক, এখন দুইটা মত পাওয়া যাইতেছে, নারদ ও পাদ্মমতে বিষ্ণুভাগবতই মহাপুরাণ মধ্যে গণ্য, কিন্তু আবার মৎস্তাদি মতে দেবীভাগবতই মহাপুরাণমধ্যে পরিগণিত । এইরূপ মতভেদ হইবার কারণ কি ? উপপুরাণের তালিকা হইতে জানা যায় যে, "ভাগবত” নামে একখানি উপপুরাণ ও उठांtछ ; गु५1 “অাদ্যং সনৎকুমারোক্তং নারসিংহযতঃপরম্। পরাশরোক্তং প্রবরং তথা ভাগবতাহবয়ম্ ॥” নীলকণ্ঠস্থত গরুড়পুরাণে তত্ত্বরহস্তের দ্বিতীয়াংশে ধৰ্ম্মকাণ্ডে লিখিত আছে— “পুরাণং ভাগবতং দেীর্গং ননিপ্রোক্তং তথৈব চ।” অর্থাৎ দুর্গামাহাত্মাসম্বলিত ভাগবত ও নন্দিকেশ্বরপ্রোক্ত পুরাণাদি উপপুরাণ মধ্যে গণ্য। রামাশমের দুৰ্জনমুখচপেটিকায়ও পদ্মপুরাণের দোহাই দিয়া এই শ্লোকটা উদ্ধৃত হইয়াছে— “শৈবং ভাগবতং দেগং ভবিষোত্তরমেব চ।” & এইরূপে মধুসূদন সরস্বতীয় সৰ্ব্বশাস্ত্রার্থসংগ্রহে, নাগোজীভট্টের নিবন্ধে, দুৰ্জনমুখপদ্মপাল্লুকায় ও পুরুষোত্তমের "ভাগবতস্বরূপ-বিষয়শঙ্কানির শত্রয়োদশ’ প্রভৃতি গ্রন্থে দেবীভাগবতের উপপুরাণত্ব ও বিষ্ণুভাগবতের মহাপুরাণত্বস্থাপনের চেষ্ট৷ হইয়াছে। - এদিকে মিতাক্ষরটািকাকার প্রসিদ্ধ বালমৃত্তই শ্ৰীমদ্ভাগবতকে এককালে পুরাণ বলিয়া গণ্য করেন নাই। : ro এ দেশীয় অনেক লোকের বিশ্বাস, বিষ্ণুভাগবত স্বপ্রসিদ্ধ বোপদেবের বিরচিত। বাস্তবিক বোপদেবচয়িত ভাগবতামুক্রমও পাওয়া গিয়াছে। বড়ই আশ্চর্ধ্যের বিষয়, কোলক্রকপ্রমুখ অনেক পাশ্চাত্যপণ্ডিতও বোপদেবকে ভাগবতরচয়িত বলিয়। বিশ্বাস করেন। খৃষ্টীর ১৩শ শতাব্দীর শেষভাগে বোপদেব দেবগিরিতে বর্তমান ছিলেন। তিনি মুক্তাফল নামে ভাগবতের তাৎপৰ্য্যার্থজ্ঞাপক একখানি গুস্থও লিখিয়াছেন, তাহার আশ্রয়দাত হেমাদ্রিও শ্ৰীমদ্ভাগবত হইতে বচন উদ্ধৃত করিয়াছেন, এরূপস্থলে বোপদেবকে ভাগবত-রচয়িতা বলিয়া মনে করা যায় না । এখন দেখা যাউক, বিষ্ণু-ভাগবত ও দেবীভাগবত উভয়গ্রন্থ আলোচনা করিলে প্রকৃত প্রস্তাবে কাহাকে আমরা মহাপুরাণ বলিয়া গণ্য করিতে পারি। শ্ৰীমদ্ভাগবতের প্রসিদ্ধ টীকাকার শ্ৰীধরস্বামী প্রারস্তেই লিথিয়াছেন—“ভাগবতং নামান্যদিত্যপি নাশস্কনীয়ম।” অর্থাৎ ভাগবত নামে অন্যপুস্তক আছে, এরূপ শঙ্কা করা কর্তব্য নহে। শ্ৰীধরস্বামীর এই উক্তির দ্বারাই বোধ হইতেছে যে তাহার সময়েও এই ভাগবতের পুরাণত্ব লইয়া গোল চলিতেছিল ও অপর একখানি ভাগবতও প্রচলিত ছিল, নহিলে তিনি এরূপ কথা বলিবেন কেন ? ঐধরস্বামী এই টকোপক্রমে লিথিয়াছেন, "দ্বীত্রিংশল্লিশতঞ্চ যস্ত বিলসৎ” অর্থাৎ যাহার অধ্যায় সংখ্যা ৩৩২ । কাশীনাথ (দুর্জনমুখমহাচপেটিকায় ) পুরাণার্ণব হইতে চিৎমুখোস্তৃত উক্তশ্লোক কয়টার সঙ্গে এই চারিচরণও উদ্ভূত रुब्रिग्नां८छ्न “স্কন্ধা স্বাদশ এবাত্র কৃষ্ণেন বিহিতাঃ শুভাঃ । দ্বাত্রিংশত্রিশতং পূর্ণমধ্যায়ঃ পরিকীৰ্ত্তিতাঃ ॥” এই গ্রন্থে কৃষ্ণ কর্তৃক দ্বাদশস্কন্ধ বিহিত হইয়াছে এবং ৩৩২ অধ্যায় পরিকীৰ্ত্তিত হইয়াছে । ঐধরস্বামীর উক্তি ও পুরাণীর্ণবের উক্ত বচন পাঠ করিলে বিষ্ণুভাগবতকেই মহাপুরাণ বলিয়া স্বীকার করা যায়। বিষ্ণুভাগবতে তদ্যুৎপত্তি সম্বন্ধে লিখিত আছে, ‘চরিবেদবিভাগ ও পঞ্চমবেদস্বরূপ ইতিহাস-পুরাণ-সমূহ সঙ্কলন, এবং স্ত্রী, শূদ্র ও নিদিত ব্রাহ্মণদিগের জন্ত মহাভারত রচনা করিয়াও বেদব্যাসের মনে তৃপ্তি হইল না। অবশেষে তিনি