পাতা:বিশ্বকোষ একাদশ খণ্ড.djvu/৭৬৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

• পুরোহিত পুরোহিত ( পুs) পুরো দৃষ্টাদৃষ্টফলেষু কৰ্ম্মযু ধীয়তে আরোপ্যতে যঃ, বা পুর আদাবেব ছিতং মঙ্গলং যম্মাৎ । শাস্ত্যাদি কর্ত, ঋত্বিকৃ, শ্ৰাদ্ধযজ্ঞাদি কারয়িত। পৰ্য্যায়,—পুরোধাঃ, ধৰ্ম্ম কৰ্ম্মাদিকারক, ৫.শব্দরত্ন” ) । কবিকল্পলতায় ইহার লক্ষণ এইরূপ লিখিত আছে— “পুরোহিতে ছিতো বেদস্তুতিজ্ঞঃ সত্যবা গুচিঃ । ব্ৰহ্মণে বিমলাচারঃ প্রতিকর্তাপদাযুজু " হিতকারক, বেদ ও স্মৃতিশাস্ত্রে অভিজ্ঞ, সত্যবাদী, গুচি, ব্রাহ্মণের আচারসম্পন্ন, নিৰ্ম্মল আচারযুক্ত, ঋজু ও আপদের প্রতিকারকারী, এই সকল গুণযুক্ত ব্রাহ্মণ পুরোহিতের উপযুক্ত । এই সকল গুণযুক্ত ব্রাহ্মণকে পুরোহিত করিধে । চাণক্য পুরোহিতের লক্ষণ এইরূপ লিখিয়াছেন— *বেদবেদাঙ্গতত্বজ্ঞো জপহোমপরায়ণঃ । আশীৰ্ব্বাদবচোযুক্ত এষ রাজপুরোহিত ॥” ( চাণক্য ) যিনি বেদ ও বেদাঙ্গের তত্ত্বাভিজ্ঞ ও জপহোমাদি পরায়ণ, সৰ্ব্বদা আশীৰ্ব্বাদবচনযুক্ত, তিনি রাজপুরোহিত অর্থাৎ পুরোহিতশ্রেষ্ঠ । পুরোহিতের নিম্নলিখিত দোষ সকল নিন্দনীয়। *কাণং ব্যঙ্গমপুত্ৰং রানভিজ্ঞমজিতেন্দ্রিয়ম্। ন হ্রস্বং ব্যাধিতং বাপি নৃপঃ কুৰ্য্যাৎ পুরোহিতম্ ॥"(কালিকাপু") কাণ, ব্যঙ্গ, অঙ্গহীন, অপুত্র, অনভিজ্ঞ, অজিতেন্দ্ৰিয়, হ্রস্ব ও পীড়িত এই সকল গুণযুক্ত ব্যক্তিকে রাজা পুরোহিত করিবেন না। শুক্লযজুৰ্ব্বেদে লিখিত আছে—যজ্ঞাদিকাৰ্য্যে যিনি প্রধান, তাহাকে পুরোহিত কহে । পুরোহিত সুশৃঙ্খলে যজ্ঞাদি কাৰ্য্য সমাধা করিবেন । “রাষ্ট্রে জাগুয়াম পুরোহিতাঃ স্বাহী।” (শুক্ল যজু ৯২৩) পুরোহিতাঃ যাগানুষ্ঠানদে পুরোগামিনঃ প্রধানঃ" ( বেদদীপ") অগ্নিপুরাণে লিখিত আছে, পুরোহিত ত্রয়ী সাম, ঋক্ ও যজুঃ এই তিন এবং দগুনীতি ইহাতে কুশল হইবেন । “ত্র্যাঞ্চ দগুনীতাঞ্চ কুশলঃ স্তাং পুরোহিতঃ।” ( অগ্নিপু” ) ar পুরোহিত সৰ্ব্বদা বেদ-বিহিত শাস্তি ও পৌষ্টিক কাৰ্য্য করিবেন। মহাভারতে- ভীষ্মপর্বে লিখিত আছে, রাজা ধৰ্ম্মার্থ পর্যালোচনা করিয়া অতি সত্বর একজন বহুদৰ্শী পুরোহিত নিযুক্ত করবেন। রাঙ্গাদিগের পুরোহিত যদি ধৰ্ম্মপরায়ণ-ও মন্ত্রনিপুণ এবং রাজা ধাৰ্ম্মিক হন, তবে প্রজাগণের সর্বতোভাবে যুগল হয়। রাজা ও পুরোহিত উভয়েই দেবতা ও পিতৃগণকে পরিতৃপ্ত এবং প্রজা সকলকে পরিবর্দ্ধিত করিয়া থাকেন। রাজাদিগের যদি উপযুক্ত পুরোহিত ন৷ থাকে, তাহা হইলে তাহারা প্রতিপদে বিপন্ন হইয়া থাকেন। XI ఏసి) [ १७s ] \ পুরোহিত বৈদিককালে পুরোহিত রাজ্যের বিশ্বাসী ও ধাৰ্মিক মন্ত্রী বলিয়াই গণ্য ছিলেন। কিন্তু মন্থর সময়ে দেবপূজক ব্রাহ্মণ অপর উচ্চ ব্রাহ্মণ অপেক্ষ একটু হীনপদস্থ হইয়া পড়েন। তাহ হইলেও পুরোটুিতের যথেষ্ট প্রভাব ছিল। রাজারা জানিতেন, র্তাহীদের হাতে দেবতার পূজা গ্রহণ করিবেন না, কাজেই বাধ্য হইয়। তাছাদিগকে গৃহপুরোহিত নিযুক্ত করিতে হইয়। ছিল। এই পৌরোহিত্য লইয়াই বিশ্বামিত্র ও বসিষ্ঠে বিবাদ । [ বিশ্বামিত্র ও বসিষ্ঠ দেখ। ] পুৰ্ব্বকালে পুরোহিতকেই যাগযজ্ঞাদি সকল বৈদিক কাৰ্য্য • করিতে হইত, কিন্তু এখনকার পুরোহিতদিগকে আর সেরূপ কঠিন কৰ্ম্ম করিতে হয় না। নিত্য পূজা ও পাৰ্ব্বণাদিতে শ্ৰাদ্ধ ও দেবপ্রতিমা পূজা করিবার ভার পুরোহিতের উপর। কিন্তু গ্রহযজ্ঞ করিবার জন্য আচার্য ও বৈদিক যাগাদি করিবার জন্য বিভিন্ন হোতা নিযুক্ত হইয়া থাকে। পূৰ্ব্বে এ দেশে নাপিত ও পুরোহিত বিবাহের সম্বন্ধ স্থির কল্পিত, এ প্রথা এ দেশ হইতে উঠিয়া গিয়াছে, কিন্তু উত্তরপশ্চিমাঞ্চলে এ প্রথা এখনও দেখা যায় । পূৰ্ব্বকালের সেই এক পুরোহিত এখন তিন প্রকার হইয়। मैंॉफ़ॉईंग्रां८छ् ১, পুরোহিত—ই হারা যজমানের হইয়৷ পূজা করেন, বিশেয বিশেষ কৰ্ম্মে যজমানকে মন্ত্র আবৃত্তি করান, তাহার জন্ত শাস্তি স্বস্ত্যয়ন করিয়া থাকেন । ২, পূজারি-ইহার দেবল ব্রাহ্মণ বলিয়া খ্যাত। ইহtয়। কোন নির্দিষ্ট দেবালয়ে প্রতিষ্ঠিত দেবতার বরাবর পূজা করিয়া থাকেন । ৩, গুরু—দেবতঃস্থানীয়। ইনি কর্ণে মন্ত্ৰ দিয়া থাকেন, সেই জন্য অপর সকল ব্রাহ্মণ অপেক্ষ ইহার সমধিক সন্মান । এই তিন শ্রেণীর পুরোধীর মধ্যে র্যাহার কেবল ব্রাহ্মণশিষ্য, হিন্দুসমাজে তাহারই সৰ্ব্বাপেক্ষ অধিক সন্মান । যে ব্রাহ্মণ ব্রাহ্মণ ও ক্ষত্রিয় উভয় বর্ণের পৌরোহিত্য করেন, তিনি সম্মানিত, তবে যাজকতার কারণ পূৰ্ব্বব্রাহ্মণ অপেক্ষ একটু হীম । যে ব্রাহ্মণ সৎশুদ্রের পৌরোহিত্য করেন, তিনি শূদ্রযানী ব্রাহ্মণ বলিয়া গণ্য, উচ্চ শ্রেণীর ব্রাহ্মণ হইতে অনেক নিকৃষ্ট বলিয়াই গণ্য হন । কিন্তু যে ব্রাহ্মণ নীচ শুদ্রগণের যাজকতা করেন, তিনি ৰণব্রাহ্মণ বলিয়া গণ্য, পূৰ্ব্বোক তিন শ্রেণীর ব্রাহ্মণ এই বর্ণব্ৰাহ্মণের হাতে জল পর্য্যস্ত গ্রহণ করেন না এবং ইহtয়। পতিত বলিয়। গণ্য । জৈন দেবালয়েও ব্রাহ্মণ পুরোহিত দেখা যায়। বালিদ্বীপে হিন্দুদিগের মধ্যে পুরোহিতেঃ মহসিন্মান। তখার