পাতা:শ্রীশ্রীচণ্ডী-মহেন্দ্র নাথ মিত্র.djvu/১৫১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মাহাত্ম্য। Ꮌ8Ꮌ কিন্তু চণ্ডীর সমালোচনায় প্রবৃত্ত হইব না। কেন না, ধৰ্ম্মগ্রন্থের সমালোচনা কৰ্ত্তব্য নহে। যাহারা সেই গ্রন্থোক্ত ধৰ্ম্মে বিশ্বাসবা, তাহারা প্রায়ই নিরপেক্ষ সমালোচনা করেন না, অথবা করিতে পারেন না। আর র্যাহার সেই ধৰ্ম্মে বিশ্বাসবা নহেন, সম৷ লোচনী-কালে তাহারা অনেক সময়ে অযথা দোষানুসন্ধান করেন। ধৰ্ম্মগ্রন্থের সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ সমালোচনা কদাচিৎ সম্ভব –আর সম্ভব হইলেও, তাহ সম্প্রদায় বিশেষের ধৰ্ম্ম-বিশ্বাসে আঘাত করিতে পারে। এ নিমিত্ত এরূপ সমালোচনা কৰ্ত্তব্য নহে । তাহার পর, হিন্দুর নিকটে ‘ ধৰ্ম্ম —অস্তরের সামগ্রী। ধাৰ্ম্মিক কথন ধৰ্ম্মকে বাহিরে দেখাইতে চাহেন না।—যেমন হিন্দু কুলবধূকে অন্দরের বাহিরে দেখিলে ব্যথিত হন, তেমনই নিজের ধৰ্ম্মমতও বাহিরে সমালোচিত হইতে দেখিলে, হিন্দু দুঃখিত হইয়৷ থাকেন। হিন্দু মাত্রেই কখন নিজ ইষ্ট-দেবতার নাম প্রকাশ করেন না—বীজ-মন্ত্র উচ্চারণ করেন না— গুরুর নাম মুখে আনেন না। হিন্দু অন্তরে তান্ত্ৰিক হইয়াও “ সভায়াং বৈষ্ণবমাচরেৎ ” বলিয়া, তাহার প্রকৃত ধৰ্ম্ম-মত অন্তরের অন্ততম স্থানে লুকাইয়। রাখেন । হিন্দু গোপনে নির্জনে উপাসনা করেন ; দলবদ্ধ হইয়া সভায় বসিয়া কখন উপাসনা করেন না । সুতরাং হিন্দুর নিকট র্তাহার ধৰ্ম্ম মত সমালোচন, কখন আদৃত বাউপাদেয় হইতে পারে না। আর সেই সমালোচনা প্রশংসামূলকই হউক, কিন্ধ৷ দোষামুসন্ধান-প্রবৃত্তি-মূলকই হউক, সকল প্রকারেই স্তাহ হিন্দুর নিকট দুষনীয়। এ কারণ আমরা এস্থলে চণ্ডী-গ্রন্থের সমালোচন৷ করিব না ; চণ্ডীতে কি আছে, এস্থলে তাহাই উল্লেখ করিব মাত্র ।