পাতা:শ্রীশ্রীচণ্ডী-মহেন্দ্র নাথ মিত্র.djvu/১৫৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

मांश्ॉजूT । Ꮌ8☾ করিয়া দেন। র্তাহীরা সাধারণ (Abstract) সত্যগুলিকে বিশেষ (Concrete) আকৃতি দিয়া, সাধারণের গ্রহণযোগ্য করিয়া দেন। কখন রূপকে—কখন বা উপাখ্যানের সাহায্যে, সেই সকল সত্য প্রচার করেন। এইজন্ত অনেক উপাখ্যান ও রূপক-বর্ণনা ধৰ্ম্ম গ্রন্থে প্রবেশ লাভ করিয়াছে। এইজন্তই ধৰ্ম্ম গ্রন্থ সমুহে কাব্যাংশ আছে ;- কিন্তু তাহা আমাদের সমালোচ্য নহে। চণ্ডীর রচনা সম্বন্ধে এস্থলে কিছু বলা আবশ্বক। চণ্ডীর রচনা মতি মনোহর-অতি উপাদেয়, তাহা এক বাক্যে সকলেই স্বীকার করেন। এই রচনা এত মনোহর যে, চণ্ডীপাঠ-কালে বোধহয় যেন কতই মধুর সঙ্গীত ধ্বনি হইতেছে! চওঁতে গীতি-কাব্যের ষ্ঠায় যে লালিতা—যে মাধুৰ্য আছে, তাহ বর্ণনাতীত। বিশেষতঃ চণ্ডীতে যে কয়েকটি স্তোত্র আছে, তাহার মধুরতা এত অধিক— এতদূর হৃদর-গ্রাহী ও মন মুগ্ধকর যে, যিনিই তাহা মননিবেশ পূরক যথারীতি আবৃত্তি করিতে চেঃ করিয়াছেন, বা আবৃত্তি শুনিয়াছেন, তিনিই একবাক্যে তাহা স্বীকার করিতে বাধ্য হুইবেন। বাস্তবিকই তাহা ‘ কাণের ভিতর দিরা মরমে পশিয়া প্রাণ আকুল করিয়া তুলে। ইহাতে কি যেন মাদকতা আছে, বাঙ্গতে সাধককে অনেক সময় উন্মত্ত করিয়া দেয় ! এইজন্ত বোধ হয় চণ্ডার আবৃত্তি হিন্দুর নিকট এত পবিত্র-এত প্রয়োজন। এইজন্তই বোধ হয়, চণ্ডীর শ্লোক গুলিকে মন্ত্র বলা হয়। মন্ত্রের প্রকৃত উচ্চারণেই কাৰ্য্য হয়, তখন তাহার অর্থ গ্রহণ না হইলেও ক্ষতি নাই। মন্ত্ৰ-উচ্চারণ-কালে একরূপ সুর ও তাল, এবং তংসহ একরূপ অনুকম্পন উৎপন্ন হয়, তাহ আমাদের মনের ও সমস্ত J)