পাতা:শ্রীশ্রীচণ্ডী-মহেন্দ্র নাথ মিত্র.djvu/১৫৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

>8○ চণ্ডী শরীরের উপর কার্য্য করে। সেই ক্রিয়া-ফলে একরূপ অপূৰ্ব্ব শক্তি উৎপন্ন হয়—তাহ ধৰ্ম্ম-সাধনের বিশেষ উপযোগী । ইহা ব্যতীত মন্থের উচ্চারণ দ্বারা মনের একাগ্রতা জন্মে। সেই একাগ্রতা আমাদিগকে নিবৃত্তির পথে—সংযমের পথে লইয়া যায়। এই একাগ্রতা-সাধনই ধৰ্ম্ম-সাধনের প্রথম সোপান। যাহা হউক, মন্ত্রের কি প্রয়োজন তাহ এস্থলে জার অধিক বলিবার আবশুক নাই। চণ্ডী যে মন্ত্র রূপে পাঠ করা হয়, এবং সেইজন্য চণ্ডীপাঠ হইতে শ্রেষ্ঠ ফল লাভ হয় বলিয়া শাস্ত্রে যে উল্লিখিত হইয়াছে, তাহা অনেক হিন্দুই বিশ্বাস করেন। এস্থলে সে সম্বন্ধে আর কিছু উল্লেখের প্রয়োজন নাই। এক্ষণে চণ্ডীতে ধৰ্ম্ম-তত্ত্ব কিরূপে বিস্তারিত হইয়াছে, তাহা আমরা দেখিতে চেষ্টা করিব । চণ্ডীর প্রারম্ভে আমরা দেখিতে পাই যে, সুরথ নৃপতি কিরূপে অষ্টম মনু হইয়াছিলেন—তাহারই বিবরণ বর্ণিত আছে। এই বিবরণ উপলক্ষ্য করিয়া চওঁীর মাহাত্ম্য কীৰ্ত্তন করা হইয়াছে। মুরগ—স্বারোচিষ-মম্বন্তর-কালে চৈত্রবংশীয় একজন সামান্য ভূপতি ছিলেন মাত্র। তিনি কিরূপে “মধু মহামায়া-প্রভাব-আশ্রয়ে মন্বস্তুর-অধিপতি" হইতে পারিয়া ছিলেন, তাহাই চওঁীতে দেখান হইয়াছে। স্বরথ রাজা অপত্য-নিৰ্ব্বিশেষে প্রজাপালন করিতেন। পরে শূকর ভোজী অসভ্যজাতির অধিপতিগণ র্তাহার শক্র হইয়া উঠিল। তাহাদের সহিত সংগ্রামে স্বরথ ভূপতি পরাজিত হইয়া, নিজ রাজধানীতে ফিরিয়া আসিলেন। সেখানেও শত্রুরা তাহাকে আক্রমণ করিয়া পরাজয় করিল। অবসর বুঝিয়, তাহার বিশ্বাস-ঘাতক