পাতা:শ্রীশ্রীচণ্ডী-মহেন্দ্র নাথ মিত্র.djvu/১৮৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

भांश्ॉड्रा । ১৭৫ পানী পরিব্যাপ্ত ছিল। চারিদিক হিংস্র জন্তুর আবাসভূমি ছিল। সেই কালে মনুষ্যকে বস্তজন্তুর সহিত সংগ্রাম করিয়া আওসর হইতে হইত। তাহার পর মানুষ যখন অপেক্ষাকৃত সভ্য হইল, তখন অসভ্য বন্তজাতির সহিত সংগ্রাম করিতে হইত। বিবর্তন-নিয়মে জগতের উন্নতি-কল্পে, এইরূপ সংগ্রাম করিয়াই মানুষকে ক্রমে ক্রমে অগ্রসর হইতে হইয়াছে । আর সমগ্র মানবজাতি সম্বন্ধে যে কথা—আর্য্যজাতি সম্বন্ধেও সেই কথা। আর্য্যজাতিও এইরূপ ংগ্রাম করিয়া তবে তাহদের অধিকার বিস্তার করিয়াছিলেন,— এ কথা আধুনিক পণ্ডিতগণও বিশ্বাস করেন। চণ্ডীর এই শেষ দুই উপাখ্যান—সেই সংগ্রামের ইতিহাস হইতে পারে। মহিষা সুরের সেনানীগণের নাম হইতে, কতকটা এই অনুমান সঙ্গত বলিয়া বোধ হয়। বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্য' এই যে, জগতে আমরা দুইটি বিপরীত শক্তির ক্রিয়া বরাবর দেখিতে পাই । একটি তামসিক, আর একটি সাত্বিক। একটির পরিণাম অবনতি, আর একটির পরিণাম উন্নতি। একটিতে জড়ত্বের বৃদ্ধি করে, অপরটিতে জীবত্বের বিকাশ করে। জগতের যত ক্রমোন্নতি হয়, তত জড়-শক্তি সঙ্কুচিত হয়—জৈব-শক্তি প্রসারিত হয়। ইহার ফলে জীবের ক্রমোন্নতি হয়। এই পৃথিবী জীব স্থষ্টির উপযোগী হইলে, প্রথমে নিম্নতর জীব মৎস্তাদির স্বষ্টি হয় –পরে সরীস্বপাদির বিকাশ হয় । পৃথিবীতে মনুষ্যের আবির্ভাবের পূৰ্ব্বে, ভীষণ বন্য পশুদিগের বিশেষ প্রান্তর্ভাব ছিল। সেই সকল পশুজাতির কতকটা উচ্ছেদ হইয়া, মানব জাতির উন্নতি আরম্ভ হইয়াছে। তাহার পর, অসভ্য