পাতা:কাশীদাসী মহাভারত.djvu/৩৫৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বনপৰ্ব্ব । ] , চক্রমমুনি ক্সিপ্রদসিতাং দিখাচ্ছি য়ং বঃ সদা । 8ՀX A. পাচ মাসে জাগাইল ভয় পেয়ে মনে । যজ্ঞ আরম্ভিল দেব রাবণ কুমার। arনদহ নাহিক আজি মরিবেক রণে ॥ যজ্ঞ সাঙ্গ হৈলে মৃত্যু নাহিক উছার ॥ এত যদি কহিল রাক্ষস বিভীষণ । বিধিবাক্য আছে হেন আমি জানি ভালে। তুষ্ট হয়ে শ্রীরাম দিলেন আলিঙ্গন ॥ তবে সে মারিতে পার যজ্ঞ নষ্ট হৈল। কুম্ভকৰ্ণে রাবণ কহিল সমাচার। শুনিয়া হইল সৰে হরষিত মন । কাধে মহাবীর আসি দিল মহামার ॥ যজ্ঞনষ্ট কৈল গিয়া পবন নন্দন ॥ একেবারে গিলিল বানর শতে শতে ; তবে ব্রহ্ম অস্ত্র তারে মারিল লক্ষণ। বহির হইল কেহ নাক কাণ পথে ॥ পরাণ ত্যজিল তাহে রাবণ-নন্দন ॥ দখিয়া বিকট মূৰ্ত্তি ধায় সৈন্যগণ । বার্তা পেয়ে শোকাকুল রাক্ষসের পতি । সন্ত্র যুড়ি অগ্রে যান কমললোচন ॥ রাবণ আসিল রণে অতি ক্রোধমতি ॥ শ্রমে দেখি কুম্ভকৰ্ণ ধায় গিলিবারে । _ সত্বরে মারেন রাম ব্ৰহ্ম অস্ত্র তারে ॥ : রাবণ-বধ । সই বাণে মরিল দুরন্ত নিশাচর । পুত্ৰশোকে সমরে আইল দশানন । পূষ্পবৃষ্টি করিলেন যতেক অমর ॥ দেখি অগ্রসর হৈল স্থমিত্রা নন্দন ॥ ভাবিত হইল রাজা সৈন্য নাহি আর লক্ষণের সঙ্গেতে আইল বিভীষণ । কি প্রকারে এ বিপদে পাইব নিস্তার ॥ • বিভীষণে দেখি করে রাবণ চিন্তন ॥ প্ৰবিয়া পাঠায় শেষে মকরাক্ষ বীরে । ! এতেক ভাবিয়া দুষ্ট অতি ক্রোধভরে । স আসি অনেক যুদ্ধ করিল সমরে ॥ লক্ষণে ছাড়িয়া অস্ত্র বিভীষণে মারে । এই যুদ্ধ করি মৈল ঐরামের বাণে । | এড়িলেক শেলপটি ভীষণ দর্শণ। পরে কুম্ভ নিকুম্ভ প্রবেশ কৈল রণে ॥ দিব্য অস্ত্র এড়ি তাহা কাটিল লক্ষণ ॥ মহাক্রোধে পুনঃ শেল মারে বিভীষণে । পুনৰ্ব্বার লক্ষণ কাটিল দিব্য বাণে ॥ দুই শেল অস্ত্র যদি কাটিল লক্ষণ । <ল বুদ্ধি বিক্রমেতে বাপের সমান । প্রাণপণে যুঝিল সুগ্ৰীব হনুমান ॥ উই ভাই পড়িল লইয়া সৰ্ব্ব সেন । বন ইন্দ্ৰজিত বীরে নাহি সাম্ভবনা ॥ যমদণ্ড শেল হাতে লইল রাবণ ॥ তবে ইন্দ্ৰজিতে আজ্ঞা দিল দশানন । ডাকিয়া কহিল তবে লক্ষণের ভরে । সসৈন্তে মারহ তুমি স্ত্রীরাম লক্ষণ ॥ বুঝিলাম বীরপণ রক্ষা কৈলে পরে ॥ "ইতি লইয়া তবে সেনা অপ্রমিত । আপন সম্বর ঝাট যায় শক্তিবর। কি হেতু আইলা কুমার ইন্দ্রজিত ॥ দেখিয়া লক্ষণ বীর হইল ফাপর ॥ ক্রাধে আপি তবে সে করিল বহু রণ। প্রাণপণে বাণ মাঠে নারে নিবারিতে । তমনি করিল যুদ্ধ ঠাকুর লক্ষণ ॥ কালদণ্ড সমান অলিখু৷ শূন্তপথে ॥ "য়ায় রাক্ষস যুদ্ধ করে বহুতর। নিৰ্ভয়ে বাজিল গিয লক্ষণের বুকে । দেখি মহাযুদ্ধ হৈল পরস্পর ॥ পড়িল লক্ষণ বীর মধ উঠে মুখে ॥ প'ইতে নারিল যুদ্ধ রাবণ-নন্দন । শোকাকুল রঘুনাথ হলেন অজ্ঞান । * দিয়া প্রবেশিল নিজ নিকেতন । পৰ্ব্বত আনিল তবে বীর হনুমান ॥ গণণ করিয়া সেই যজ্ঞ আরম্ভিল । পৰ্ব্বতে ঔষধি ছিল তার অনুভৰে । ইনকালে বিভীষণ লক্ষণ কৰিল । লক্ষণ পাইল প্রাণ আনন্দিত সবে ॥