পাতা:কাশীদাসী মহাভারত.djvu/৩৭২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

3S)8 জানুন্যস্তকরামুজং ত্রিনয়নং রত্নোল্লাসদৃভূষণং। বিশেষ তোমার এই পতি পঞ্চজন । তথাপি বাঞ্ছিত মনে স্বতের নন্দন ॥ ইহাতে কহা’স লোকে পতিব্ৰতা সতী । প্রকাশ করিলি তোর কুৎসিত প্রকৃতি ॥ সভামধ্যে বলাইস পরম পবিত্র । এতদিনে ব্যক্ত হৈল নারীর চরিত্র ॥ অবিশ্বাসী সৰ্ব্বনাশী তুই দুষ্টমতি । কি জন্য হুইল তোর এমন কুরীতি ॥ শক্র জনে যদ্যপি আছয়ে তোর মন । আর তোরে বিশ্বাস করিবে কোন জন ॥ এত বলি মহাক্রোধে গদা ল’য়ে ভীম । দ্রৌপদী মারিতে যান বিক্রমে অসীম ॥ ঈষৎ হাসিয়৷ তবে দেব জগন্নাথ । শীঘ্ৰগতি ভীমের ধরেন দুই হাত ॥ হাস্যমুখে শ্ৰীমুখে কহেন ভীমসেনে। দ্রৌপদীরে নিন্দ-তুমি কর অকারণে ॥ কদাচিত দ্রৌপদীর দুষ্ট নহে মন । কহিব তোমারে আমি ইহার ফারণ ॥ সবাকার সকল বৃত্তান্ত আমি জানি । অকারণে কৃষ্ণারে নিন্দহ পার্থ তুমি ॥ নারীমধ্যে এমত নাহিক কোন জন । তবে সে কহিল কৃষ্ণ ত্রাসের কারণ ॥ ইহার কারণ অাছে অতি গুপ্তকথা । এখন উচিত নহে কহিব সৰ্ব্বথা ॥ দেশে গিয়া নৃপতি বলিলে সিংহাসনে । বিশেষ করিয়া তা কহিব সৰ্ব্বজনে ॥ কৃষ্ণার সমান সতী পতিব্ৰতা নারী । ক্ষিতিমধ্যে নাহি কেহ কহিবারে পারি ॥ শুনিয়া কৃষ্ণের মুখে এতেক উত্তর । নিবৃত্ত হইয়া বসে বীর বৃকোদর ॥ আশ্চৰ্য্য মানিল যুধিষ্ঠির নৃপমণি । লজ্জায় মলিন মুখে রহে যাজ্ঞসেনী ॥ অলঙ্ঘ কৃষ্ণের মায়। কে বুঝিতে পারে । কেবল কৃষ্ণার গৰ্ব্ব চুৰ্ণ করিবারে ॥ করিলেন এত ছল মিথ্যা প্রবঞ্চন । স্নানদান কৌতুক করিল সৰ্ব্বজন ॥ [ মহাভারত । ফল মূল আহার করিল কুতুহলে । পঞ্চভাই কৃষ্ণেরে কহিল সত্যবোলে ॥ অতঃপর জগন্নাথ কর অবধান । - - এ স্থান হইতে করি আমরা প্রস্থান ॥ কৃষ্ণ কন আসিয়াছি মুনির আশ্রমে । বিনা সম্ভাষিয়া তারে যাইব কেমনে ॥ অন্য কেহ নহে রাজা তুমি উপস্থিত । । আশ্রমে আসিয়া মুনি হবেন দুঃখিত ॥ বলিবেন যুধিষ্ঠির আশ্রমেতে আসি । অবজ্ঞা করিয়া গেল মোরে না সম্ভাষি ॥ সেই হেতু দিনেক থাকিতে যুক্তি হয় । এ যুক্তি সবার মনে লয় কি না লয় ॥ ধৰ্ম্ম বলিলেন কৃষ্ণ যে আজ্ঞ তোমার । ত্রিভুবন ভিতরে লঙ্ঘিতে শক্তি কার ॥ এত বলি কৌতুকে রহেন সৰ্ব্বজন । হেথা মুনি জানিল কৃষ্ণের আগমন ॥ আপনার প্রশংসা করিল বহুতর । ধন্য আমি সফল হুইল কলেবর ॥ তপস্যা করিয়া র্যারে দৃষ্টি অভিলাষী । অযত্নে তাহার দেখা পাই ঘরে বসি ॥ এত বলি কৌতুকে তুলিল ফল মূল । হরিষ অন্তরে চলে হইয়া আকুল ॥ আশ্রমে আসিয়া মুনি হৈল উপনীত । মধ্যাহ্ন সময়ে যেন আদিত্য উদিত ॥ পুরাইতে শ্ৰীহরি ভক্তের মনোরথ । অগ্রসর হৈয়া আইলেন কত পথ ॥ সেই মত সৰ্ব্বজন আইল সংহতি । মুনিবরে প্রণাম করিল হৃষ্টমতি ॥ শ্ৰীকৃষ্ণে দেখিয়া কহে মুনি সন্দীপন । অনন্ত তোমার মায়া জানে কোন জন ॥ তুমি ব্রহ্মা তুমি শিব তুমি নারায়ণ । কি শক্তি আমার প্রভু করিতে স্তবন ॥ | বহুমত স্তব করি মুনি সন্দীপন । আশ্রমে আসিয়া দিল বসিতে আসন ॥ সেইমত আসন দিলেন সৰ্ব্বজনে । বসিলেন সৰ্ব্বজন আনন্দিত মনে ॥ –=