পাতা:কাশীদাসী মহাভারত.djvu/৬৩৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

**や দংষ্ট্র করালবদনাং পীনোন্নত পয়োধরাম্ ॥ মহাভারত। ভূরিশ্রব বলে কৃষ্ণ কহিল প্রমাণ । তোমা হৈতে এত সব হৈল অপমান ॥ কি কারণে নিন্দ আমি করি অর্জনেরে । তোমা সম দুষ্ট নাহি পৃথিবী ভিতরে ॥ তোমার কুবুদ্ধে হৈল সকল সংহার। নিলজি তোমারে আমি কি বলিব আর ॥ এত বলি ভুরিশ্রব হইল বিমন । কি কৰ্ম্ম করিনু আমি নিন্দি নারায়ণ ॥ আপনার কৰ্ম্মভোগ করি যে আপনে । তবে কেন বড় হ’য়ে নিন্দি নারায়ণে ॥ . অন্তকালে যে জন স্মরয়ে নারায়ণ । চতুভুজেরূপে যায় বৈকুণ্ঠ-ভুবন ॥ এতেক বলিয়া ভুরিশ্রব নরপতি । বিধিমতে গোবিন্দেরে করিলেন স্তুতি ॥ ডাকিয় বলিল কৃষ্ণ তোমারে নিন্দিয় । কি গতি আমার হবে না পাই ভাবিয়া ॥ অধম দেখিয়া মোরে হও কৃপাবান । নরক হইতে মোরে কর পরিত্রাণ ॥ তোমা বিনা গতি মম নাহি নারায়ণ । কৰ্ম্ময়মনোবাক্যে আমি নিলাম শরণ ॥ সৰ্ব্বকাল তোমা বিনা নাহি জানি আমি । মৃত্যুকালে তোম। নিন্দি হই অধোগামী ॥ আপনার গুণে কর আমারে উদ্ধার । নরক হইতে ত্রাণ করহ আমার ॥ এত বলি ভুরিশ্রব মৌনেতে রহিল । হৃদয়-পঙ্কজে পদ ভাবিতে লাগিল ॥ শ্ৰীকৃষ্ণ বলেন তুমি ত্যজ দুঃখমন । স্বচ্ছন্দে চলিয়া যাহ বৈকুণ্ঠ-ভুবন ॥ সিদ্ধ ঋষি যোগী সেই স্থান নাহি পায় । তথাকারে যাহ তুমি আমার আজ্ঞায় ॥ বৈকুণ্ঠেতে আগে তুমি করহ গমন । তথা গিয়া তোমা সঙ্গে করিব মিলন ॥ ভুরিশ্রব শ্ৰীকৃষ্ণেতে এই কথা হয় । কৃষ্ণধ্যান করি ভুরিশ্রব মৌনে রয় ॥ হেনকালে সাত্যকি উঠিয়া ভূমি হৈতে। খড়গ ল’য়ে যায় তুরিশ্রবারে কাটিতে ॥ --~ হাতে চুল জড়াইয়া খড়গ ল’য়ে করে। খণ্ড খণ্ড করি বীর কাটিল তাহারে ॥ এতেক দেখিয়া কৌরবের সেনাগণ । সাত্যকি উপরে করে বাণ বরিষণ ॥ এক লাফে সাত্যকি উঠিল গিয়া রথে । ধনু গুণ টঙ্কারিয়া অস্ত্র নিল হাতে ॥ নিমিষেকে মারে লক্ষ লক্ষ সেনাগণ । | | | বাণবৃষ্টি করে বীর মহাকোপ মন ॥ দ্রোণপৰ্ব্ব পুণ্যকথা জয়দ্ৰথ বধে । কাশীরাম দাস কহে গোবিন্দের পদে ॥ ভীম কর্তৃক দুর্য্যোধনের নবতি সহোদরের মৃত্যু। মুনি বলে শুন পরীক্ষিতের নন্দন । , অনন্তর ভীমসেন করে ঘোর রণ ॥ ভীমের সংগ্রাম দেখি ভীত কুরুদল । হাহাকার মহাশবদ হয় গণ্ডগোল ॥ পুনরপি ভীম উঠি রথের উপর । রথ চালাইয়া দিল বিশোক সত্বর ॥ বিশোক চালায় রথ বায়ুপম গতি । যুঝিতে যুঝিতে যায় ভীম মহামতি ॥ কতদূর গিয়া ভীম সাত্যকি দেখিল । আনন্দিত হয়ে তারে বার্তা জিজ্ঞাসিল ॥ ভীম বলে কহ অৰ্জ্জুনের সমাচার । কি কারণে রথধ্বজ নাহি দেখি তার ॥ সাত্যকি কহিল এই দেখ বৃকোদর। দ্রোণসহ ধনঞ্জয় করেন সমর ॥ পুনরপি বলে ভীমে কহ বিবরণ। যুধিষ্ঠিরে ছাড়িয়া আইলা কি কারণ ॥ ভীম বলে যুধিষ্ঠির পাঠান আমারে । অৰ্জুনের সমাচার জানিবার তরে ॥ ধৃষ্টদ্যুম্ন স্থানে তারে করি সমপর্ণ । আসিয়াছি সমাচার জানিতে এখন ॥ শুনিয়া সাত্যকি তবে আনন্দিত হৈল ॥ ভামে দেখি কর্ণবীর পুনশ্চ আইল ॥ কর্ণেরে দেখিয়া ভীম বলে ডাক দিয়া । পুনঃ পুনঃ আসিয়া যাইস পলাইয়া ॥