পাতা:কাশীদাসী মহাভারত.djvu/৬৮৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

হশুরংচামরং ধৃত্বা ভগস্বাঙ্গে চ দক্ষিণে। - سراج واقا [মহাভারত পরম পণ্ডিত সূত ধৰ্ম্মেতে তৎপর। সকল পুরাণ পাঠে ব্যাসের সোসর ॥ ব্রাহ্মণ্য দিলেন ব্যাস দেখি জ্ঞানবান । হেনজনে বধ কর অদ্ভুত বিধান ॥ তোমারে না শোভে হেন কৰ্ম্ম দুরাচার । ব্ৰহ্মবধ কর রাম কি বলিব আর ॥ সৃতের কারণে মুনিগণ মনে দুঃখ । লজ্জাতে মলিন রাম হন অধোমুখ ॥ অন্তৰ্য্যামী ব্যাস পরাশরের নন্দন । অকস্মাৎ আইলেন নৈমিষ কানন ॥ র্তারে দেখি শৌনকাদি মুনির সমাজ । পাদ্য অৰ্ঘ্য আসনে পৃজিল মুনিরাজ ॥ রাম আসি প্রণমেন মুনির চরণে । আশীৰ্ব্বাদ করিলেন মুনি শান্তমনে ॥ দেখিয়া রামের কার্য্য ব্যাস তপোধন । লাগিলেন কহিবারে করুণ বচন ॥ সূত বধ করি রাম কি কাৰ্য্য করিলা । সূতের নিধনে রাম ব্রহ্মবধী হৈলা ॥ অষ্টাদশ পুরাণ করিয়া আমি সার । দিলাম সে সকলের পাঠে অধিকার ॥ চৌদ্দ শাস্ত্র চারি বেদ আর যত শাখা। ব্রাহ্মণ সূতেরে আমি করিলাম দীক্ষা ॥ আগম প্রভূতি আর আছে তন্ত্র যত । আমার বরেতে সূত ছিল অবগত ॥ । অকারণে বধ রাম করিলা তাহারে । ব্ৰহ্মহত্য মহাপাপ হইল তোমারে ॥ রাম কন না জানিয়া হৈল দুষ্টাচার । এ পাপ হইতে মোরে করহ উদ্ধার ॥ ব্যাস কছিলেন যত তীর্থ পৃথিবীতে । অনুক্রমে পার যদি ভ্ৰমণ করিতে ॥ যতি হয়ে ব্রহ্মচৰ্য্য আরম্ভ করিয়া । চান্দ্রায়ণ করি তীর্থ আইস ভ্ৰমিয়া ॥ কর যজ্ঞ হোম আর ব্রাহ্মণ-ভোজন । নানা দান দিবে দ্বিজে অতিথি-সেবন ॥ ইত্যাদি কহিয়া ব্যাস গেলেন স্বস্থান । তীর্থযাত্রা হেতু রাম করেন বিধান ॥ s --- সূতের তনয় ছিল নাম তার সৌতি । ডাকিয়া আনেন তারে রেবতীর পতি ॥ কহিলেন কর পিতৃশ্ৰাদ্ধাদি তপণ । শ্রাদ্ধ করি করাইল ব্রাহ্মণ-ভোজন ॥ পুনঃ তারে বলদেব করিয়া আহবান । পুরাণ পাঠের হেতু করেন বরণ ॥ ব্যাসাসনে সৌতিরে বসান হলধর । দেখি মুনিগণ হন সহর্ষ অন্তর ॥ মুনিগণে বিদায় হইয়া হলপাণি । চলিলেন তীর্থযাত্র করিতে আপনি ॥ বলেন বৈশাম্পায়ন শুনহ রাজন । কহিব অপূৰ্ব্ব কথা অতি পুরাতন ॥ কৌরব পাণ্ডবে পাশা খেলাইল যবে । বলরাম তীর্থ হেতু চলিলেন তবে ॥ জন্মেজয় কছিলেন কহ বিবরিয়া । কোন কোন তীর্থে রাম গেলেন ভ্ৰমিয়া মনেতে ভাবিয়া ব্যাসদেবের চরণ । কাশীরাম দাসের পয়ার বিরচন ॥ বশিষ্ঠ তীর্থের বিবরণ কথন । বলেন বৈশম্পায়ন শুন নরপতি । যেই যেই তীর্থে রাম করিলেন গতি ॥ একমন হইয়া শুনছ নরবর। ইহার শ্রবণেতে নিষ্পাপ হয় নর ॥ গেলেন বশিষ্ঠ তীর্থে সরস্বতী তীরে । , স্নান করি দান করিলেন ধনার্থীরে ॥ ব্রাহ্মণ-ভোজন করা ইয়া বলরাম । অতিথি সেবিয়া পূর্ণ করিলেন কাম ॥ রাজা বলে সেই তীর্থ হৈল কি কারণ ! বশিষ্ঠ তীর্থের কথা কহ তপোধন ॥ মুনি বলে অবগতি কর মহারাজ । যে হেতু বশিষ্ঠ তীর্থ শুন তার কায ॥ বিশ্বামিত্র বশিষ্ঠে বিবাদ অনুক্ষণ । পূর্বে কহিয়াছি আমি এ সব বচন ॥ বড়ই তেজস্ব ক্রোধী মুনি বিশ্বামিত্র } যুক্তিতে মারিল বশিষ্ঠের শত পুত্র ॥