পাতা:কাশীদাসী মহাভারত.djvu/৭৬৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

จd 8 Tजकीमनङ्गबहळनयरमक এতেক ভাবিয়া বৈশু জিজ্ঞাসে পত্নীরে। হইলাম বিস্মিত তোমার ব্যবহারে ॥ পতিব্ৰতা বলি তোমা জানে জগজ্জন । পর-পুরুষের সঙ্গে কর আলাপন ॥ শুনিয়া সে বৈশুপত্নী কহিতে লাগিল । তব রূপে এইরূপ বিধি নিরমিল ॥ - আকৃতি প্রকৃতি রূপ তুল্য দোহাকার । কেমনে জানিব চিত্তে কে স্বামী আমার ॥ এক গর্ভে জন্ম হেন হয়েছে দোহার ! ভেদজ্ঞান নাহি যেন অশ্বিনীকুমার ॥ দেখিয়া হুমতি তবে ভাবে মনে মনে । । ছুই স্বামী এক রূপ দেখি কি কারণে ॥ পাপ বস্তু বলি হেন মনে নাহি জানি । বুঝি করিলেন মোরে মায়া চক্রপাণি ॥ এতেক ভাবিয়া দেবী বিস্ময় অন্তরে । কৃতাঞ্জলি করি স্তুতি করে দামোদরে ॥ জয় জয় জগৎপতি জয় নারায়ণ । নমস্তে মাধব নমো নমো জনাৰ্দ্দন ॥ নমস্তে বরাহরূপ নমস্তে বামন । বলির মত্তত হেতু পৃথিবী ধারণ ॥ নমস্তে মোহিনীরূপ আহরমোহন । নমো নারায়ণ মধুকৈটভমর্দন ॥ নমো ধশ্বম্ভরীরূপ দেবতার হিতে । জগৎ উদ্ধার নাথ জগতের প্রীতে ॥ সত্ব রজঃ তমোরাপ জয় জগৎপতি । নমো নরসিংহরূপ ভক্তজন গতি ॥ নমঃ ক্ষত্ৰকুলান্তক নমো ভূগুপতি । নমো রামকৃষ্ণরূপ নমো জগৎপতি ॥ অখিলধারণ রূপ অখিলকারণ । অন্তরীক্ষ নাভি তব, পাতাল চরণ ॥ আকাশ মস্তক তব, তপন নয়ন। বিরাট রূপেতে ব্যাপিয়াছ ত্রিভুবন ॥ চরাচর দেব নাগ তোমার বিভূতি । কি বণিতে পারি দেব আমি নারীজাতি ॥ অবল স্ত্রীজাতি হেন বলে জ্ঞানীজন । তোমার মহিমা কিবা করিব বর্ণন ॥ তব মায়াবশে সমাচ্ছন্ন জগজ্জন । عيسجد – কৃপা করি দেব মোর যুচাও বন্ধন ॥ তব পাদপদ্ম বিন না জানি মুরারী । যদি আমি হই সতী পতিব্ৰতা নারী ॥ দাসী বলি কৃপা যদি কর নারায়ণ । এ মহা লজ্জাতে মোরে করই তাঁরণ । ভীষ্ম বলিলেন শুন শ্ৰীধৰ্ম্ম রাজন। এইমত বৈশুপত্নী করিল স্তবন ॥ বৈকুণ্ঠের পতি তবে বৈকুণ্ঠ হইতে । বৈশ্যপত্নী নিকটে আইলেন ত্বরিতে ॥ ত্রিভঙ্গ ললিত রূপ শু্যাম কলেবর । , কনক কিরীট দিব্য মস্তক উপর ॥ পীতবাস পরিধান রাজীবলোচন । শঙ্খ চক্র গদা পদ্ম শ্ৰীবৎসলাঞ্ছন ॥ তুলসী কোমলদল বিচিত্ৰ ভূষণ । মকর কুণ্ডল আদি বলয় কঙ্কণ ॥ চারু চতুভুজরূপ মোহন মুরতি । ধন্য ধন্য মহাপ্ৰভু ধন্য জগৎপতি ॥ অঙ্গের দুকূল ভালে আনন্দ অশ্রুতে । দবগুৎ হইয়া কন্যা পড়িল ভূমেতে ॥ হাতে ধরি শীঘ্ৰগতি তুলিলেন তারে। দামোদর দিব্যজ্ঞান দিলেন দোহারে ॥ . দিব্যজ্ঞানে দিব্য মূৰ্ত্তি হৈল তিনজন । বৈশ্বপত্নী বৈশ্ব আর ব্যাধের নন্দন ॥ তিনজন নানা স্তুতি করে নারায়ণে । করযোড়ে হুমতি রহিল সেইক্ষণে ॥ অবধান কর দেব মম নিবেদন । দুই স্বামী একরূপ দেখি কি কারণ ॥ মায়ার নিদান তুমি বিখ্যাত ভুবনে । মায়া করি ভাণ্ড তুমি নিজ ভক্তগণে ॥ কার শক্তি তব মায়া করিবে বর্ণন । কিবা মায়াচছন্ন মোরে করিলে এখন ॥ দুই স্বামী একরূপ চিন্ত বড় মনে । আজ্ঞা কর মহাপ্রভু চিনিব কেমনে ॥ কৃপা করি শ্ৰীচরণে পড়ি জগৎপতি । যেই স্বামী সেই হোঁক এই সে মিনতি ॥