পাতা:কাশীদাসী মহাভারত.djvu/৭৯১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শান্তিপৰ্ব্ব । ] পুত্র মিত্র পরিবার না যায় সঙ্গেতে । আপন না ভাবে জীব ঈশ্বর-মায়াতে ॥ সাধু সঙ্গ বিবজিত লুব্ধক হইয়া । না জানে ঈশ্বর-মায়া তত্ত্ব না বুঝিয়া ॥ র্যার নাম গুণের প্রভাব অবর্ণিত । কেবা সে বুঝিবে তত্ত্ব জগতে বিদিত ॥ শঙ্কর র্যাহার মায়া-তত্ত্ব নাহি জানে । মনুষ্য হইয়া কেবা জানিবে কেমনে ॥ জ্ঞানরূপী ভগবান ব্ৰহ্মাণ্ড ঈশ্বর । জ্ঞানে মাত্র জানে জ্ঞানী জ্ঞানের অপর ॥ চরণারবিন্দ তার যে, করয়ে সার । আপনাকে দিয়া প্ৰভু বশ হন তার ॥ যে জন পদারবিন্দ চিন্তে নিরস্তর । ঃসহ সঙ্কটে তারে রাখেন শ্রীধর ॥ র্যার নাম স্মরণে অশেষ পাপ হরে । পাপী হয়ে তত পাপ করিতে না পারে ॥ বহু ক্লেশে লোক ধন করে উপাৰ্জ্জন । ধন দিয়া পোষয়ে বান্ধব পরিজন ॥ ঈশ্বরের কৰ্ম্মে কিছু নাহি করে ব্যয়। অধৰ্ম্মের সঙ্গে অসৎ পাত্ৰেতে মজয় ॥ পরলোকে কি হইবে চিত্তে নাহি ধরে । ঈশ্বরের নাম গুণ স্মরণ না করে ॥ অন্তঃকালে হয় তার নরকে বসতি । আপনাকে না জানে দারুণ মোহ মতি ॥ মোহমদে মাতিয়া করয়ে অহঙ্কার । সাধুজন নিন্দ করে দুষ্ট ব্যবহার ॥ গো ব্রাহ্মণ হিংসা করে হিংসে সাধুজন । ধোগতি হয় তার নরকে গমন ॥ ইরূপে শাস্ত্রকথা অনেক কহিল । নিয়া কলিক মনে বিস্ময় মানিল ॥ fধু পরশন মাত্রে পাপ দূরে গেল । রযোড় করি তবে উতঙ্কে কছিল ৷ পরাধ কৈমু মুনি ক্ষম মহাশয় । তামার পরশে মম পাপ হৈল ক্ষয় ॥ নমো নমঃ তোমার চরণে নমস্কার । शत्र প্রসাদে ভরি এ ভৱ-সংসার ॥ ব্যাঘ্ৰচৰ্ম্ম পরিধানমৃ যজ্ঞসূত্র সমদ্বিতং । ԳԵ-> পূৰ্ব্বজন্মে যত কৈমু পুণ্য উপার্জন । এই জন্মে তত পাপ না হয় গণন ॥ পাপ দূরে গেল মম তোমার পরশে । জন্মিল যে নিত্যানন্দ ভক্তি হৃষীকেশে ॥ তুমি হে পরম গুরু হইল। আমার । তোমার প্রসাদে হইলাম ভবপার । নমো নমো নারায়ণ অনাদি নিদান । জয় জগন্নাথ নাম পতিত-পাবন ॥ সাধু সমাগম মাত্রে দুৰ্ব্ব-দ্ধি খণ্ডিল । তোমার চরণে দেব ভক্তি উপজিল ॥ এইরূপে বহু স্তুতি কৈল নারায়ণে । হৃদয়ে ভাবিয়া যুক্তি করিলেক মনে ॥ এ দেহ রাখিয়। আর নাহি প্রয়োজন । পুনরপি পাপে পাছে ধায় মম মন ॥ ত্ৰিগুণে জন্মিল দেহ ক্ষণেক চঞ্চল । সে কারণে এ দেহ রাখিয়া নাহি ফল ॥ এতেক ভাবিয়া ব্যাধ নিন্দে আপনাকে । হে বিধি আমাকে রাখিলেন কোন পাকে ॥ আমার সমান নাহি পাপী দুরাচার । কেমনে পৃথিবী ভার সহয়ে আমার ॥ আমার যতেক পাপ আছে বল করি । এইক্ষণে আয়ুক্ষয় হউক আমার ॥ অন্তরে ভাবিতে অগ্নি উঠিল নয়নে । অতি শীঘ্ৰ পঞ্চত্ন হইল সেইক্ষণে ॥ ব্যস্ত হ’য়ে উতঙ্ক উঠিল সেইক্ষণ বিষ্ণুপাদোদক অঙ্গে করেন পেচন ॥ বিষ্ণুপাদোদক স্পর্শে সাধু সমাগমে । সৰ্ব্ব পাপ খণ্ডিল জানিল অনুক্রমে ॥ প্রদক্ষিণ করিয়া উতঙ্কে করে স্তুতি । দিব্য রথ পাঠাইল্প দেন জগৎপতি ॥ চতুভুজ দিব্য মূৰ্ত্তি হৈল সেইক্ষণে । প্রভু অনুক্রমে গেল বৈকুণ্ঠ ভুবনে ॥ দেখিয়া উতঙ্ক হৈল সবিস্ময় মতি । নানাবিধ প্রকারে অনেক কৈল স্তুতি ॥ তুষ্ট হয়ে নারায়ণ দেন দরশন। वब्र नेिब्रा यांन रूयः श्रां°न छूदन ॥