পাতা:কাশীদাসী মহাভারত.djvu/৮০৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অশ্বমেধপর্ব । ] আদিত্যাভিমুখং দেবং তাদেৰ সমায়েৎ ; ማ..«? কছিলাম সংক্ষেপে শুনহ নরপতি । লজ্জিত হইয়া ভীম গোবিন্দ মায়ায় । কৃষ্ণে আনি যজ্ঞ কর রাজা মহামতি ॥ না শুনিয়া সেই কথা অপচান ত্বরায় ॥ এ বড় বিস্ময় মম উপজিল মনে । কপুর তাম্বুল শেষে করিয়া ভক্ষণ । তোমার সংহতি কৃষ্ণ নাছি দেখি কেনে ॥ যুধিষ্ঠির বলিলেন ছিল চক্রপাণি । দ্বারকা গেলেন হরি তত্ত্ব নাহি জানি ॥ কৃষ্ণ না দেখিয়া মম উচাটন মন । না কহিয়া আমারে গেলেন নারায়ণ । সেই হেতু আমি বড় ভয় করি মনে । । না বলিয়া শ্ৰীকৃষ্ণ গেলেন কি কারণে ॥ ব্যাস বলিলেন রাজা শুনহ বচন । দ্বারকা গেলেন হরি অাছে প্রয়োজন ॥ ভীমে পাঠাইয়া তুমি আনহু কৃষ্ণেরে। আমি তপোবনে যাই তপ করিবারে ॥ এত বলি ব্যাস চলিলেন তপোবন । ভীমেরে ভাকেন তবে ধৰ্ম্মের নন্দন ॥ কৃষ্ণকে না দেখে মম মন উচাটন । কৃষ্ণ বিনা নাছি রহে আমার জীবন ॥ ভীম বলিলেক যাই কৃষ্ণ আনিবারে । কি কারণে দুঃখ তুমি ভাবহ অস্তরে ॥ রথ আরোহিয়া গেল দ্বারকা নগরে । দূত জানাইল গিয়া গোবিন্দ গোচরে ॥ ভীম আগমন শুনি দেব নারায়ণ । আনন্দে কহেন আন করিয়া যতন ॥ ভোজন করিতে স্থখে ছিলেন শ্ৰীহরি । ভীমে আনিলেন দূত সমাদর করি । ভোজন করেন স্বখে বসি নারায়ণ । হেনকালে উপনীত পবন নন্দন ॥ এস এস বলি কৃষ্ণ ডাকেন ভীমেরে । দাসীগণ পাদ্য অর্ঘ্য যোগাইল তারে ॥ গোবিন্দ বলেন ভাই করহ ভোজন । রুক্মিণী আনিয়া দিল দিব্যাক্স ব্যঞ্জন ॥ ভোজন করেন ভীম মনের হরিষে । যত দেন তত খান অপখির নিমিষে ॥ ভীমের ভোজন দেখি হাসে সত্যভামা । ধৰ্ম্ম তব উদ্ধর না দিতে পারি সীমা n · বিচিত্র প্যলঙ্কোপরে করিল শয়ন ॥ ভীম বলে কৃষ্ণচন্দ্র নিবেদি তোমারে r দ্বারক আইলে তুমি না কহি রাজারে ॥ তোমা না দেখিয়া রাজা দুঃখ পায় মনে । ব্যাস বলিলেলেন তারে যজ্ঞ আরম্ভনে ॥ আপনি তথায় চল যজ্ঞ দেখিবারে । আমাকে পাঠান রাজা লইতে তোমারে ॥ গোবিন্দ বলেন ভাই বঞ্চ এ রজনী । প্রভাতে ভেটিব গিয়া ধৰ্ম্ম নৃপমণি ॥ এত বলি নারায়ণ করেন শয়ন । নানা কথা কুতুহলে রজনী যাপন ॥ রজনী প্রভাতে হরি বিচারি অন্তরে । ডাক দিয়া আনিলেন দেব হলধরে । অক্রুর উদ্ধব আর বিজ্ঞ সৰ্ব্বজনে । গদ শাম্ব প্রদ্যুম্নাদি যত যদুগণে ॥ কৃষ্ণে প্ৰণমিয়া সবে বসিল আসনে । গোবিন্দ বলেন কথা সবা বিদ্যমানে ॥ অশ্বমেধ যজ্ঞ করিবেন যুধিষ্ঠির । আসিলেক আমারে লইতে ভীম বীর ॥ যজ্ঞ দেখিবারে আমি করিব গমন । করিবে সকলে মেলি দ্বারকা রক্ষণ ॥ রাখিয়া দ্বারকাপুরী সযত্ন হুইয়া । আমি যাব কৃতবৰ্ম্ম উদ্ধবে লইয়া ॥ দারুক আনিল রথ সাজায়ে সত্বরে । শুভক্ষণে চাপিলেন হরি তদুপরে ॥ অগ্র হয়ে ভীমসেন আইল সত্বরে । কৃষ্ণ আগমন কথা কহিল রাজারে ॥ শুনিয়া আনন্দ বড় ধৰ্ম্ম নরপতি । চলিলেন কৃষ্ণেরে আনিতে শীঘ্ৰগতি ॥ সহদেব নকুল অৰ্জ্জুন মহামতি । বিছুরাদি সৰ্ব্বজন চলিল সংহতি ॥ যুবনাশ্ব নরপুতি যায় তার সঙ্গে ! কৃষ্ণ-আনিবারে চলে অতি বড় রঙ্গে ॥