পাতা:কাশীদাসী মহাভারত.djvu/৮৪৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

を° পুত্রের নিমিত্ত মোর বড় হৈল মায়া । পুনঃ সিংহে কহিলাম ঘোড়হাত হৈয়৷ ৷ কি বস্তু পাইলে ছাড় আমার কুমারে। | l অনুমতি দেহ আমি যাই সিংহপাশে । নিজ পুত্র ল’য়ে তুমি যাহ গৃহবাসে ॥ এত যদি কহিলেন ভূপতি-নন্দন ।

  • *- l আজ্ঞা কর সেই দ্রব্য দিব সে তোমারে ॥ | তাহা শুনি হাসি বলে কপট ব্রাহ্মণ ॥

তবে সিংহ কহিলেন নিদারুণ বাণী । সে কথা কহিতে নাহি পারি নৃপমণি ॥ রাজা বলিলেন কহ সেই ত কথন । কি কহিল সে কেশরী শুনি বিবরণ ॥ বিপ্র বলে সেই কথা কহিতে না পারি। যে নিষ্ঠর বাক্য মোরে কহিল কেশরী ॥ শুন বিপ্র পুত্রের বাঞ্ছছ যদি প্রাণ । ময়ুরধ্বজের অঙ্গ কাটি শীঘ্ৰ আন ॥ নানা ভোগযুক্ত সেই রাজ-কলেরর । খাইতে আমার বাঞ্ছা আছয়ে বিস্তর ॥ তবে সে ছাড়িব আমি তোমার নন্দনে ; এত বলি আজ্ঞা দিলু পরম যতনে ॥ নিৰ্ব্বন্ধ করিয়া আইলাম তব স্থান । তুমি অঙ্গ দিলে রহে তনয়ের প্রাণ ॥ এতেক বচন বিপ্র বলে বারে বারে । নিজ তনু দিয়া তুমি রাখহ আমার ॥ দ্বিজের শুনিয়া কথা হরিষ রাজন । দিব বলি অঙ্গীকার করিল তখন ॥ তাহা দেখি পাত্রমিত্র করে হাহাকার । যোড়হাত করি বলে রাজার,কুমার ॥ তাম্ৰধ্বজ বলিলেন শুন নিবেদন । তুমি গেলে শূন্য হবে রাজ-সিংহাসন ॥ আমি যাই দ্বিজ সঙ্গে সিংহের সম্মুখে । পরম হরিষে সিংহ খাইবে আমাকে ॥ রাজা বলে তোমা যদি লয়ত ব্রাহ্মণ । তবে সত্য হয় পুত্র আমার বচন ॥ তবে তাম্ৰধ্বজ বড় সম্বিত পাইয়া । দ্বিজ কাছে কহে কথা হরষিত হৈয়া ॥ শুন দ্বিজ তোমারে যে করি নিবেদন । যেই পিতা সেই পুত্র শাস্ত্রের কথন ॥ সিংহাসন শূন্য হবে ভূপতি-বিহনে । আমি শিশুমতি প্রজা পালিব কেমনে ॥ যেই পুত্র সেই পিতা করিলা প্রমাণ। সমান শরীর তুমি ইথে নাহি আন ॥ l কিন্তু সে সিংহের কথা কহি যে তোমাকে । ভূপতির অৰ্দ্ধ অঙ্গ মাগিল আমাকে ॥ ভূপতির অৰ্দ্ধ অঙ্গ যদি পাই ভিক্ষ । তবে সে আমার পুত্ৰ পাইবেক রক্ষা ॥ শুনহ ময়ুরধ্বজ আমার বচন । সমস্ত শরীরে মম নাহি প্রয়োজন ॥ অৰ্দ্ধাঙ্গ দিবেক তুমি বলহ আমারে। পুত্ৰ হেতু এই ভিক্ষা মাগিহে তোমারে ॥ রাজ বলিলেন অঙ্গ দিব আপনার । ইহাতে তিলেক দুঃখ নাহিক আমার ॥ ; অৰ্দ্ধ অঙ্গ ব্রাহ্মণে দিলেন নরপতি । সমাচার পায় পুরে নারী কুমুদ্বতী । দুই চারি দাসী সঙ্গে আইল সেখানে । যোড়হাত করি বলে দ্বিজ বিদ্যমানে ॥ নৃপতির অৰ্দ্ধ অঙ্গ গণি যে আমাকে । মোরে সিংহে দিয়া রাখ আপন বালকে ॥ কেন সিংহাসনশুন্য কর দ্বিজবর । আজ্ঞা দেহ আমি যাই সিংহের গোচর । আমা দরশনে তুষ্ট হবেন কেশরী । পুত্র ল’য়ে যাহ তুমি আপনার পুরী ॥ এত যদি রাজরাণী করিল সাহস । গোবিন্দে নিন্দেন পার্থ হইয়া বিরস ॥ তবে কৃষ্ণ কহিলেন শুনহ রাজন । নারা বাম অঙ্গ মোর নাহি প্রয়োজন ॥ দক্ষিণাঙ্গ দেহ রাজা কহিল আমারে । যাচিঙ্গা করিনু আমি তোমার গোচরে ॥ দক্ষিণাঙ্গ দেহ মোরে শুন নরপতি । মন দিয়া শুন তুমি সিংহের ভারতী ॥ স্ত্রা পুত্রে করাত ধরি তোমারে চিরিবে । তবে তব অৰ্দ্ধ অঙ্গ কেশরী লইবে ॥