পাতা:কাশীদাসী মহাভারত.djvu/৯২২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ఏe 8 অল্প পাপ হেতু মোরা সদা পাই ক্লেশ । সবাকারে উদ্ধারিয়া লহ নিজ দেশ ॥ এত শুনি যুধিষ্ঠির চান চারি কোনে । দেখিতে না পান মাত্র শুনিলেন কাণে ॥ নরক দেখিয়া রাজা মনে পায় ভয় । অনুমানে বুঝিলেন এই যমালয় ॥ ভাবিত হইয়া জিজ্ঞাসিলেন কৃষ্ণেরে। কেন কৃষ্ণ নাহি দেখি জ্ঞাতি বান্ধবেরে ॥ কেন বা হইল মম নরক দর্শন । বিশেষ কহিয়া কৃষ্ণ স্থির কর মন ॥ গোবিন্দ বলেন রাজ করহ শ্রবণ । কিছু পাপ হ’তে হৈল নরক দর্শন ॥ জ্ঞাতি গোত্রে নাহি দেখ তথির কারণে । পাপক্ষয় হৈল এবে ত্যজ ভয় মনে ॥ জন্মেজয় জিজ্ঞাসিল কহ মুনিবর। কোন পাপ করিলেন ধৰ্ম্ম নরবর ॥ আজন্ম তপস্বী জিতেন্দ্রিয় সত্যবাদী । দান ধৰ্ম্মে মতি সদা পাতক বিবাদী ॥ র্তাহার হইল পাপ কেমন প্রকারে । মুনিবর বিস্তারিয়া কহিবা আমারে ॥ যুধিষ্ঠিরের নরক দর্শনের হেতু ও শ্বেতদ্বীপে গিয়া - স্বজনাদি দর্শন । মুনি কহে শুন জন্মেজয় সাবধানে । যুধিষ্ঠিরে পাপ হৈল যাহার কারণে ॥ ভারত সমরে যবে হৈল মহামার। সারথি হ’লেন নারায়ণ অর্জনের ॥ মারিলেন বহু সৈন্য উপায় করিয়া । ভীষ্ম বীরে বধিলেন শিখণ্ডী রাখিয় ॥ তবে সেনাপতি হৈল দ্ৰোণ মহাশয় । অশ্বথামা তার পুত্র সমরে দুৰ্জ্জয় ॥ অনেক প্রকারে দ্রোণ না হয় বিনাশ । দেখিয়া উপায় করিলেন শ্ৰীনিবাস ॥ কপটে মারেন হস্তী অশ্বথমা নামে । অশ্বথামা হত শব্দ হইল সংগ্রামে ॥ শুনি চমৎকার লাগে দ্রোণের অন্তরে । অশ্বথামা হত হরি কহেন সমরে ॥ প্রত্যয় না যান দ্রোণ কৃষ্ণের উত্তরে । সত্য মিথ্যা জিজ্ঞাসিল রাজা যুধিষ্ঠিরে ॥ দ্রোণবাক্য শুনিয়া চিন্তিত নৃপমণি । কিরূপে কহিব আমি অসত্য এ বাণী ॥ কৃষ্ণ বলিলেন রাজা না কহিলে নয় ; মিথ্যা না কহিলে, দ্রোণ নাহি পরাজয় ॥ পুনঃ পুনঃ নিন্দিয়া বলিল বৃকোদর। অশ্বথামা হত দ্রোণ কহ নৃপবর ॥ মিথ্যা বাক্য ভয় যদি কর নৃপবর । অশ্বথামা হত ইতি কহ লঘুস্বর ॥ সঙ্কটে পড়িয়া রাজা না কহিলে নয় । ডাকিয় দ্ৰোণেরে বলিলেন মহাশয় ॥ অশ্বথামা হত হৈল ইহা আমি জানি । লঘুশব্দে গজ ইতি বলেন আপনি ॥ অশ্বথামা হত শুনি ধৰ্ম্মের বদনে । দ্রোণাচাৰ্য্য পুত্ৰশোকে প্রাণ দিল রণে এই পাপ করিলেন ধৰ্ম্মের নন্দন । তোমারে জানাই আমি পূর্বের্বর কথন ॥ জন্মেজয় বলে তবে কহ মুনিবর । পিতামহে লৈয়া কি করিলেন শ্ৰীধর ॥ । মুনি বলে শুন পরীক্ষিতের কুমার । এইরূপে যুধিষ্ঠির দেখি অন্ধকার ॥ গোবিন্দেরে জিজ্ঞাসেন পাপের কারণ । কপট করিয়া কহিলেন নারায়ণ ॥ কৌরব সহিত যবে হইল সমর । চক্রব্যুহ করি যুঝে দ্ৰোণ ধনুৰ্দ্ধর ॥ তীক্ষ্ণ আস্ত্রে জর্জরিত করিল তোমারে । অভিমুন্যে ডাকি তুমি কহিলে তাহারে ॥ পিতার সমান তুমি মহাযোদ্ধাপতি । ব্যুহ ভেদি মার পুত্ৰ দ্রোণ মহারথী ॥ গুরুবধে আজ্ঞা দিলে হ’য়ে ক্রোধমন | দ্বিতীয় অবধ্য জাতি হয়ত ব্রাহ্মণ ॥ গুরুবধ মহাপাপ শুন নরপতি । সেই মহাপাপ তব হৈল মহামতি ॥ রতিমঞ্জরীর ধ্যান—নবতড়িৎসমানাভাং নীলপটাস্বরাবৃতাং। [अशखांब्रङ । । |