পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত পঞ্চম ভাগ.djvu/৩৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বলরাম-মন্দিরে শ্রীরামকৃষ্ণ 及> ঠাকুর আবার বলিতেছেন, জীব যেন ডাল, জাতার ভিতর পড়েছে ; পিষে যাবে। তবে সে কটি ডাল খুটী ধরে থাকে, তারা পিষে যায় না। তাই খুটী অর্থাৎ ঈশ্বরের শরণাগত হ’তে হয় । তাকে ডাক তার নাম কর, তবে মুক্তি। ত না হলে কাল-রূপ জাত পিষে যাবে। ঠাকুর আবার গান গাহিতেছেন :– পড়িয়ে ভবসাগরে ডুবে না তমুর তরী। মায়া-ঝড় মোহ তুফান ক্রমে বাড়ে গো শঙ্করী ॥ একে মন-মাঝি আনাড়ি, তাহে ছজন গোয়ার দাড়ি, কুবাতাসে দিয়ে পাড়ি, হাবুডুবু খেয়ে মরি। ভেঙ্গে গেল ভক্তির হাল, ছিড়ে পড়ল শ্রদ্ধার পাল, তরী হল বানচাল উপায় কি করি — উপায় না দেখি অরি, অকিঞ্চন ভেবে সার, তরঙ্গে দিয়ে সাতার, শ্ৰীদুৰ্গা নামের ভেলা ধরি ॥ [ Duty to wife and children ) বিশ্বাস বাবু অনেকক্ষণ বসিয়াছিলেন, এখন উঠিয় গেলেন । র্তাহার অনেক টাকা ছিল, কিন্তু চরিত্র মলিন হওয়াতে সমস্ত উড়িয়া গিয়াছে। এখন পরিবার, কন্যা প্রভৃতি কাহাকেও দেখেন না । বলরাম তাছার কথা পাড়াতে ঠাকুর বলিলেন, “ওটা লক্ষ্মীছাড়া দারিদির। গৃহস্থের কৰ্ত্তব্য আছে, ঋণ, আছে ; দেব-ঋণ, পিতৃ-ঋণ, ঋনি-ঋণ, আবার পরিবারদের সম্বন্ধে ঋণ আছে। সতী স্ত্রী হ’লে তাকে প্রতিপালন, সস্তানদিগকে প্রতিপালন, যতদিন না লায়েক হয় । “সাধুই কেবল সঞ্চয় করবে না। “পঞ্ছি আউর দরবেশ’ সঞ্চয় করে না। কিন্তু পাখীর ছানা হ’লে সঞ্চয় করে । ছানার জন্তে মুখে করে খাবার নিয়ে যায় ।” বলরাম—এখন বিশ্বাসের সাধুসঙ্গ করবার ইচ্ছা ।