পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত পঞ্চম ভাগ.djvu/৭৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তৃতীয় পরিচ্ছেদ গ্রীরামকৃষ্ণ মণিরামপুর ভক্তসঙ্গে ঠাকুর আহারান্তে ছোট খাটটিতে একটু বসিয়াছেন, এখনও বিশ্রাম করিতে অবসর পান নাই। ভক্তদের সমাগম হইতে লাগিল। প্রথমে মণিরামপুর হইতে একদল ভক্ত আসিয়া উপস্থিত হইলেন। একজন P.W. Dতে কাজ করিতেন, এখন পেনসান পান। একটি ভক্ত তাহাদিগকে লইয় আসিয়াছেন। ক্ৰমে বেলঘরে হইতে একদল ভক্ত আসিলেন। শ্ৰীযুক্ত মণি মল্লিক প্রভৃতি ভক্তেরাও ক্রমে আসিলেন। é à মণিরামপুরের ভক্তগণ বলিতেছেন, আপনার বিশ্রামের ব্যাঘাত হলো । শ্রীরামকৃষ্ণ বলিতেছেন, না, ন, ওসব রজগুণের কথা—উনি এখন ঘুমুবেন!’ so চাণক মণিরামপুর, এই কথা শুনিয়া ঠাকুরের বাল্যসখা ঐরামকে উদ্দীপন হইয়াছে। ঠাকুর বলিতেছেন ঐরামের দোকান তোমাদের ওখানে । ওদেশে শ্রীরাম আমার সঙ্গে পাঠশালায় পড়ত। সেদিন এখানে এসেছিল। মণিরামপুরের ভক্তেরা বলিতেছেন কি উপায়ে ভগবানকে পাওয়া যায়, একটু আমাদের দয়া করে বলুন। [ মণিরামপুরের ভক্তকে শিক্ষা—সাধন ভজন কর ও ব্যাকুল হও ] তীরামকৃষ্ণ–একটু সাধন ভজন করতে হয়। “দুধে মাখন আছে শুধু বললেই হয় না, দুধকে দই পেতে মন্থন করে, মাখন তুলতে হয়। তবে মাঝে মাঝে একটু নির্জন চাই।* দিন কতক নির্জনে থেকে ভক্তি লাভ করে, তার পর যেখানে থাকে। জুতা পায় দিয়ে কাটা বনেও অনায়াসে যাওয়া যায়।

  • যোগী যুঞ্জীত সততং আত্মানং, রহসি স্থিত । গীত–৬১•