পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত পঞ্চম ভাগ.djvu/১১৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দক্ষিণেশ্বরে ভক্তসঙ্গে 33 ভাবলাম, বেশ হোল, আবার (বাহ ) পূজার দিকে মন যাচ্ছে! তবে ম', আবার এমন হোল কেন ? আবার জড়ের মতন কেন ক’রে ফেলুছ ! ভাদ্র-কৃষ্ণা-সপ্তমী। এখনও চন্দ্র উদয় হয় নাই! রজনী তমসাচ্ছন্ন। ত্রীরামকৃষ্ণ এখনও ভাবাবিষ্ট ; সেই অবস্থাতেই নিজের ঘরের ছোট খাটটতে বসিলেন। আবার জগন্মাতার সঙ্গে কথা কহিতেছেন । [ ঈশানকে শিক্ষণ—‘কলিতে বেদ মত চলে না”—মাতৃভাবে সাধন কর ] এইবার বুঝি ভক্তদের বিষয় মা’কে কি বলিতেছেন। ঈশান মুখোপাধ্যায়ের কথা বলিতেছেন। ঈশান বলিয়াছিলেন, আমি ভাটপাড়ায় গিয়া গায়ত্রীর পুরশ্চরণ করিব। শ্রীরামকৃষ্ণ তাকে বলিয়াছিলেন যে, কলিকালে বেদ মত চলে না। জীবের অন্নগত প্রাণ, আয়ু কম, দেহবুদ্ধি, বিষয়-বুদ্ধি একেবারে যায় না। তাই ঈশানকে মাতৃভাবে তন্ত্রমতে সাধন করিতে উপদেশ দিয়াছিলেন। আর ঈশানকে বলেছিলেন, যিনিই ব্ৰহ্ম, তিনিই মা, তিনিই আস্তাশক্তি । so ঠাকুর ভাবাবিষ্ট হইয়া বলিতেছেন, আবার গায়ত্রীর পুরশ্চরণ ! এ চাল থেকে ও চালে লাফ•••কে ওকে ও কথা বলে দিলে ? আপনার মনে করছে । —আচ্ছ, একটু পুরশ্চরণ করবে। (মাষ্টারের প্রতি )—আচ্ছা আমার এসব কি বাইরে না ভাবে ? মাষ্টার অবাক হইয়া দেখিতেছেন যে, ঠাকুর ত্রীরামকৃষ্ণ জগন্মাতার সঙ্গে এইরূপ কথা কহিতেছেন । তিনি অবাক হইয়া দেখিতেছেন, ঈশ্বর আমাদের অতি নিকটে, বাহিরে আবার অন্তরে। অতি নিকট না হলে স্ত্রীরামকৃষ্ণ চুপি চুপি তার সঙ্গে কেমন করে কথা কচ্ছেন। * তদ্বিকোঃ পরমং পদং সদা পগুস্তি সুরয়ঃ দিবীৰ চক্ষুরাততমূ।