পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত পঞ্চম ভাগ.djvu/১১৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ দক্ষিণেশ্বরে শ্রীরামকৃষ্ণ রাখাল প্রভৃতি ভক্তসঙ্গে ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ দক্ষিণেশ্বরে কালীমন্দিরের সম্মুখে চাতালের উপর উপবিষ্ট । জগন্মাতাকে কালী-প্রতিমা মধ্যে দর্শন করিতেছেন। কাছে মাষ্টার প্রভৃতি ভক্তেরা বসিয়া আছেন! আজ ২৬শে সেপ্টেম্বর ১৮৮৩ খৃষ্টাব্দ ; ভান্দ্র কৃষ্ণাদশমী ; বৈকালবেলা । কিয়ৎক্ষণ পূৰ্ব্বে ঠাকুর বলিতেছেন, “ঈশ্বর সম্বন্ধে কিছু হিসাব করবার যে নাই ! তার অনন্ত ঐশ্বৰ্য্য ! মানুষ মুখে কি বলবে। একটা পিপড়ে চিনির পাহাড়ের কাছে গিয়ে, এক দানা চিনি থেলে । তার পেট ভরে গেল ; তখন সে ভাবছে, এইবার এসে সব পাহাড়টা গৰ্ত্তের ভিতর নিয়ে যাব।” “র্তাকে কি বোঝা যায়। তাই আমার বিড়ালের ছানার ভাব, ম৷ যেখানে রেখে দেয়। আমি কিছু জানি না । ছোটছেলে মার কত ঐশ্বৰ্য্য তা জানে না।” শ্ৰীরামকৃষ্ণ ৮কালীমন্দিরের চাতালে বসিয়া স্তব করিতেছেন, “ওমা ! ওম ওঁকার-রূপিণী ! মা ! এর কৃত কি বলে মা—কিছু বুঝিতে পারি না ! কিছু জানি না মা !—শরণাগত ! শরণাগত ! কেবল এই কোরো যেন তোমার ঐপাদপদ্মে শুদ্ধাভক্তি হয় মা ! আর যেন তোমার ভুবনমোহিনী মায়ায় মুগ্ধ কোরোনা মা ! শরণাগত ! শরণাগত ” 参 ঠাকুর-বাড়ীর আরতি হইয়া গেল, শ্রীরামকৃষ্ণ ঘরে ছোট খাটটিতে বসিয়া আছেন। মহেন্দ্র মেঝেতে বসিয়া আছেন। মছেজ পূৰ্ব্বে ঐযুক্ত কেশব সেনের ব্রাহ্মসমাজে সৰ্ব্বদা যাইতেন। ঠাকুরকে দর্শনাবধি আর তিনি সেখানে যান না। শ্রীরামকৃষ্ণ সৰ্ব্বদা জগৎ মাতার সহিত কথা কন ; তাহ দেখিয়া তিনি অবাক হইয়াছেন। আর তার সর্ব ধৰ্ম্ম-সমন্বয় কথা শুনিয়া ও ঈশ্বরের জন্য ব্যাকুলত দেখিয়া তিনি মুগ্ধ হইয়াছেন।