পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত পঞ্চম ভাগ.djvu/১২৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

o obr শ্ৰীশ্ৰীরামকৃষ্ণকথামৃত—৫ম ভাগ ( ১৮৮৩, ১০ই অক্টোবর বিদ্বেষ করেন। শ্রীরামকৃষ্ণ কিন্তু এরূপ সঙ্কীর্ণ মত তালবাসেৰল। তিনি বলেন যে, ব্যাকুলত থাকিলে সব পথ, সব মত দিয়া ঈশ্বরকে পাওয়া যায়। অনেক বৈষ্ণব ভক্ত বাহিরে মালা গ্রন্থ পাঠ ইত্যাদি করেন কিন্তু ভগবান লাভের জন্য ব্যাকুলত নাই। তাই বুঝি ঠাকুর বলরামের পিতা মহাশয়কে উপদেশ দিতেছেন। [ পূৰ্ব্বকথা—ত্রীরামকৃষ্ণের বৈষ্ণববৈরাগীর ভেক গ্রহণ ও রামমন্ত্র গ্রহণ ] শ্রীরামকৃষ্ণ (মাষ্টারের প্রতি )—ভাবলাম, কেন একঘেয়ে হব। আমিও বৃন্দাবনে বৈষ্ণব বৈরাগীর ভেক ল’য়েছিলাম ; তিন দিন ঐ ভাবে ছিলাম। আবার দক্ষিণেশ্বরে রাম মন্ত্র ল’য়েছিলাম ; দীর্ঘ ফোট, গলায় হীরা ; আবার ক'দিন পরে দুর কোরে দিলাম। [ বলরামের পিতাকে শিক্ষা—“ঈশ্বর সগুণ নিগুণ, সাকার আবার নিরাকার’ ] “এক জনের একটা গামলা ছিল। লোকে তার কাছে কাপড় ছোপাতে আসত। গামলায় রং গোলা আছে ; কিন্তু যার যে রং দরকার ঐ গামলাতে কাপড় ডোবালেই সেই রং হয়ে যেত। একজন তাই দেখে অবাক হয়ে রংওয়ালাকে বোলছে, এখন তুমি যে রংয়ে রঙেছ সেই রংটা আমায় দাও।” ঠাকুর কি বলিতেছেন, সকল ধৰ্ম্মের লোকই তার কাছে আসিবে ও চৈতন্ত লাভ করিবে ?” ঐরামকৃষ্ণ আবার বলিতেছেন, “একটা গাছের উপর একটী বহুরূপী ছিল। একজন লোক দেখে গেল সবুজ, দ্বিতীয় ব্যক্তি দেখলে কালো, তৃতীয় ব্যক্তি হলুদে ; এইরূপে অনেক লোক ভিন্ন ভিন্ন রং দেখে গেল। তারা পরস্পরকে বোলুছে, না জানোয়ারটি সবুজ। কেউ বোলছে লাল, কেউ বোলছে হলদে, আর ঝগড়া কোরছে। তখন গাছতলায় একটী লোক বসেছিল তার কাছে সকলে গেল। সে বললে আমি এই গাছতলায় রাতদিন থাকি, আমি জানি এইটী বহুরূপী । ক্ষণে ক্ষণে রং বদলায়। আবার কখন কখন কোন রং থাকে না ।”