পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত পঞ্চম ভাগ.djvu/১২৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

স্ত্রীরামকৃষ্ণ সৰ্ব্বধৰ্ম্ম সমন্বয়ে—বলরামের পিতার সঙ্গে কথা ১১১ অশ্রদ্ধা বা ঘৃণা করতে নাই। বেদে তাকেই বোলছে সচ্চিদানন্দঃ ব্ৰহ্ম ; ভাগবতাদি পুরাণে তাকেই বোলছে সচ্চিদানন্দঃ কৃষ্ণ,তন্ত্ৰে ব’লছে সচ্চিদাননীঃ শিবঃ , সেই এক সচ্চিদানন্দ। ጙታ “বৈষ্ণবদের নানা থাকৃ থাকু আছে। বেদে তাকে ব্ৰহ্ম বলে , একদল বৈষ্ণবেরা তাকে বলে আলেক নিরঞ্জন। আলেক অর্থাৎ যাকে লক্ষ্য করা যায় না, ইন্দ্রিয়ের দ্বারা দেখা যায় না। তারা বলে, রাধা আর কৃষ্ণ আর আলেকের দুটা ফুট । “বেদান্ত মতে অবভার নাই, বেদাস্তবাদীরা বলে রাম, কৃষ্ণ, এরা সচ্চিদানন্দ সাগরের দুটা ঢেউ ।” “এক বই ত দুই নাই ; যে যা বলে, যদি আন্তরিক ঈশ্বরকে ডাকে, তার কাছে নিশ্চয় পহুছিবে। ব্যাকুলত থাকলেই হ’ল।” o স্ত্রীরামকৃষ্ণ ভাবে বিভোর হইয়া ভক্তদের এই সকল কথা বলিতেছিলেন । এইবার একটু প্রকৃতিস্থ হইয়াছেন ও বলিতেছেন, ‘তুমি বলরামের বাপ ? [ বলরামের পিতাকে শিক্ষা–“ব্যাকুল হও” ] সকলে একটু চুপ করিয়া আছেন ; বলরামের বৃদ্ধ পিতা নিঃশব্দে হরিনামের মালা জপ করিতেছেন । ত্রীরামকৃষ্ণ ( মাষ্টার প্রভৃতির প্রতি )—আচ্ছ, এরা এত জপ করে, এত তীর্থ করেছে, তবু এ রকম কেন ? যেন আঠার মাসে এক বৎসর ! “হরিশকে বললুম, কাশী যাওয়া কি দরকার যদি ব্যাকুলভ না থাকে। ব্যাকুলত থাকলে, এইখানেই কাশী।” .' “এত তীর্থ এত জপ করে, হয় না কেন ? ব্যাকুলত নাই। ব্যাকুল হয়ে ডাকলে তিনি দেখা দেন।” ■ “যাত্রার গোড়ায় অনেক খচমচ খচমচ করে ; তখন শ্ৰীকৃষ্ণকে দেখা যায় না ! তারপর নারদ ঋষি যখন ব্যাকুল হয়ে বৃন্দাবনে এসে বীণা বাজাতে বাজাতে ডাকে আর বলে, প্রাণ ছে গোবিন্দ মম জীবন " তখন কৃষ্ণ আর থাকতে পারেন না। রাখালদের সঙ্গে সামনে আসেন, আর বলেন, ‘খুবলী রও ! ধবলী রও’ ।”