পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত পঞ্চম ভাগ.djvu/১৫৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দক্ষিণেশ্বরে মণিলাল প্রভৃতি ভক্তসঙ্গে }8? দেখালে ইট, পাথর হয়ে গেছে, জানোয়ার পাথর হয়ে গিয়েছে। দেখলে, সঙ্গের গুণ কি ! তেমনি সৰ্ব্বদা সাধুসঙ্গ করলে তাই হয়ে যায়। মণি মল্লিক (সহস্তে )—আপনি ওখানে একবার গেলে আমাদের ১০ ॥১৫ বৎসর উপদেশ চলত। ত্রীরামকৃষ্ণ (সহস্তে )—কি উপমার জন্ত ? বলরাম-না ; এখানে ওখানে গেলে হাত সারবে না ! শ্রীরামকৃষ্ণ—আমার ইচ্ছা যে দুখানি ছবি, যদি পাই । একটি ছবি, যোগী ধুনি জেলে বসে আছে ; আর একটি ছবি, যোগী গাঁজার কলুকে মুখ দিয়ে টানছে আর সেটা দপ করে জলে উঠছে । “এ সব ছবিতে বেশ উদ্দীপন হয়। যেমন সোলার আতা দেখলে সত্যকার আতার উদ্দীপন হয়। “তবে যোগের বিঘ্ন—কামিনীকাঞ্চন । এই মন শুদ্ধ হ’লে যোগ হয়। মনের বাস কপালে (আজ্ঞা চক্রে ) কিন্তু দৃষ্টি লিঙ্গ, গুহ, নাভিতে—অর্থাৎ কামিনীকাঞ্চনে! সাধন করলে ঐ মনের উদ্ধে দৃষ্টি হয়।” “কি সাধন করলে মনের উদ্ধদৃষ্টি হয় ? সৰ্ব্বদা সাধুসঙ্গ করলে সব জানতে পরিা যায় ।” “ঋষিরা সৰ্ব্বদা হয় নির্জনে, নয় সাধুসঙ্গে থাকতেন—তাই তারা অনায়াসে কামিনীকাঞ্চন ত্যাগ করে ঈশ্বরেতে মন যোগ করেছিলেন–নিন্দ ভয় কিছু নাই ।” “ত্যাগ করতে হ’লে ঈশ্বরের কাছে পুরুষকারের জন্ত প্রার্থনা করতে হয় । যা মিথ্যা বলে বোধ হবে তৎক্ষণাৎ ত্যাগ।” “খষিদের এই পুরুষকার ছিল। এই পুরুষকারের দ্বাৱা ঋষির ইঞ্জিয় জয় করেছিলেন।”

  • কচ্ছপ যদি হাত পা ভিতরে সাধ করে দেয়, চারখানা করে কাটলেও

হাত পা বার করবে না ! “সংসারী লোক কপট হয়—সরল হয় না। মুখে বলে ঈশ্বরকে ভালবাসি