পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত পঞ্চম ভাগ.djvu/১৬৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

>(t R শ্ৰীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত—৫ম ভাগ [ ১৮৮৪, মে ২৪ শ্ৰীমদ্ভাগবতে আছে—অবধূত চিলকে চব্বিশ গুরুর মধ্যে একজন করেছিল। চিলের মুখে মাছ ছিল, তাই হাজার কাক তাকে ঘিরে ফেল্লে ; যে দিকে চিল মাছ মুখে যায় সেই দিকে কাকগুলো পেছনে পেছনে কী কী করতে করতে যায়। যখন চিলের মুখ থেকে মাছটা আপনি হঠাৎ পড়ে গেল, তখন যত কাক মাছের দিকে গেল, চিলের দিকে আর গেল না।” * “মাছ অর্থাৎ ভোগের বস্তু। কাকগুলো ভাবনা চিন্তা । যেখানে ভোগ সেখানেই ভাবনা চিন্তা ; ভোগ ত্যাগ হয়ে গেলেই শান্তি। “আবার দেখ, অর্থ-ই আবার অনর্থ হয় । তোমরা ভাই ভাই বেশ আছে, কিন্তু ভাইয়ে ভাইয়ে হিস্তে নিয়ে গোল হয়। কুকুররা গা চাটচিাটি করছে, পরস্পর বেশ ভাব । কিন্তু গৃহস্থ যদি ভাত দুটি ফেলে দেয় তাহলে পরস্পর কামড়াকামড়ি করবে।” “মাঝে মাঝে এখানে আসবে । ( মাষ্টার প্রভৃতিকে দেখাইয়া ) এরা আসেন। রবিবার কিম্ব অন্য ছুটিতে আসেন।” বিদ্যা—আমাদের রবিবার তিন মাস। শ্রাবণ, ভাদ্র, আর পৌন-বর্ষ। আর ধান কাটবার সময় আজ্ঞা, আপনার কাছে আসব সে ত আমাদের ভাগ্য । "দক্ষিণেশ্বরে আসবার সময় দুজনের কথা শুনেছিলাম—আপনার আর জ্ঞানার্ণবের । শ্রীরামকৃষ্ণ-ভাইদের সঙ্গে মিল হয়ে থাকবে। মিল থাকলেই দেখতে শুনতে সব ভাল। যাত্রাতে দেখ নাই ? চারজন গান গাইছে কিন্তু প্রত্যেকে যদি ভিন্ন সুর ধরে, যাত্রা ভেঙ্গে যায়। বিদ্যা-জালের নীচে অনেক পাখী পড়েছে, যদি একসঙ্গে চেষ্টা করে একদিকে জালটা নিয়ে যায় তাহলে অনেকটা রক্ষা হয়। কিন্তু নানাদিকে যদি নানান পাখী উড়বার চেষ্টা করে তাহলে হয় না । সামিষং কুরবং জয় বলিনেহন্যে নিরামিষা: | তদামিষং পরিত্যজ্য স সুখংসমবন্দিত । [ डैमद्धां★वट- **, २, २