পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত পঞ্চম ভাগ.djvu/১৮৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দক্ষিণেশ্বরে জন্মোৎসবে কীৰ্ত্তনানন্দে >W5> মহাকাল রূপ ধরি, আঁধার বসন পরি সমাধি মন্দিরে মা কে তুমি গো একা বসি ; অভয় পদ কমলে প্রেমের বিজলী জলে চিন্ময় মুখমণ্ডলে শোভে অট্ট অট্ট হাসি ৷ নরেন্দ্র যাই গাইলেন, সমাধিমন্দিরে মা কে তুমি গে এক বসি । অমনি ঠাকুর বাহশূন্ত সমাধিস্থ। অনেকক্ষণ পরে সমাধিভঙ্গের পর ভক্তেরা ঠাকুরকে আহারের জন্য আসনে বসাইলেন। এখনও ভাবের আবেশ রহিয়াছে। ভাত খাইতেছেন কিন্তু দুই হাতে। ভবনাথকে বলিতেছেন, ‘তুই দে খাইয়ে P ভাবের আবেশ রহিয়াছে, তাই নিজে থাইতে পারিতেছেন না । ভবনাথ তাহাকে খাওয়াইয়া দিতেছেন। ঠাকুর সামান্ত আহার করিলেন । আহারাস্তে রাম বলিতেছেন, ‘নৃত্যগোপাল পাতে খাবে।’ শ্রীরামকৃষ্ণ—পাতে ? পাতে কেন ? রাম—তা আর আপনি বল্‌ছেন ! আপনার পাতে থাবে না ? নৃত্যগোপালকে ভাবাবিষ্ট দেখিয়া ঠাকুর তাহাকে দু'এক গ্রস— খাওয়াইয়া দিলেন । কোন্নগরের ভক্তগণ নৌকা করিয়া এইবার অসিয়াছেন। তাহার কীৰ্ত্তন করিতে করিতে ঠাকুরের ঘরে প্রবেশ করিলেন। কীৰ্ত্তনাস্তে র্তাহার জলযোগ করিতে বাহিরে গেলেন । নরোত্তম কীৰ্ত্তনীয়া ঠাকুরের ঘরে বসিয়া আছেন । ঠাকুর নরোত্তম প্রভূতিকে বলিতেছেন, “এদের যেন ডোঙ্গাঠেলা গান। এমন গান হবে যে সকলে নাচ বে!” এইসব গান গাইতে হয়— লদে টলমল টলমল করে, গেীর প্রেমের হিল্লোলে রে । ( নরোত্তমের প্রতি )—“ওর সঙ্গে এইটা বলতে হয়— যাদের হরি বলতে নয়ন ঝরে, তারা, তারা দুভাই এসেছে রে । যারা মার খেয়ে প্রেম যাচে, তারা, তারা দুভাই এসেছে রে । যারা আপনি কেঁদে জগৎ কাদায়, তারা, তারা দুভাই এসেছে রে ॥