পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত পঞ্চম ভাগ.djvu/১৯৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দক্ষিণেশ্বরে—জন্মমহোৎসব দিবসে ভক্তসঙ্গে እ»ዓ > নূপুরে মিশায়ে তাল সেই তালের এক গীত শিখেছি, তাগ্রিম তাধিম বাজছে সে তাল নিমিরে ওস্তাদ করেছি। ঘুম ভেঙ্গেছে আর কি ঘুমাই, যোগে যাগে জেগে আছি, যোগ নিদ্রা তোরে দিয়ে মা ঘুমেরে ঘুম পাড়ায়েছি। প্রসাদ বলে ভক্তি মুক্তি উভয়ে মাথায় রেখেছি, আমি কালী ব্ৰহ্ম জেনে মৰ্ম্ম ধৰ্ম্মাধৰ্ম্ম সব ছেড়েছি । গিরীশকে দেখিতে দেখিতে যেন ঠাকুরের ভাবোল্লাস আরও বাড়িতেছে। তিনি দাড়াইয়া দাড়াইয়া আবার গাহিতেছেন— অভয় পদে প্রাণ সপেছি আমি আর কি যমের ভয় রেখেছি । [ পৃষ্ঠা.৭৯ ঠাকুর ভাবে মত্ত হইয়া আবার গাহিতেছেন— ‘আমি দেহ বেচে ভবের হাটে শ্ৰীদুৰ্গানাম কিনে এনেছি।” ( গিরীশাদি ভক্তের প্রতি )— "ভাবেতে ভরল তছু হরল গেঞান ।” “সে জ্ঞান মানে বাহ্যজ্ঞান । তত্ত্বজ্ঞান, ব্ৰহ্মজ্ঞান এ সব চাই । ভক্তিই সার। সকাম ভক্তিও আছে ; আবার নিষ্কাম ভক্তি, শুদ্ধা ভক্তি, অহেতুকী ভক্তি এও আছে। কেশব সেন ওরা অহেতুকী ভক্তি জানত না ; কোন কামনা নাই, কেবল ঈশ্বরের পাদপদ্মে ভক্তি।” [ শ্রীরামকৃষ্ণ কি অবতার—পরমহংস অবস্থা ] “আবার আছে, উর্জিত ভক্তি। ভক্তি যেন উথলে পড়ছে। ভাবে হাসে কাদে নাচে গায়। যেমন চৈতন্তদেবের । রাম বললেন লক্ষ্মণকে, ভাই যেখানে দেখবে উজিত ভক্তি, সেইখানে জানবে আমি স্বয়ং বর্তমান ।” ঠাকুর কি ইঙ্গিত করিতেছেন, নিজের অবস্থা ? ঠাকুর কি চৈতন্যদেবের ন্তায় অবতার ? জীবকে ভক্তি শিথাইতে অবতীর্ণ হইয়াছেন। গিরীশ—আপনার কৃপা হলেই সব হয়। আমি কি ছিলাম কি হয়েছি। শ্রীরামকৃষ্ণ—ওগে, তোমার সংস্কার ছিল তাই হচ্ছে। সময় না হলে হয় না। যখন রোগ ভাল হয়ে এল, তখন কবিরাজ বল্পে, এই পাতাটি মরিচ বেটে