পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত পঞ্চম ভাগ.djvu/১৯৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গিরীশ-মন্দিরে জ্ঞান-ভক্তি-সমন্বয়-কথা-প্রসঙ্গে `byO আরণ্ডলা নিশ্চল হয়ে যায় ; নড়ে না ; শেষে কুমুরে পোকাই হয়ে যায়। ভক্তও তাকে ভেবে ভেবে অহংশূন্ত হয়ে যায়। আবার দেখে তিনিই আমি’, ‘আমিই তিনি । “আরণ্ডলা যখন কুমুরে পোকা হয়ে যায়, তখন সব হয়ে গেল। তখনই মুক্তি । [ নানা ভাবে পূজা ও গিরীশ–‘আবার মাতৃভাব’ ]

  • যতক্ষণ আমিট। তিনি রেখে দিয়েছেন, ততক্ষণ একটি ভাব আশ্রয় করে তাকে ডাকতে হয়—শাস্ত, দাস্ত বাৎসল্য—এই সব ।
  • আমি দাসী ভাবে এক বৎসর ছিলাম—ব্রহ্মময়ীর দাসী মেয়েদের কাপড় ওড়না এই সব পরতাম ! আবার নথ পরতাম ! মেয়ের ভাবে থাকলে কাম

জয় হয় । “সেই আছাশক্তির পূজা করতে হয় ; তাকে প্রসন্ন করতে হয়। তিনিই মেয়েদের রূপ ধারণ করে রয়েছেন। তাই আমার মাতৃভাব । “মাতৃভাব অতি শুদ্ধ ভাব। তন্ত্রে বামাচারের কথাও আছে ; কিন্তু সে ভাল নয় ; পতন হয়। ভোগ রাখলেই ভয়। “মাতৃভাব যেন নির্জলা একাদশী ; কোন ভোগের গন্ধ নাই। আর আছে ফল মূল খেয়ে একাদশী ; আর লুচি ছক্কা খেয়ে একাদশী। আমার নির্জলা একাদশী ; আমি মাতৃভাবে ষোড়শীর পূজা করেছিলাম। দেখলাম স্তন মাতৃস্তন, যোনি মাতৃযোনি । “এই মাতৃভাব-সাধনের শেষ কথা—“তুমি মা, আমি তোমার ছেলে’ এই শেষ কথা । [ সন্ন্যাসীর কঠিন নিয়ম—গৃহস্থের নিয়ম ও গিরীশ ] সন্ন্যাসীর নির্জলা একাদশী ; সন্ন্যাসী যদি ভোগ রাখে, তা হলেই ভয় । কামিনী কাঞ্চন ভোগ। যেমন থুথু ফেলে আবার থুথু খাওয়া। টাকা কড়ি, মান, সন্ত্রম, ইঞ্জিয় মুখ–এই সব ভোগ। সন্ন্যাসীর ভক্ত স্ত্রীলোকের সঙ্গে বসা বা আলাপ করাও ভাল নয়—নিজেরও ক্ষতি আর অন্ত লোকেরও ক্ষতি ।