পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত পঞ্চম ভাগ.djvu/২১০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

স্ত্রীরামকৃষ্ণ, গিরীশ, শশধর পণ্ডিত প্রভৃতি ভক্তসঙ্গে SS& মাকড়সা, নিজে জাল তৈয়ার করলে (নিমিত্ত কারণ ) ; আর সেই জাল নিজের ভিতর থেকে বার করলে ( উপাদান কারণ ) । শ্রীরামকৃষ্ণ—আর আছে যিনিই পুরুষ প্রকৃতি, যিনিই ব্ৰহ্ম তিনিই শক্তি । যখন নিক্রিয়, স্থষ্টি স্থিতি প্রলয় করছেন না, তখন তাকে ব্ৰহ্ম বলি, পুরুষ বলি ; আর যখন ঐ সব কাজ করেন তখন তাকে শক্তি বলি, প্রকৃতি বলি। কিন্তু যিনিই ব্ৰহ্ম তিনিই শক্তি, যিনিই পুরুষ তিনিই প্রকৃতি হয়ে রয়েছেন। জল স্থির থাকলেও জল , আর হেললে দুললেও জল। সাপ একে বেঁকে চললেও সাপ ; আবার চুপ করে কুণ্ডলি পাকিয়ে থাকলেও সাপ। [ শ্রীরামকৃষ্ণ ব্ৰহ্মজ্ঞানের কথায় সমাধিস্থ—ভোগ ও কৰ্ম্ম ] “ব্ৰহ্ম কি তা মুখে বলা যায় না, মুখ বন্ধ হয়ে যায়। নিতাই আমার মাতা হাতী ! নিতাই আমার মাত হাতী ! এই কথা বলতে বলতে শেষে আর কিছুই বলতে পারে না ; কেবল বলে ‘হাতী’ ! আবার হাতী হাতী বলতে বলতে 'হা’। শেষে তাও বলতে পারে না ; বাহশূন্ত ।” এই কথা বলিতে বলিতে ঠাকুর সমাধিস্থ । দাড়িয়ে দাড়িয়েই সমাধিস্থ । সমাধি ভঙ্গের পর কিয়ংকাল পরে বলিতেছেন,—‘ক্ষর’ ‘অক্ষরের’ পারে কি আছে মুখে বলা যায় না । সকলে চুপ করিয়া আছেন, ঠাকুর আবার বলিতেছেন ; যতক্ষণ কিছু ভোগ বাকি থাকে, কি কৰ্ম্ম বাকি থাকে, ততক্ষণ সমাধি হয় না।* ( শশধরের প্রতি )—“এখন ঈশ্বর তোমায় কৰ্ম্ম করাচ্ছেন, লেকৃচার দেওয়া ইত্যাদি ; এখন তোমায় ঐ সব করতে হবে । “কৰ্ম্মটুকু শেষ হয়ে গেলে আর না। গৃহিণী বাড়ীর কাজ কৰ্ম্ম সব সেরে নাইতে গেলে ডাকাডাকি করলেও আর ফেরে ন৷ ”

  • ভোগৈশ্বৰ্য্য প্রসক্তানাং তয়াপহতচেতসামূ । ব্যবসায়াত্মিক বুদ্ধিঃ সমাধৌ ন বিধীয়তে ॥ ['গীতা—২, ৪৪