পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত পঞ্চম ভাগ.djvu/২৭৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ ও পরকাল २éé “উপমা—একদেশী। তুমি ত পণ্ডিত, স্তায় পড নাই ? বাঘের মত ভয়ানক বললে যে বাঘের মত একটা ভয়ানক হাজ কি হাড়ী মুখ থাকবে তা নয়। ( সকলের হাস্ত্য )।” “আমি কেশব সেনকে ঐ কথা বলেছিলাম। কেশব জিজ্ঞাসা করলে— মহাশয়, পরকাল কি আছে ? আমি না এদিক না ওদিক বললাম ! বল্লাম, কুমোররা হাড়ী শুকোতে দেয়, তার ভিতর পাকা হাড়াও আছে, আবার কাচা হাড়ীও আছে। কখনও গরুটর এলে হাড়ী মাডিয়ে যায়। পাকা হাড়ী ভেঙ্গে গেলে কুমোর সেগুলোকে ফেলে দেয় ! কিন্তু কাচা হাড়ী ভেঙ্গে গেলে সেগুলি কুমোর আবার ঘরে আনে ; এনে জল দিয়ে মেখে আবার চাকে দিয়ে নুতন হাড়ী করে ; ছাড়ে না। তাই কেশবকে বললুম, যতক্ষণ কাচ থাকবে কুমোর ছাড়বে না ; যতক্ষণ না জ্ঞানলাভ হয়, যতক্ষণ না ঈশ্বর দর্শন হয়, ততক্ষণ কুমোর আবার চাকে দেবে ; ছাডবেনা অর্থাৎ ফিরে ফিরে এ সংসারে আসতে হবে, নিস্তার নাই। তাকে লাভ করলে তবে মুক্তি হয়, তবে কুমোর ছাড়ে, কেন না, তার দ্বারা মায়ার স্বষ্টির কোন কায আসে না । জ্ঞানী মায়াকে পার হয়ে গেছে। সে আর মায়ার সংসারে কি করবে। “তৰে কারুকে কারকে তিনি রেখে দেন, মায়ার সংসারে লোক-শিক্ষার জন্য। লোক-শিক্ষা দিবার জন্ত । জ্ঞানী বিদ্যা মায়া আশ্রয় ক’রে থাকে। সে তার কাজের জন্ত তিনিই রেখে দেন ; যেমন শুকদেব, শঙ্করাচাৰ্য্য।” খ্রীরামকৃষ্ণ ( বঙ্কিমের প্রতি )—আচ্ছা, আপনি কি বল, মাল্লুযের কৰ্ত্তব্য কি ? বঙ্কিম ( হাসিতে হাসিতে )—আজ্ঞে, তা যদি বলেন, তা হ’লে আহার, নিদ্রা ও মৈথুন। ঐরামকৃষ্ণ (বিরক্ত হইয়া )—এঃ ! তুমি বড় ছ্যাচড়া ! তুমি যা রাত দিন কর, তাই তোমার মুখে বেরুচ্ছে। লোক যা খায়, তার ঢেকুর উঠে । মুলো খেলে মূলোর ঢেকুর উঠে। ডাব খেলে ডাবের ঢেকুর উঠে । কামিনীকাঞ্চনের ভিতর রাতদিন রয়েছে, আর ঐ কথাই মুখ দিয়ে বেরুচ্ছে ! কেবল