পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত পঞ্চম ভাগ.djvu/২৮৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ষষ্ঠ পরিচ্ছেদ গ্রীযুক্ত বঙ্কিম ও ভক্তিযোগ—ঈশ্বরপ্রেম বঙ্কিম (ঠাকুরের প্রতি )—মহাশয়, ভক্তি কেমন ক’রে হয় ? হীরামকৃষ্ণ-ব্যাকুলত। ছেলে যেমন মা'র জন্ত মাকে না দেখতে পেয়ে দিশেহারা হয়ে কাদে, সেই রকম ব্যাকুল হ’য়ে ঈশ্বরের জন্ত কঁদলে ঈশ্বরকে লাভ করা পর্য্যস্ত যায় | “অরুণোদয় হ’লে পুৰ্ব্বদিক লাল হয়, তখন বোঝা যায় যে, স্বৰ্য্যোদয়ের আর দেরী নাই। সেইরূপ যদি কারও ঈশ্বরের জন্য প্রাণ ব্যাকুল হয়েছে দেখা যায়, তখন বেশ বুঝতে পারা যায় যে, এ ব্যক্তির ঈশ্বরলাভের আর বেশী দেরী নাই।”

  • একজন গুরুকে জিজ্ঞাসা করেছিল, মহাশয়, ব’লে দিন ঈশ্বরকে কেমন ক’রে পাবো। গুরু বল্লে, এসে আমি তোমাকে দেখিয়ে দিচ্ছি। এই ব’লে তাকে সঙ্গে ক’রে একটী পুকুরের কাছে নিয়ে গেল। দুই জনেই জলে নামলো, এমন সময় হঠাৎ গুরু শিষ্যকে ধ’রে জলে চুবিয়ে ধরলে। খানিক পরে ছেডে দিবার পর শিষ্য মাথা তুলে দাডালো। গুরু জিজ্ঞাসা করলে, তোমার কি রকম বোধ হচ্ছিল ? শিষ্য বল্লে, প্রাণ অ'কু-পাকু করছিল। তখন গুরু বললে, ঈশ্বরের জন্য যখন প্রাণ ঐরূপ অর্ণকু-পাকু করবে, তখন জানবে যে, তার সাক্ষাৎকারের দেরী নাই।”

”তোমায় বলি, উপরে ভাসলে কি হবে ? একটু ডুব দাও। গভীর জলের নীচে রত্ন রয়েছে, জলের উপর হাত পা ছুড়লে কি হবে ? ঠিক মাণিক ভারি হয়, জলে ভাসে না ; তলিয়ে জলের নীচে থাকে। ঠিক মাণিক লাভ করতে গেলে জলের ভিতর ডুব দিতে হয়।” বঙ্কিম—মহাশয়, কি করি, পেছনে শোলা বাধা আছে ( সকলের হাস্ত ) ডুবতে দেয় না। শ্রীরামকৃষ্ণ—তাকে স্মরণ করলে সব পাপ কেটে যায়। তার নামেতে