পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত পঞ্চম ভাগ.djvu/৩০৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

-ՀՆ8 শ্ৰীশ্ৰীরামকৃষ্ণ কথামৃত—৫ম ভাগ [ পরিশিষ্ট “তাই সৰ্ব্বদা অভ্যাস করা দরকার। তার নামগুণ কীৰ্ত্তন, তার ধ্যান, চিস্তা ; আর প্রার্থনা—যেন ভোগাশক্তি যায় আর তোমার পাদপদ্মে মন হয়।” “এরূপ সংসারী লোক, সংসারে দাসীর মত থাকে, সব কৰ্ম্ম কাজ করে, কিন্তু দেশে মন পড়ে থাকে। অর্থাৎ ঈশ্বরের উপর মন রেখে কৰ্ম্মগুলি করে। ংসার করতে গেলেই গায়ে পাক লাগে। ঠিক ভক্ত সংসারী পাকাল মাছের মত পাকে থেকেও গা পাকশূন্য।” “ব্ৰহ্ম ও শক্তি অভেদ। র্তাকে মা বলে ডাকলে শীঘ্ৰ ভক্তি হয়, ভালবাসা হয় !" এই বলিয়া শ্রীরামকৃষ্ণ গান ধরিলেন— শু্যামাপদ আকাশেতে মন ঘুড়িখান উড়িতেছিল। কলুষের কুবাতাস খেয়ে গোপ্ত খেয়ে পড়ে গেল । গান— যশোদা নাচাতো মা বলে নীলমণি সে বেশ লুকালি কোথা করালবদনি ॥ ঠাকুর উঠিয়া নৃত্য করিতেছেন ও গান গাহিতেছেন। ভক্তেরাও উঠিয়াছেন। ত্রীরামকৃষ্ণ মুহুমুহু সমাধিস্থ হইতেছেন। সকলেই একপৃষ্টে দেখিতেছেন আর চিত্ৰপুত্তলিকার দ্যায় দাড়াইয়া আছেন। ডাক্তার ছকড়ি সমাধি কিরূপ পরীক্ষা করিবার জন্ত চক্ষে অঙ্গুলি দিতেছেন। তাহ দেখিয়া ভক্তেরা অতিশয় বিরক্ত হইলেন। এ অদ্ভুত সঙ্কীৰ্ত্তন ও নৃত্যের পর সকলে আসন গ্রহণ করিলেন। এমন সময় কেশব, আরও কয়েকট ব্রাহ্মভক্ত লইয়া আসিয়া উপস্থিত। ঠাকুরকে প্রণাম করিয়া আসন গ্রহণ করিলেন । রাজেন্দ্র ( কেশবের প্রতি )—চমৎকার নৃত্যগীত হল। এই কথা বলিয়া শ্ৰীযুক্ত ত্ৰৈলোক্যকে আবার গান গাহিতে অনুরোধ করিলেন । কেশব ( রাজেঞ্জের প্রতি )—যখন পরমহংস মশায় বসেছেন, তখন কোন মতে কীৰ্ত্তন জম্বে না ।