পাতা:শিখ-ইতিহাস.djvu/১৬৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শিখদিগের স্বাধীন রাজ্য 3 २9 দলপতি পর্যস্ত”–ছোট বড় সকল দলের অধিনায়ক বা সেনাপতি সকলেই এই উপাধি প্রাপ্ত হইতেন । এই সমুদায় সন্ধিবদ্ধ সম্প্রদায়ের সকলগুলিই একই সময়ে সমভাবে পুর্ণ শক্তি প্রাপ্ত হয় নাই ; পরস্তু একটি ‘মিছিল হইতে অপরটি উৎপন্ন হইত। এই সমুদায় সন্ধিবদ্ধ সম্প্রদায়ের উপর সংযোগনীতির প্রভাব বিস্তৃত হইয়া পড়িয়াছিল, এবং যে কোন ক্ষমতালিপ্ত, দলপতি তাৎকালিক সমাজ বা দল পরিত্যাগ করিয়া, বৃহৎ একটি দল গঠন করিতেন। প্রথম অথবা প্রসিদ্ধ অধিনায়কের নাম, ধাম, জেলা অথবা কোন পূর্বপুরুষের নাম অনুসারে প্রতোক'মিছিল স্বতন্ত্র নামে অভিহিত হইত। কখনও বা এক একটি মিছিল সামাজিক রীতি-পদ্ধতি অথবা অধিনায়কের কোন গুণবিশেষ অকুসারে পরিচিত চষ্টত । এইরূপ বারটি সম্প্রদায়ের নাম ও পরিচয় নিম্নে প্রদত্ত হইল –(১) "ভাঙ্গ’ সম্প্রদায় ; এই সম্প্রদায়ের ব্যক্তিগণ ‘ভাঙ, নামক এক প্রকার মাদক দ্রব্য পান করিতে ভালবাসিত, এবং তজ্জন্তই তাহারা ‘ভাঙ্গী নামে পরিচিত।ত৯ (২) "নিশানিয়া' সম্প্রদায় ; এই সম্প্রদায়ের ব্যক্তিগণ যুক্ত-সৈন্তের বিজয়কেতন-বাহীদিগের অম্বুবতী বলিয়া ঐ নামে অভিহিত হয় । ( ৩ ) ‘সাহিদ এবং 'নিহাঙ, সম্প্রদায় ; ধাহারা ধমের জন্য প্রাণ বিসর্জন করিতেন, তাতাদের বংশধরগণ এই সম্প্রদায়ের প্রতিষ্ঠাতা এবং অধিনায়ক । ( s ) ‘রামগড়িয়া সম্প্রদায় ; অমৃতসরের ‘রামরাওণি’ অথবা ঈশ্বরাধিষ্ঠিত দুর্গবহির্ভাগস্থ ক্ষুদ্র-রক্ষণীর নাম অনুসারে এই সম্প্রদায় ‘রামগড়িয়া' নামে অভিহিত । সূত্রধর বংশজাত যুশা সিং কর্তৃক এই স্থানটি ‘রামগড়’ বা ঈশ্বরাধিষ্ঠিত দুর্গ নামে অভিহিত হয় । ( e ) "নাকিয়া সম্প্রদায় ; লাহোরের দক্ষিণে ‘নাকিয়া’ নামক একটি জনপদ ছিল ; তৎপ্রদেশেই এই সম্প্রদায়ের উৎপত্তি হয় । ( ৬ ) ‘আলছওয়ালিয়া সম্প্রদায় ; যুশা সিং প্রথমত: যে গ্রামে আৱক চুয়ান কার্যে আপন পিতার সহায়তা করেন, সেই গ্রামের নামানুসারে এই সম্প্রদায়ের নামকরণ হয়। এই যুশা সিং প্রথমে “খালসার সৈন্য সম্প্রদায় গঠন করেন । ( ৭ ) ‘ঘাণিয়া বা কাণিয়া সম্প্রদায় । ( ৮ ) ফৈজুলাপুরিয়া’ বা সিংপুরিয়া’ সম্প্রদায় । ( ১ ) ‘মুকারচাকিয়া সম্প্রদায় । ( ১০ ) ‘ডালেওয়ালা' সম্প্রদায় ; এই সম্প্রদায়ভুক্ত ব্যক্তিগণ সম্ভবতঃ তাহাদের অধিনায়কের বাসভূমি বা গ্রামের নাম হইতে এই নামে অভিহিত হইয়াছে । ( ১১ ) ক্রোড়া সিংঘিয়া সম্প্রদায় ; তৃতীয় অধিনায়কের নামানুসারে এই সম্প্রদায়ের বর্তমান আখ্যা প্রদত্ত হইয়াছে। কখন কখন এই সম্প্রদায়টি ‘পাঞ্জগরিয়া সম্প্রদায় নামে অভিহিত হয় । প্রথম অধিনায়কের স্ব-গ্রামের নাম অনুসারে ঐ সম্প্রদায়টি 'পাঞ্জগরিয়া সম্প্রদায় নামে উল্লিখিত হইয়া থাকে । ( ১২ ) ‘ফুলকিয়া” ৩৯। 'মঙ্গা' গাছ হইতে ভঙি, উৎপন্ন হয়। রাজপুতগণ যেমন অহিফেন সেবন করিতে ভালবাসে, ইউরোপীয়গণ যেমন উন্মাদকারী মদ্যপান করিতে তৎপর, শিখগণও তেমনি ‘ভাঙ, থাইতে অভ্যন্ত। স্বাস্থ্যনাশ এবং বুদ্ধিপ্রংশ হয় বলিয়, এই মাদকদ্রব্য সর্বত্রই द्भिन्नौनि ।