পাতা:শিখ-ইতিহাস.djvu/১৯৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

* @ २ শিখ-ইতিহাস ১৮০৭ খ্ৰীষ্টাব্দে রণজিৎ সিং প্রথমত: কাশুর আক্রমণের উদ্যোগ করিতে লাগিলেন । ওৎকালে সেই স্থানে পুনরায় বিদ্রোহ উপস্থিত হয়। ইতিপূর্বে তত্ৰত শাসনকর্তা নিজামউদ্দিন পরলোক গমন করেন ; তাহার মৃত্যুর পর, তাহার উত্তরাধিকারী অধীনতা-পাশ ছিন্ন করিয়া স্বাধীনতা অবলম্বন করেন । তাঁহাতে রণজিৎ সিং বিশেষ উদ্বিগ্ন হইয় পড়েন । হয়ত, রণজিৎ সিংহ মনে করিয়াছিলেন,—পাঠানদিগের বৃহৎ একটি উপনিবেশ অধিকার কবিয়া লাহোরের পৌরাণিক প্রতিদ্বন্দ্বীর রাজ্য, স্বরাজ্যের অস্তভুক্ত করিতে পারিলে, তাহার গুণগরীমায় এবং যশোপ্রভায় দিগদিগন্ত উদ্ভাসিত হইবে। পিতার পূর্ব-মিত্র স্বত্রধর যুশা সিংহের পুত্র যোধ সিং রামগড়িয়ার সাহায্যে রণজিৎ সিং সেই স্থান আক্রমণ করিলেন । একতার অভাব হেতু তাৎকালিক শাসনকর্তা কুতব-উদ্দীন হীনবল হইয়া পড়িয়ছিলেন ; সুতরাং তিনি কোনরূপ বাধা প্রদান করিতে সমর্থ হইলেন না । অবৰোধের প্রায় এক মাস পরে, কুত্তব-উদ্দীন স্বেচ্ছাক্রমে আত্ম-সমৰ্পণ করিলেন । তাহার গ্রাসাচ্ছাদনের জন্য রণজিৎ সিং শতদ্রুর পরপারস্থিত একখণ্ড ভূ-সম্পত্তি র্তাহাকে প্রদান করিলেন। অত:পর রণজিৎ সিং মুলতান অভিমুখে অগ্রসর হইলেন। সেই প্রাচীর-পরিবেষ্টিত নগর-দুর্গ তৎকতৃক অবরুদ্ধ হইল। কিন্তু এ স্থলে তিনি আশাতিরিক্ত বাধা প্রাপ্ত হইলেন ; দুর্গ-রক্ষিগণ এত বীরত্বের সহিত র্তাহাকে বাধা প্রদান করিল যে, তিনি সে দুর্গ অধিকার করিতে সমর্থ হইলেন না । কিন্তু দুর্গাধিপতি উপঢৌকন প্রদানের অঙ্গীকার করায়, তাহাতেই স্বীকৃত হইয়া, তিনি সেস্থান হইতে প্রস্থান করিলেন ; মানে মানে ফিরিয়া আসিতে পারিলেন বলিয়া, তিনি সস্তুষ্ট হইলেন । তথাপি তিনি আপন অকৃতকার্যতা স্বীকার করিলেন না। ভাওয়ালপুরের নবাবের সহিত এই সময়ে তাহার যে সকল কথাবার্তা হয়, তাহাতে তিনি সেই কাৰ্য্য-কুশল নবাবের মনে এই বিশ্বাস জন্মাইতে চেষ্টা পাইয়াছিলেন যে তিনি নবাবকে বিশেষ শ্রদ্ধা করিতেন, এবং সেই শ্রদ্ধা হেতুই তিনি সেই স্বরক্ষিত দুর্গ আফগান শাসনকর্তার হস্তে সমর্পণ করিয়া আসিয়া190 raaيةf সেই বৎস, ১৮০৭ খ্ৰীষ্টাব্দে, রণজিৎ সিং মোকুন চাদ নামক জনৈক মুচতুর ক্ষত্রিয়কে আপন কার্যে নিযুক্ত করিলেন। তাহার প্রতি রণজিৎ যেরূপ বিশ্বাস স্থাপন করিয়াছিলেন, ক্ষত্রিয় বীর সে বিশ্বাসের সার্থকতা প্রতিপন্ন করিয়াছিলেন। তৎকালে পাতিয়ালার প্রজাগণ বিদ্রোহী হওয়ায়, নাহনের রাজা গুর্থাদিগের সাহায্য প্রার্থনা করেন। রাজার পক্ষ অবলম্বন করিয়া বিদ্রোহিগণের শাস্তিবিধান-কল্পে গুর্থীগণ যমুনা অতিক্রম করে। পরে একজন রাজপুত সঞ্জরের সাহাযার্থ তাহার শতদ্রু পার হয়। একতা থাকিলে, নুতন জাতি হইলেও, কেহই তাহার অবাধগতি প্রতিরোধ করিতে সমর্থ হয় না। সাধারণ কাগজপত্রাণির আলোচনায় জান। ৰায়,—গুর্থাগণ ১৮•৩ খ্ৰীষ্টাব্দে শতদ্রু আক্রমণ করিয়াছিল। s. I witH offers fir 9- to ex ofti ( (“Murray's Runjeet Singh, p. 60, 61 ) এবং ভাওয়ালপুর রাজপরিবারের হস্তলিখিত ইতিবৃত্ত দ্রষ্টব্য।