পাতা:শিখ-ইতিহাস.djvu/২১০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রণজিৎ সিংহের প্রাধান্ত প্রতিষ্ঠা Yogo অবলম্বন করে, রণজিৎ সিং তদ্বিষয়ে শিখদিগকে উত্তেজিত করিতে চেষ্টাস্থিত হইয়াছেন ; তাহার এবং হোলকারের পক্ষ অবলম্বন করিয়া আশ্রয়দাতাদিগের বিরুদ্ধে অস্ত্ৰধারণ করিতে, তিনি শিখদিগকে পরামর্শ প্রদান করিতেছেন ॥৩ অন্যান্য বিশেষ বিশেষ ঘটনাবলীও এস্থলে উল্লেখযোগ্য। সার ডেভিড অক্টারলোনির ন্যায় স্বচতুর সেনানায়কও ভাবিয়া দেখিলেন,—এরূপ সঙ্কটাপন্ন অবস্থায় প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি সঞ্চয় করিয়া রাখা কর্তব্য, এবং লুধিয়ানায় সেনানিবাস স্থাপন করিয়া বাধা প্রদানের জন্য প্রস্তুত থাকা বিধেয় ॥৪ এদিকে রণজিৎ সিংহের মনেও সেইরূপ অবিশ্বাস এবং সন্দেহ জন্মিল। কিন্তু রণজিৎ সিংহের অবিশ্বাস সচরাচর প্রকাশ পাইত না ; তাহার ব্যবহারেও সে সব কিছুই বুঝা যাইত না। তবে সময়ে সময়ে অনিশ্চিত এবং দ্ব্যৰ্থবোধক কথাবার্তায় তাহার মানসিক অবিশ্বাস এবং সন্দেহের ভাব প্রকাশ হইয়া পড়িত ; কখনও বা কার্যপ্রণালী এবং পত্রাপত্রের নিয়ম হইতে র্তাহার অবিশ্বাসের বিষয় প্রতিপন্ন হইতে পারিত ; র্তাহার কার্যকলাপ এবং আচারব্যবহার হইতেও তাঁহা কতক পরিমাণে উপলব্ধি হইত ; কখনও বা পদগৌরবহেতু তাহার সে অবিশ্বাস প্রকাশ হইয়া পড়িত। কিন্তু তাহার প্রকাগু আলাপ অথবা বাদ-প্রতিবাদ হইতে র্তাহার মানসিক ভাব-ভঙ্গি কিছুই উপলব্ধি হইত না । উভয় রাজ্যের মধ্যে পরম্পর যে সন্দেহ এবং অবিশ্বাস জন্মিয়াছিল, তাহ ধীরে ধীরে ক্রমশঃ বিদূরিত হইল। তখন রণজিৎ বুঝিলেন,—শতদ্রু নদী অতিক্রম করিয়া, তিনি নির্বিয়ে আপন রাজ্য-বিস্তার করিতে সমর্থ। তিনি ইংরাজদিগকে বুঝাইলেন, যখন তিনি অন্যান্ত দেশ জয় করিতে ব্যপৃত থাকিবেন ; স্বতরাং দক্ষিণ-প্রদেশস্থ কলহ-প্রিয় মিত্র রাজগণের কার্য-কলাপে হস্তক্ষেপ করিয়া তিনি ইংরাজদিগকে বিব্রত করিবেন না । ১৮১১ খ্ৰীষ্টাব্দে গবর্ণর-জেনারেল এবং মহারাজ উভয়ের মধ্যে উপহার আদান-প্রদান হইল ॥৭ পর বৎসর মহারাজ-কুমার খড়গ সিংহের বিবাহোৎসবে স্তার ডেভিড অক্টারলোনি যোগদান করিয়া, মহারাজের আতিথ্য গ্রহণ করিলেন।৬ সেই সময় হইতে শিখ যুদ্ধের এক বৎসর পূর্ব পর্যন্ত শিখ-আক্রমণের অকিঞ্চিৎকর জনরবে একমাত্র কার্যনিরত অলস ব্যক্তিগণেরই আনন্দ-বৰ্দ্ধন হইত ; সরল-বিশ্বাসিগণ ভয়ে অভিভূত হইতেন । কিন্তু ইংরাজ রাজপ্রতিনিধি গবর্ণর-জেনারেল তাঁহাতে অণুমাত্র বিচলিত হইতেন না। ৩ । ১৮১৯ খৃষ্টাব্দের এই জানুয়ারী গবর্ণমেণ্টের বরাবর স্তার ডেভিড অকটারলোনির পত্র দ্রষ্টব্য। ৪ । ১৮৭৯ খৃষ্টাব্দের ৩১ ডিসেম্বর এবং ১৮১৯ খৃষ্টাব্দের ৭ই সেপ্টেম্বর, স্তার ডেভিড অক্টারলোনি সেই মর্মে গবর্ণমেণ্টকে এক পত্র লেখেন। • । এই সময়ে লাহোরে একখানি গাড়ী প্রেরিত হয়। ১৮১১ খৃষ্টাব্দের ২৫ ফেব্রুয়ারী দিল্লীর রেসিডেন্ট, সার ডেভিড অক্টারলোদিকে এবং ১৮১১ খৃষ্টাব্দের ১৫ই নভেম্বর, সার ডেভিড অকটারলোনি গবর্ণমেণ্টকে যে পত্র লিখেন,—তাহাই দ্রষ্টব্য। ও। ১৮১১ খৃষ্টাব্দের ১৮ই জুলাই এবং ১৮১২ খৃষ্টাব্দের ২৩শে জাম্বুরারী স্তার ডেভিড অক্টারলোনি, গবর্ণমেন্টকে ষে পত্ৰ দিয়াছিলেন—তাহ দ্রষ্টব্য।